ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গফরগাঁওয়ে পুলিশ সন্ধ্যা রাতে থানায় ডেকে নিয়ে শেষ রাতের ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার আসামি করল যুবককে

ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে সন্ধ্যা রাতে জন্মেজয় সাকিনের মৃদুল নামের এক লোকের বাড়ী চিনিয়ে দিতে যুবক খোকনকে রাত ৮.৩০ মিনিটে ডেকে থানায় নিয়ে যায় অতপর শেষ (গভীর) রাতের ডাকাতির প্রস্তুতি ঘটনার মামলায় আসামি করে চালান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গফরগাঁও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ২ জুন ২০২৩ তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় গফরগাঁও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে জন্মেজয় গ্রামের মোঃ খোকন মিয়া (৩২) বাড়ী থেকে বাহির হয়ে চায়ের দোকানে যাওয়ার সময় সিভিল পোষাকে এসআই শামসুল আলমসহ ৩ জন কনস্টেবল এসে মৃদুলের বাড়ীর লোকেশন দেখিয়ে বলে খোকন তাদেরকে নিয়ে মৃদুলের বাড়ীর দেখাতে এগিয়ে গেলে পথিমধ্যে হতে মটরসাইকেল যোগে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা স্থানীয় কালাম, হানি, আনিস, সুলতান, রিফাত আরা  দেখে খোকনের ভাই স্বপনকে জানালে স্বপন এর মোবাইল ফোন ০১৭৭৮০৫৬৮৯ থেকে এসআই শামসুল আলম এর মোবাইল ০১৭১৬৩৬১১১৫ নাম্বারে রাত ৯.২২ মিনিটে ফোনকল করে জানতে চাইলে এসআই শামসুল আলম জানায় “ওসি স্যার নিয়ে আসতে বলছে স্যার আসুক দেখি কি বলে”। এবিষয়ে  গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এসব তথ্য সঠিক না। আপনাদের কাছে যা তথ্য আছে লিখেন।
ঘটনার বিবরণে এজাহার সূত্রে জানা যায় গফরগাঁও থানার জিডি নং ৯২ তাং ২/৬/২০২৩ মুলে এসআই নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স রাত্রিকালীন ডিউটি করার সময় ৩ জুন ২০২৩ তারিখ রাত ২.০৫ মিনিটের সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পান যে ১২/১৪ জন ডাকাত বারবাড়ীয়া ইউনিয়নে বাড়া সাকিনে ডাকাতি করার জন্য সমবেত হয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২.৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে খোকন সহ তিনজনকে ধৃত করে অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের হাত থেকে রামদা, দা, চাপাতি, লোহার রড, স্টীলের পাইব ইত্যাদি উদ্ধার করে রাত ৩.১৫ মিনিটে সাক্ষীদের মোকাবেলায় জব্দ করেন। যাহার প্রেক্ষিতে গফরগাঁও থানার মামলা নং-০১ তারিখ ৩/৬/২০২৩ ধারা- ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড- ১৮৬০। রুজু হয়।
 এজাহারে বর্ণিত আসামী খোকনকে ২ জুন সন্ধ্যা রাতে এসআই শামসুল আলম থানায় ডেকে নিয়ে থানা হেফাজতে ওসি সাহেবের জন্য রেখে দিলেন যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। সেখানে ৩ জুন রাত ২.৩০ মিনিটে এসআই নারায়ণ চন্দ্র অফিসার ফোর্স নিয়ে খোকনকে রামদা সহ ঘটনাস্থলে ধৃত করলেন কিভাবে এ প্রশ্ন জনমনে এবং ভূক্তভূগি পরিবারের। এছাড়াও গভীর রাতে জব্দ তালিকায় ভিন্ন গ্রামের সাক্ষীরাই বা এল কিভাবে? ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছে স্থানীয় জনসাধারণ ও ভূক্তভূগি পরিবার।
এ ঘটনায় ধৃত খোকন এর স্ত্রী আরফুজা আক্তার ন্যায় বিচার চেয়ে ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ এবং পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ বরাবরে আবেদন করলে গফরগাঁও সার্কেল অফিসে ঘটনার বিষয়ে কতিপয় সাক্ষী নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খোকন জেল হাজতে রয়েছে।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

