ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়ায় দেবরের বাড়িতে ভাবির অনশন

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিয়ের দাবি নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক দেবরের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন দুই সন্তানের জননী (৩২)। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি টের পেয়ে কথিত প্রেমিক আত্মগোপনে রয়েছেন।

রোববার রাতে পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক আলমগীর হোসেন (৩৫) একই গ্রামের কামের আলীর ছেলে।

অনশনে বসা গৃহবধূ বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে আলমগীর হোসেনের সঙ্গে গোপনে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কে প্রতিবেশী দেবর হয়। সে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মাঝে-মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করত। এখন কথামতো বিয়ে করতে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, ঘরে স্বামী ও দুই সন্তান রেখে তার বাড়িতে চলে এসেছি। এখন আলমগীর বিয়ে না করলে তার মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওই মহিলার দুটি সন্তান রয়েছে। রোববার থেকে তিনি প্রেমিক (দেবর) আলমগীরের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গতরাতেও তার বাড়ির বারান্দায় সে বসে ছিল।

ইউপি চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। আর ওই এলাকার ইউনিয়নের সদস্যকে বলা হয়েছে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুঠিয়ায় দেবরের বাড়িতে ভাবির অনশন

আপডেট সময় ০৭:৩২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিয়ের দাবি নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক দেবরের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন দুই সন্তানের জননী (৩২)। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি টের পেয়ে কথিত প্রেমিক আত্মগোপনে রয়েছেন।

রোববার রাতে পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক আলমগীর হোসেন (৩৫) একই গ্রামের কামের আলীর ছেলে।

অনশনে বসা গৃহবধূ বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে আলমগীর হোসেনের সঙ্গে গোপনে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কে প্রতিবেশী দেবর হয়। সে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মাঝে-মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করত। এখন কথামতো বিয়ে করতে কালক্ষেপণ করছে।

তিনি বলেন, ঘরে স্বামী ও দুই সন্তান রেখে তার বাড়িতে চলে এসেছি। এখন আলমগীর বিয়ে না করলে তার মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওই মহিলার দুটি সন্তান রয়েছে। রোববার থেকে তিনি প্রেমিক (দেবর) আলমগীরের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গতরাতেও তার বাড়ির বারান্দায় সে বসে ছিল।

ইউপি চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। আর ওই এলাকার ইউনিয়নের সদস্যকে বলা হয়েছে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করতে।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।