ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় বিশ্বের ‘সবচেয়ে দামি’ মরিচ গাছ চাষ হয়

আহমেদ জামিল। সবসময় ব্যতিক্রম কিছু করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন,এবার তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়ে দামি’ চারাপিতা মরিচগাছ চাষ করে জেলাজুড়ে সৃষ্টি করেন।

তার বাগানঘেরা বেশ কয়েকটি গাছে ধরেছে শত শত মরিচ। দেখতে গোলাকার এ মরিচ কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হলেও পাকলে হলুদ হয়ে যায়।

কৃষক জামিল বলেন,‘বাংলাদেশে সম্ভবত আমিই প্রথম এ মরিচের বীজ লাগাই। আমেরিকা থেকে বীজ সংগ্রহ করি। চার মাস আগে বস্তার ভেতরে মাটি ভরে বীজ রোপণ করি। ৫০টি বীজের মধ্যে ৩টি বীজ থেকে চারা গজায়। একেকটি গাছ বুকসমান। তিন বছর পর্যন্ত এ গাছ থেকে মরিচ পাওয়া যাবে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে চারাপিতা জাতের মরিচের বীজ এনে শখের বসে নিজের বাড়িতে লাগান। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে আবাদ হওয়া এ জাতের মরিচে ঝাল কম। এটি সুগন্ধিজাতীয় মরিচ। বাংলাদেশের আবহাওয়া এ মরিচ চাষে উপযুক্ত কিনা, সেটি গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষক আহমেদ জামিল জানিয়েছেন,

কৃষক জামিলের দাবি, চারাপিতা মরিচ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মরিচ। এক কেজি মরিচের দাম ২৬ হাজার মার্কিন ডলার(বাংলা টাকা প্রায়২৮ লাখ টাকা) অত্যন্ত সুগন্ধি এই মরিচ ধনীরা ব্যবহার করেন। আরব দেশের রাজা-বাদশাহরা তাদের খাবারে এই মরিচ ব্যবহার করতেন। মক্কার অনেক দামি হোটেলেও এটি ব্যবহার হয়।

তিনি বলেন, এ মরিচগাছে বৃষ্টির পানি পড়তে পারে না। কিন্তু রোদ লাগাতে হয়। সচরাচর এ বীজ দেশে পাওয়া যায় না। বাণিজ্যিক চাষও তেমন হয় না। তবে পেরুতে চাষ হয়। এটি মসলাজাতীয় মরিচ। এটির তেমন ঝাল নেই।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শামসিল আরেফিন ভূঁইয়া বলেন, ‘এটি সুগন্ধিজাতীয় মরিচ। এটি আমেরিকা মহাদেশে হয়। বাংলাদেশে তেমন হয় না। কৃষক জামিল শখের বসে লাগিয়েছেন। এখন তার বাগানে তিনটি গাছে মরিচ ধরেছে।’

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এটি দামি মরিচ। দেখতে গোলাকৃতির। কৃষক আহমেদ জামিল প্রথম দফা বীজ বপন করে সফল হননি। দ্বিতীয়বারে বীজ লাগিয়ে মাত্র তিনটি গাছ টিকেছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এটি চাষে কতটুকু সফল, সেটা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। উনি এ মরিচ নিয়ে কয়েক বছর ধরে লেগে আছেন। এটি সাধারণত বেলে মাটিতে হয়। আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি। চারাপিতা মরিচ আমেরিকার। গুগলে দেখে আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি মাত্র। এর আগে জামিল কুমিল্লার লালমাই উপজেলার নাওরা গ্রামে সাত একর জমিতে ব্ল্যাক (কালো) টমেটো চাষ করেন। এর পর তিনি সাউপেরিলা তেলের চাষ করেন। ৭০ একর জমিতে সাউপেরিলা তেলের গাছ লাগান। এবার তিনি চারাপিতা মরিচগাছ বপন করেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় বিশ্বের ‘সবচেয়ে দামি’ মরিচ গাছ চাষ হয়

