ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নওগাঁয় আয়কর না নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির মানববন্ধন

বিআরটিএতে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করলেও প্রাইভেট কার হিসেবে আয়কর দিতে হয়। এ অবস্থায় সেবাখাতে প্রাইভেট কারে বিআরটিএ কর্তৃক প্রণীত আয়কর (এটিআই) অ্যাম্বুলেন্সে না নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে নওগাঁর অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি।

সোমবার (১৭ জুলাই) নওগাঁ বিআরটি অফিসের সামনে মানববন্ধন করার সময় এসব দাবি জানানো হয়।

অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন; অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অ্যাম্বুলেন্সের টোল ফ্রি বাস্তবায়ন; দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা দেওয়া; রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল এবং গ্যাস নিতে দেওয়া; সড়কে হয়রানিমুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চলাচল।

দাবির মধ্যে রয়েছে মানববন্ধনে সভাপতিত্বের বক্তব্য দেওয়ার সময় নূরে আলম বাবু বলেন, নানা দুর্যোগে-দুঃসময়ে আমরা মানুষের পাশে থাকলেও বিভিন্ন সময় নানা সমস্যা মুখ বুঝে সহ্য করে আসছি। করোনা মহামারির সময় দেশের মানুষ যখন জীবন বাঁচাতে ঘরে নিরাপদে অবস্থান করেছে। তখন মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সহকর্মীরা নিরবচ্ছিন্ন অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে গেছে। করোনা সংক্রমণের ভয়ে পরিবার, প্রিয়জনকে ঘরে রেখে আমাদের সহকর্মীদের থাকতে হয়েছে হোটেল কিংবা গাছতলায়। যেকোনো দুর্যোগে অ্যাম্বুলেন্সের কর্মীরা সেবা দিতে কার্পণ্য করেনি। দেশের যেকোনো দুর্যোগ-দুঃসময়ে অ্যাম্বুলেন্সের কর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো সেবা দিয়ে যেতে কোনোদিন কার্পণ্য করেনি। কিন্তু এর বিনিময়ে কোনদিন প্রতিদান চাইনি আমরা।

প্রাইভেট কার হিসেবে আয়কর দিতে হয় জানিয়ে আরও বলেন, জাপান থেকে আমরা আমদানি করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে। বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেই, অথচ আয়কর দেয়ার সময় দিতে হয় প্রাইভেট গাড়ী হিসেবে। হাসপাতাল এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে আয়কর নেওয়া হয় মাত্র ৫২ টাকা অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অতীতে নেওয়া হতো ৩০ হাজার টাকা, এবছর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সেবাখাতে একই দেশে দুই ধরনের আইন কি করে হয় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। সেবার ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই।

মানববন্ধনে অন্যান্যরা বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর সেবায় আমাদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে আসছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলো অ্যাম্বুলেন্স টোল ফ্রি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রায় ২ বছর পার হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি অদৃশ্য কারণে। আমাদের টোল ট্যাক্স অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া হলেও মানি রিসিট দেওয়া হয় মাইক্রোবাসের। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরে ঘুরেও আমরা এর কোনো প্রতিকার পাইনি। জাতীয় নীতিমালার দাবিতে ৬৪ জেলায় মানববন্ধন করা হলেও হয়নি সুরাহা। উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হলেও সমাধান হয়নি।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার অস্থায়ী কমিটির মোকাম্মেল হোসেন, রেজোয়ান আহমেদ, মিন্টু মিয়া, শ্রী চঞ্চল চোহান, সোহাগ আহমেদ সহ বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার অন্যান্য সদস্যরা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

নওগাঁয় আয়কর না নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৩:০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

বিআরটিএতে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করলেও প্রাইভেট কার হিসেবে আয়কর দিতে হয়। এ অবস্থায় সেবাখাতে প্রাইভেট কারে বিআরটিএ কর্তৃক প্রণীত আয়কর (এটিআই) অ্যাম্বুলেন্সে না নেওয়াসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে নওগাঁর অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি।

সোমবার (১৭ জুলাই) নওগাঁ বিআরটি অফিসের সামনে মানববন্ধন করার সময় এসব দাবি জানানো হয়।

অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন; অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অ্যাম্বুলেন্সের টোল ফ্রি বাস্তবায়ন; দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা দেওয়া; রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল এবং গ্যাস নিতে দেওয়া; সড়কে হয়রানিমুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চলাচল।

দাবির মধ্যে রয়েছে মানববন্ধনে সভাপতিত্বের বক্তব্য দেওয়ার সময় নূরে আলম বাবু বলেন, নানা দুর্যোগে-দুঃসময়ে আমরা মানুষের পাশে থাকলেও বিভিন্ন সময় নানা সমস্যা মুখ বুঝে সহ্য করে আসছি। করোনা মহামারির সময় দেশের মানুষ যখন জীবন বাঁচাতে ঘরে নিরাপদে অবস্থান করেছে। তখন মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সহকর্মীরা নিরবচ্ছিন্ন অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে গেছে। করোনা সংক্রমণের ভয়ে পরিবার, প্রিয়জনকে ঘরে রেখে আমাদের সহকর্মীদের থাকতে হয়েছে হোটেল কিংবা গাছতলায়। যেকোনো দুর্যোগে অ্যাম্বুলেন্সের কর্মীরা সেবা দিতে কার্পণ্য করেনি। দেশের যেকোনো দুর্যোগ-দুঃসময়ে অ্যাম্বুলেন্সের কর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো সেবা দিয়ে যেতে কোনোদিন কার্পণ্য করেনি। কিন্তু এর বিনিময়ে কোনদিন প্রতিদান চাইনি আমরা।

প্রাইভেট কার হিসেবে আয়কর দিতে হয় জানিয়ে আরও বলেন, জাপান থেকে আমরা আমদানি করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে। বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেই, অথচ আয়কর দেয়ার সময় দিতে হয় প্রাইভেট গাড়ী হিসেবে। হাসপাতাল এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে আয়কর নেওয়া হয় মাত্র ৫২ টাকা অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অতীতে নেওয়া হতো ৩০ হাজার টাকা, এবছর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সেবাখাতে একই দেশে দুই ধরনের আইন কি করে হয় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। সেবার ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই।

মানববন্ধনে অন্যান্যরা বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর সেবায় আমাদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে আসছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলো অ্যাম্বুলেন্স টোল ফ্রি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রায় ২ বছর পার হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি অদৃশ্য কারণে। আমাদের টোল ট্যাক্স অ্যাম্বুলেন্স নেওয়া হলেও মানি রিসিট দেওয়া হয় মাইক্রোবাসের। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরে ঘুরেও আমরা এর কোনো প্রতিকার পাইনি। জাতীয় নীতিমালার দাবিতে ৬৪ জেলায় মানববন্ধন করা হলেও হয়নি সুরাহা। উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হলেও সমাধান হয়নি।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার অস্থায়ী কমিটির মোকাম্মেল হোসেন, রেজোয়ান আহমেদ, মিন্টু মিয়া, শ্রী চঞ্চল চোহান, সোহাগ আহমেদ সহ বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার অন্যান্য সদস্যরা।