ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুমিল্লায় অটোরিকশা চালক সুমন হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সুমন মিয়াকে হত্যার দায়ে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় উভয়কে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে শরীফ মিয়া ও একই উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল কাদের জিলানী।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলা এবং রায়ের বরাত দিয়ে তিনি জানায়, ২০২০ সালের ৬ মার্চ সন্ধ্যায় অটোরিকশা চালক সুমন মিয়ার (১৯) অটোরিকশাটি ভাড়া করেন শরীফ মিয়া ও আব্দুল কাদের। এ সময় আসামিরা পরিকল্পনা অনুযায়ী পেছন থেকে চালক সুমনকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গোপন স্থানে ফেলে দেন।

পরে নিহত সুমনের বাবা ইসমাইল মিয়া সুমনকে খুঁজে না পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তদন্তে নেমে আব্দুল কাদেরের নাম ওঠে আসলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় আব্দুল কাদেরকে আটক করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

তার দেখানো জায়গা থেকে অটোরিকশা চালক সুমনের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। এ সময় অপর আসামি মো. শরীফের জড়িত থাকার বিষয়টিও স্বীকার করেন আব্দুল কাদের।

পরে নিহত সুমনের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷ মামলায় আসামি করা হয় আব্দুল কাদের এবং শরীফ মিয়াকে।

অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জানান, মামলার বাদী এবং বিবাদী উভয়পক্ষের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হলেও, মরদেহ বাঙ্গরা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে কারণে বাঙ্গরা বাজার থানায় নিয়মিত মামলার রুজু করা হয়।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অমর চন্দ্র দাশ ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার শুনানিতে ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন আদালত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

কুমিল্লায় অটোরিকশা চালক সুমন হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ১০:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

কুমিল্লায় অটোরিকশাচালক সুমন মিয়াকে হত্যার দায়ে ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় উভয়কে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে শরীফ মিয়া ও একই উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল কাদের জিলানী।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলা এবং রায়ের বরাত দিয়ে তিনি জানায়, ২০২০ সালের ৬ মার্চ সন্ধ্যায় অটোরিকশা চালক সুমন মিয়ার (১৯) অটোরিকশাটি ভাড়া করেন শরীফ মিয়া ও আব্দুল কাদের। এ সময় আসামিরা পরিকল্পনা অনুযায়ী পেছন থেকে চালক সুমনকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গোপন স্থানে ফেলে দেন।

পরে নিহত সুমনের বাবা ইসমাইল মিয়া সুমনকে খুঁজে না পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তদন্তে নেমে আব্দুল কাদেরের নাম ওঠে আসলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় আব্দুল কাদেরকে আটক করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

তার দেখানো জায়গা থেকে অটোরিকশা চালক সুমনের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। এ সময় অপর আসামি মো. শরীফের জড়িত থাকার বিষয়টিও স্বীকার করেন আব্দুল কাদের।

পরে নিহত সুমনের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷ মামলায় আসামি করা হয় আব্দুল কাদের এবং শরীফ মিয়াকে।

অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম জানান, মামলার বাদী এবং বিবাদী উভয়পক্ষের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হলেও, মরদেহ বাঙ্গরা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে কারণে বাঙ্গরা বাজার থানায় নিয়মিত মামলার রুজু করা হয়।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অমর চন্দ্র দাশ ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার শুনানিতে ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন আদালত।