ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণ বিএনপিকে দেখতে চায় না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন হয়, বিএনপি তখন জানতো তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না, এটা জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপি সন্ত্রাসী তাণ্ডব শুরু করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। জনগণ তাদের আর দেখতে চায় না।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লাকসাম-আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য এ সরকারকে আবার ক্ষমতা আনতে হবে জনগণকে। বিএনপি মানুষকে হত্যা ও লুটপাটের রাজনৈতি করে। তারা সমাবেশ করছে, আমি বাধা দিচ্ছি না। যদি বিএনপি- জামায়াত আন্দোলনের নামে আবার বাস-ট্রেনে আগুন দেয়, তাহলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় এ দেশে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ দারিদ্র ছিল। স্বাধীন দেশকে জাতির পিতা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ অনেক কষ্ট করে পূনর্গঠন করছেন তিনি। অথচ একটি চক্র ও যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখনই ক্ষমতায় আসি, তখনই রেলওয়ের উন্নয়ন করি, অথচ বিএনপি ক্ষমতায় এসে রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলো, তারা মনে করতো রেল লোকসান, তাই বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে তারা বন্ধ করে দেয়, আমরা ক্ষমতায় এসে আলদা রেল মন্ত্রণালয় গঠন করি। এছাড়া, আমরা বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল লাইন স্থাপন করি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

রেলমন্ত্রী বলেন, হিরো আলমের মতো একজন লোক নিয়ে জাতিসংঘ বিবৃতি দেয়, এটা দুঃখজনক। অথচ সারা বিশ্বে এতো মানুষ হত্যা হচ্ছে তাদের কোনো ভূমিকা দেখি না।

উল্লখ্য, ঢাকার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ এই রেল রুটটিতে নিরবিচ্ছিন্ন ট্রেন সার্ভিস চালাতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয় এক দশক আগে। ৩২১ কিলোমিটার রেলপথের প্রায় সবটুকু ডাবল লাইন হলেও বাকি ছিল লাকসাম-আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার। যা আজ উদ্বোধন করা হয়। এ ফলে ফলে এর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নিরবচ্ছিন্নভাবে নতুন যুগের সূচনা হলো। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আর কোনও ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। কমে আসবে ট্রেনযাত্রার সময়ও।

 

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জনগণ বিএনপিকে দেখতে চায় না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন হয়, বিএনপি তখন জানতো তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না, এটা জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপি সন্ত্রাসী তাণ্ডব শুরু করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। জনগণ তাদের আর দেখতে চায় না।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লাকসাম-আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য এ সরকারকে আবার ক্ষমতা আনতে হবে জনগণকে। বিএনপি মানুষকে হত্যা ও লুটপাটের রাজনৈতি করে। তারা সমাবেশ করছে, আমি বাধা দিচ্ছি না। যদি বিএনপি- জামায়াত আন্দোলনের নামে আবার বাস-ট্রেনে আগুন দেয়, তাহলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় এ দেশে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ দারিদ্র ছিল। স্বাধীন দেশকে জাতির পিতা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ অনেক কষ্ট করে পূনর্গঠন করছেন তিনি। অথচ একটি চক্র ও যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখনই ক্ষমতায় আসি, তখনই রেলওয়ের উন্নয়ন করি, অথচ বিএনপি ক্ষমতায় এসে রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলো, তারা মনে করতো রেল লোকসান, তাই বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে তারা বন্ধ করে দেয়, আমরা ক্ষমতায় এসে আলদা রেল মন্ত্রণালয় গঠন করি। এছাড়া, আমরা বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল লাইন স্থাপন করি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

রেলমন্ত্রী বলেন, হিরো আলমের মতো একজন লোক নিয়ে জাতিসংঘ বিবৃতি দেয়, এটা দুঃখজনক। অথচ সারা বিশ্বে এতো মানুষ হত্যা হচ্ছে তাদের কোনো ভূমিকা দেখি না।

উল্লখ্য, ঢাকার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ এই রেল রুটটিতে নিরবিচ্ছিন্ন ট্রেন সার্ভিস চালাতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয় এক দশক আগে। ৩২১ কিলোমিটার রেলপথের প্রায় সবটুকু ডাবল লাইন হলেও বাকি ছিল লাকসাম-আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার। যা আজ উদ্বোধন করা হয়। এ ফলে ফলে এর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নিরবচ্ছিন্নভাবে নতুন যুগের সূচনা হলো। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আর কোনও ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। কমে আসবে ট্রেনযাত্রার সময়ও।