আপডেট সময় ০৪:১৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

আহমেদ জামিল। সবসময় ব্যতিক্রম কিছু করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন,এবার তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়ে দামি’ চারাপিতা মরিচগাছ চাষ করে জেলাজুড়ে সৃষ্টি করেন।

তার বাগানঘেরা বেশ কয়েকটি গাছে ধরেছে শত শত মরিচ। দেখতে গোলাকার এ মরিচ কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হলেও পাকলে হলুদ হয়ে যায়।

কৃষক জামিল বলেন,‘বাংলাদেশে সম্ভবত আমিই প্রথম এ মরিচের বীজ লাগাই। আমেরিকা থেকে বীজ সংগ্রহ করি। চার মাস আগে বস্তার ভেতরে মাটি ভরে বীজ রোপণ করি। ৫০টি বীজের মধ্যে ৩টি বীজ থেকে চারা গজায়। একেকটি গাছ বুকসমান। তিন বছর পর্যন্ত এ গাছ থেকে মরিচ পাওয়া যাবে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে চারাপিতা জাতের মরিচের বীজ এনে শখের বসে নিজের বাড়িতে লাগান। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে আবাদ হওয়া এ জাতের মরিচে ঝাল কম। এটি সুগন্ধিজাতীয় মরিচ। বাংলাদেশের আবহাওয়া এ মরিচ চাষে উপযুক্ত কিনা, সেটি গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষক আহমেদ জামিল জানিয়েছেন,

কৃষক জামিলের দাবি, চারাপিতা মরিচ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মরিচ। এক কেজি মরিচের দাম ২৬ হাজার মার্কিন ডলার(বাংলা টাকা প্রায়২৮ লাখ টাকা) অত্যন্ত সুগন্ধি এই মরিচ ধনীরা ব্যবহার করেন। আরব দেশের রাজা-বাদশাহরা তাদের খাবারে এই মরিচ ব্যবহার করতেন। মক্কার অনেক দামি হোটেলেও এটি ব্যবহার হয়।

তিনি বলেন, এ মরিচগাছে বৃষ্টির পানি পড়তে পারে না। কিন্তু রোদ লাগাতে হয়। সচরাচর এ বীজ দেশে পাওয়া যায় না। বাণিজ্যিক চাষও তেমন হয় না। তবে পেরুতে চাষ হয়। এটি মসলাজাতীয় মরিচ। এটির তেমন ঝাল নেই।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শামসিল আরেফিন ভূঁইয়া বলেন, ‘এটি সুগন্ধিজাতীয় মরিচ। এটি আমেরিকা মহাদেশে হয়। বাংলাদেশে তেমন হয় না। কৃষক জামিল শখের বসে লাগিয়েছেন। এখন তার বাগানে তিনটি গাছে মরিচ ধরেছে।’

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এটি দামি মরিচ। দেখতে গোলাকৃতির। কৃষক আহমেদ জামিল প্রথম দফা বীজ বপন করে সফল হননি। দ্বিতীয়বারে বীজ লাগিয়ে মাত্র তিনটি গাছ টিকেছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এটি চাষে কতটুকু সফল, সেটা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। উনি এ মরিচ নিয়ে কয়েক বছর ধরে লেগে আছেন। এটি সাধারণত বেলে মাটিতে হয়। আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি। চারাপিতা মরিচ আমেরিকার। গুগলে দেখে আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি মাত্র। এর আগে জামিল কুমিল্লার লালমাই উপজেলার নাওরা গ্রামে সাত একর জমিতে ব্ল্যাক (কালো) টমেটো চাষ করেন। এর পর তিনি সাউপেরিলা তেলের চাষ করেন। ৭০ একর জমিতে সাউপেরিলা তেলের গাছ লাগান। এবার তিনি চারাপিতা মরিচগাছ বপন করেন।