ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চট্টগ্রামের উত্তর বন বিভাগে প্রভাব ও অনিয়মের দায়ে গ্রেপ্তার হলেন র‍্যাব-৭ এর কাছে

বর্তমান দেশে যেই হারে পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে বন উজার করা শুরু হয়েছে আগামী প্রজন্মে এবং আগামীতেই দেশ ও দশের এবং পরিবেশের মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানীয় প্রশাসন পাহাড় খেকো দের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও অনেক ক্ষেত্রে অভয়ারণ্য এলাকায় এই মাটি খেকু বালু খেকো পাহাড় খেকু তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইন প্রয়োগ কারী বাহিনী তাদের কার্যক্রমকে ধ্বংস করে দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকে এবং এর ধারাবাহিকতায়।

গত ০৬ জুন ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ১০০০ ঘটিকায় বিট কর্মকর্তা, বাঁশবাড়িয়া বিট, সীতাকুন্ড রেঞ্জ, উপকূলীয় বন বিভাগ, চট্টগ্রাম কর্তৃক বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারে যে, সীতাকুন্ড রেঞ্জের বাঁশবাড়িয়া বিটের নডালিয়া মৌজার সংরক্ষিত বনে ইউনিটেক্স গ্রুপ লিমিটেড সংলগ্ন রেড়ীবাঁধের পাশে একদল বনদস্যূ স্কাভেটর দিয়ে মাটি খনন করে বাঁধ নির্মাণ করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুন্ড বিট কর্মকর্তা সঙ্গীয় স্টাফসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান যে, ধৃত আসামী ফারহান আহমেদেরে নেতৃত্বে তার অন্যান্য সহযোগীরা স্কাভেটর দিয়ে মাটি খননের কাজ সম্পন্ন করছে। বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে ফারহান আহমেদ তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিট কর্মকর্তা, বাঁশবাড়িয়া বিট, সীতাকুন্ড রেঞ্জ, উপকূলীয় বন বিভাগ, চট্টগ্রাম কর্তৃক বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বন আদালত, চট্টগ্রাম বরাবর ফারহান আহমেদকে প্রধান আসামী করে ০৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি বন মামলা দাযের করেন, যার নং- বন-১৩০/২৩, পি ও আর মোকাদ্দমা নং-০১/বিবি/০২/সীতা অব ২০২২-২০২৩ তারিখ ০৬ জুন ২০২৩, ধারা- ১৯২৭ সনের (২০০০ সনে সংশোধিত) বন আইনের ২৬(১ক) (ঙ)।

উক্ত মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বন আদালত, চট্টগ্রাম কর্তৃক উল্লেখিত ঘটনায় সমস্ত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আসামী ফারহান আহমেদসহ তার ০৫ সহযোগীর নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানার পরবর্তী সময়ে সীতাকুন্ড থানা পুলিশ কর্তৃক উক্ত মামলার ০৩ জন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হলেও মূল আসামী ফারহান আহমেদ পলাতক থাকে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত বন মামলার প্রধান ও ১নং ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ফারহান আহমেদ চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন একটি আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬ জুলাই ২০২৩ইং তারিখ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ফারনাহ আহমেদ (৫৫), পিতা- মৃত ইকবাল আহম্মেদ, সাং- পরইকরা, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে, পরিচলাক (লিগ্যাল এন্ড এস্টেট), ইউনিটেক্স গ্রুপ লিমিটেড চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী উক্ত বন মামলার ১নং ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

চট্টগ্রামের উত্তর বন বিভাগে প্রভাব ও অনিয়মের দায়ে গ্রেপ্তার হলেন র‍্যাব-৭ এর কাছে

আপডেট সময় ০৩:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

বর্তমান দেশে যেই হারে পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে বন উজার করা শুরু হয়েছে আগামী প্রজন্মে এবং আগামীতেই দেশ ও দশের এবং পরিবেশের মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানীয় প্রশাসন পাহাড় খেকো দের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও অনেক ক্ষেত্রে অভয়ারণ্য এলাকায় এই মাটি খেকু বালু খেকো পাহাড় খেকু তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইন প্রয়োগ কারী বাহিনী তাদের কার্যক্রমকে ধ্বংস করে দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকে এবং এর ধারাবাহিকতায়।

গত ০৬ জুন ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ১০০০ ঘটিকায় বিট কর্মকর্তা, বাঁশবাড়িয়া বিট, সীতাকুন্ড রেঞ্জ, উপকূলীয় বন বিভাগ, চট্টগ্রাম কর্তৃক বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পারে যে, সীতাকুন্ড রেঞ্জের বাঁশবাড়িয়া বিটের নডালিয়া মৌজার সংরক্ষিত বনে ইউনিটেক্স গ্রুপ লিমিটেড সংলগ্ন রেড়ীবাঁধের পাশে একদল বনদস্যূ স্কাভেটর দিয়ে মাটি খনন করে বাঁধ নির্মাণ করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুন্ড বিট কর্মকর্তা সঙ্গীয় স্টাফসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান যে, ধৃত আসামী ফারহান আহমেদেরে নেতৃত্বে তার অন্যান্য সহযোগীরা স্কাভেটর দিয়ে মাটি খননের কাজ সম্পন্ন করছে। বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে ফারহান আহমেদ তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিট কর্মকর্তা, বাঁশবাড়িয়া বিট, সীতাকুন্ড রেঞ্জ, উপকূলীয় বন বিভাগ, চট্টগ্রাম কর্তৃক বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বন আদালত, চট্টগ্রাম বরাবর ফারহান আহমেদকে প্রধান আসামী করে ০৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি বন মামলা দাযের করেন, যার নং- বন-১৩০/২৩, পি ও আর মোকাদ্দমা নং-০১/বিবি/০২/সীতা অব ২০২২-২০২৩ তারিখ ০৬ জুন ২০২৩, ধারা- ১৯২৭ সনের (২০০০ সনে সংশোধিত) বন আইনের ২৬(১ক) (ঙ)।

উক্ত মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বন আদালত, চট্টগ্রাম কর্তৃক উল্লেখিত ঘটনায় সমস্ত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আসামী ফারহান আহমেদসহ তার ০৫ সহযোগীর নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানার পরবর্তী সময়ে সীতাকুন্ড থানা পুলিশ কর্তৃক উক্ত মামলার ০৩ জন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হলেও মূল আসামী ফারহান আহমেদ পলাতক থাকে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত বন মামলার প্রধান ও ১নং ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ফারহান আহমেদ চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন একটি আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬ জুলাই ২০২৩ইং তারিখ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ফারনাহ আহমেদ (৫৫), পিতা- মৃত ইকবাল আহম্মেদ, সাং- পরইকরা, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে, পরিচলাক (লিগ্যাল এন্ড এস্টেট), ইউনিটেক্স গ্রুপ লিমিটেড চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী উক্ত বন মামলার ১নং ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।