গফরগাঁওয়ে পুলিশ সন্ধ্যা রাতে থানায় ডেকে নিয়ে শেষ রাতের ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার আসামি করল যুবককে

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে সন্ধ্যা রাতে জন্মেজয় সাকিনের মৃদুল নামের এক লোকের বাড়ী চিনিয়ে দিতে যুবক খোকনকে রাত ৮.৩০ মিনিটে ডেকে থানায় নিয়ে যায় অতপর শেষ (গভীর) রাতের ডাকাতির প্রস্তুতি ঘটনার মামলায় আসামি করে চালান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গফরগাঁও থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ২ জুন ২০২৩ তারিখ শুক্রবার সন্ধ্যা রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় গফরগাঁও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে জন্মেজয় গ্রামের মোঃ খোকন মিয়া (৩২) বাড়ী থেকে বাহির হয়ে চায়ের দোকানে যাওয়ার সময় সিভিল পোষাকে এসআই শামসুল আলমসহ ৩ জন কনস্টেবল এসে মৃদুলের বাড়ীর লোকেশন দেখিয়ে বলে খোকন তাদেরকে নিয়ে মৃদুলের বাড়ীর দেখাতে এগিয়ে গেলে পথিমধ্যে হতে মটরসাইকেল যোগে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা স্থানীয় কালাম, হানি, আনিস, সুলতান, রিফাত আরা  দেখে খোকনের ভাই স্বপনকে জানালে স্বপন এর মোবাইল ফোন ০১৭৭৮০৫৬৮৯ থেকে এসআই শামসুল আলম এর মোবাইল ০১৭১৬৩৬১১১৫ নাম্বারে রাত ৯.২২ মিনিটে ফোনকল করে জানতে চাইলে এসআই শামসুল আলম জানায় “ওসি স্যার নিয়ে আসতে বলছে স্যার আসুক দেখি কি বলে”। এবিষয়ে  গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এসব তথ্য সঠিক না। আপনাদের কাছে যা তথ্য আছে লিখেন।
ঘটনার বিবরণে এজাহার সূত্রে জানা যায় গফরগাঁও থানার জিডি নং ৯২ তাং ২/৬/২০২৩ মুলে এসআই নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স রাত্রিকালীন ডিউটি করার সময় ৩ জুন ২০২৩ তারিখ রাত ২.০৫ মিনিটের সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পান যে ১২/১৪ জন ডাকাত বারবাড়ীয়া ইউনিয়নে বাড়া সাকিনে ডাকাতি করার জন্য সমবেত হয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২.৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে খোকন সহ তিনজনকে ধৃত করে অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের হাত থেকে রামদা, দা, চাপাতি, লোহার রড, স্টীলের পাইব ইত্যাদি উদ্ধার করে রাত ৩.১৫ মিনিটে সাক্ষীদের মোকাবেলায় জব্দ করেন। যাহার প্রেক্ষিতে গফরগাঁও থানার মামলা নং-০১ তারিখ ৩/৬/২০২৩ ধারা- ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড- ১৮৬০। রুজু হয়।
 এজাহারে বর্ণিত আসামী খোকনকে ২ জুন সন্ধ্যা রাতে এসআই শামসুল আলম থানায় ডেকে নিয়ে থানা হেফাজতে ওসি সাহেবের জন্য রেখে দিলেন যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। সেখানে ৩ জুন রাত ২.৩০ মিনিটে এসআই নারায়ণ চন্দ্র অফিসার ফোর্স নিয়ে খোকনকে রামদা সহ ঘটনাস্থলে ধৃত করলেন কিভাবে এ প্রশ্ন জনমনে এবং ভূক্তভূগি পরিবারের। এছাড়াও গভীর রাতে জব্দ তালিকায় ভিন্ন গ্রামের সাক্ষীরাই বা এল কিভাবে? ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছে স্থানীয় জনসাধারণ ও ভূক্তভূগি পরিবার।
এ ঘটনায় ধৃত খোকন এর স্ত্রী আরফুজা আক্তার ন্যায় বিচার চেয়ে ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ এবং পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ বরাবরে আবেদন করলে গফরগাঁও সার্কেল অফিসে ঘটনার বিষয়ে কতিপয় সাক্ষী নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খোকন জেল হাজতে রয়েছে।