ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অপহরণকৃত শিশু ৩ দিনের মধ্যে উদ্ধার, আটক ২

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অপহরণকৃত শিশু কাজী আমির হামজা (৫) কে ৭২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধারসহ ২জন অপহরণকারী গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই নাছিমা আক্তার(৩৩), স্বামী-কাজী শাহজাহান, মাতা-জোহরা নবী, সাং-ফরিজপুর, ডাকঘর-ময়নামতি বাজার, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা তার ছেলে কাজী আমির হামজা(৫) কে খুঁজে না পেয়ে বুড়িচং থানায় জিডি করেন। একই দিনে বিকালে জনৈক খোকন মিয়া(ভর্তা হোটেলের মালিক) কে একজন অজ্ঞাতনামা লোক একটি নাম্বার হতে কল দিয়ে কাজী আমির হামজাকে অপহরন করা হয়েছে বলে ভিকটিম এর মাকে জানাতে বলেন। উক্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে গত ১৬ জুলাই দুপুরে অন্য আরেকটি মোবাইল নাম্বার থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুনরায় জনৈক খোকন মিয়াকে ফোন করে ভিকটিম এর মায়ের কাছ থেকে ছেলের মুক্তিপন বাবদ এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। ভিকটিম এর মা উক্ত অপহরণকারীর মোবাইল নাম্বারের নগদ একাউন্টে ৩ বারে সর্বমোট ৩,৫০০ টাকা প্রেরন করেন।

বিষয়টি জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজীব চৌধুরীকে অবহিত করলে পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেলের তত্ত্বাবধানে এসআই রাজীব চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের চৌরাস্তা হতে আসামী মোঃ মামুন মন্ডল(২১), পিতা-শাহবুদ্দিন মন্ডল, সাং-গফরগাঁও, চর্মচন্দ্র ইউপি, থানা-গফরগাঁও, জেলা-ময়মনসিংহ কে আটক করে।

আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক ইউনাইটেড আবাসিক হোটেল, ইউনাইটেড সুপার মার্কেট, পুরাতন ওভার ব্রীজের পূর্ব পাশে , সাভার বাস ষ্ট্যান্ড, সাভার, ঢাকা এর পঞ্চম তলার ৫নং কক্ষ হতে ভিকটিম কাজী আমির হামজা(৫) কে উদ্ধার করা হয় এবং অপর এক আসামী মোঃ সোহেল (২৪), পিতা-মোঃ রহিম মন্ডল, সাং-আইজাইল, ইউপি: দপ্তিয়র থানা-নাগরপুর, জেলা- টাঙ্গাইল কে আটক করেন।

পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত শিশুকে অপহরন করে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতঃ মুক্তিপন দাবির কথা স্বীকার করে।

উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানার মামলা নং-৩৫, তাং-১৮/০৭/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৭/৮/৩০ , ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩ তে মামলা রুজু করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অপহরণকৃত শিশু ৩ দিনের মধ্যে উদ্ধার, আটক ২

আপডেট সময় ১১:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অপহরণকৃত শিশু কাজী আমির হামজা (৫) কে ৭২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধারসহ ২জন অপহরণকারী গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই নাছিমা আক্তার(৩৩), স্বামী-কাজী শাহজাহান, মাতা-জোহরা নবী, সাং-ফরিজপুর, ডাকঘর-ময়নামতি বাজার, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা তার ছেলে কাজী আমির হামজা(৫) কে খুঁজে না পেয়ে বুড়িচং থানায় জিডি করেন। একই দিনে বিকালে জনৈক খোকন মিয়া(ভর্তা হোটেলের মালিক) কে একজন অজ্ঞাতনামা লোক একটি নাম্বার হতে কল দিয়ে কাজী আমির হামজাকে অপহরন করা হয়েছে বলে ভিকটিম এর মাকে জানাতে বলেন। উক্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে গত ১৬ জুলাই দুপুরে অন্য আরেকটি মোবাইল নাম্বার থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুনরায় জনৈক খোকন মিয়াকে ফোন করে ভিকটিম এর মায়ের কাছ থেকে ছেলের মুক্তিপন বাবদ এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। ভিকটিম এর মা উক্ত অপহরণকারীর মোবাইল নাম্বারের নগদ একাউন্টে ৩ বারে সর্বমোট ৩,৫০০ টাকা প্রেরন করেন।

বিষয়টি জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজীব চৌধুরীকে অবহিত করলে পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেলের তত্ত্বাবধানে এসআই রাজীব চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুরের চৌরাস্তা হতে আসামী মোঃ মামুন মন্ডল(২১), পিতা-শাহবুদ্দিন মন্ডল, সাং-গফরগাঁও, চর্মচন্দ্র ইউপি, থানা-গফরগাঁও, জেলা-ময়মনসিংহ কে আটক করে।

আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক ইউনাইটেড আবাসিক হোটেল, ইউনাইটেড সুপার মার্কেট, পুরাতন ওভার ব্রীজের পূর্ব পাশে , সাভার বাস ষ্ট্যান্ড, সাভার, ঢাকা এর পঞ্চম তলার ৫নং কক্ষ হতে ভিকটিম কাজী আমির হামজা(৫) কে উদ্ধার করা হয় এবং অপর এক আসামী মোঃ সোহেল (২৪), পিতা-মোঃ রহিম মন্ডল, সাং-আইজাইল, ইউপি: দপ্তিয়র থানা-নাগরপুর, জেলা- টাঙ্গাইল কে আটক করেন।

পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত শিশুকে অপহরন করে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতঃ মুক্তিপন দাবির কথা স্বীকার করে।

উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানার মামলা নং-৩৫, তাং-১৮/০৭/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৭/৮/৩০ , ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩ তে মামলা রুজু করা হয়।