পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক মালিকের নানা অনিয়ম দূর্নীতি ঢাকার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনা সুত্রে জানাযায়, উপজেলার ফুলঝুরি গ্রামের মৃত্যু আঃ হামিদ হাওলাদার এর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান ও তাঁর ভাই আঃ কাইয়ুম এর মেসার্স আরিশা এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের মাষ্টার এজেন্ট আউট লেট শাখা নিয়ে ব্যবসা করে আসছে। সে ব্যাংকের ইনচার্জ হিসেবে তিনি নিজেই দায়িত্ব পালন করেন এবং তার স্ত্রী ঐ ব্যাংকের কেশিয়ার এর দায়িত্ব পালন করে আসছে। সেখানে একাউন্ট কালেকশন ম্যান হিসাবে মাসিক চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীর দাঁয়িত্ব পালন করে মোঃ ইব্রাহিম হোসেন। ইব্রাহিম হোসেন উপজেলার উওর মিঠাখালী গ্রামের মোঃ ইউনুস আলী হাওলাদার এর ছেলে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, মেসার্স আরিশা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল কাইয়ুম ও তার ভাই মিজানুর রহমান এর সাথে লাভ লোকসানের ভিত্তিতে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবসার পার্টনার হিসাবে ব্যবসা করায় ব্যাংকের ইনচার্জ মিজানুর রহমান কাছে হিসাব নিকাশ চাইলে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। আজ নয় কাল হিসাব দিবে বলে কালক্ষেপণ করে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয় উপজেলার বিভিন্ন সাব এজেন্ট থেকে মিজানুর রহমান এর নামে অনিয়ম দূর্নীতির জন্য মামলা দায়ের করা হয়। যেমন বড় মাছুয়া বাজারস্হ মেসার্স আকন টেলিকমের স্বত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন ইলেকট্রিক মানি নগদ ক্যাশ টাকায় রুপান্তর করার জন্য বিভিন্ন একাউন্টে ৯,২২,৯৬৭ (নয় লক্ষ বাইশ হাজার নয়শত বাষট্টি) টাকা প্রেরন করে যাহার ১,৯৯,৫০৭ টাকা ফেরত দিলে ও বাকী ৭,২৩,৪৬০ টাকা আত্মসাৎ করায় মঠবাড়িয়া সিনিঃ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং সি আর ৬১৮/২০২৩। অন্যদিকে ধানিশাফা মনিহার জুয়েলার্স এন্ড মোবাইল প্লাস এর স্বত্বাধিকারী কৃষ্ণ কর্মকার এর ৩,৭৩,০০০ টাকা আত্মসাৎ করায় মঠবাড়িয়া সিনিঃ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং সি আর ৬১৭/২০২৩ এবং বেতমোর শহিদুল টেইলার্স এন্ড টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম ৭,২২,০০০ টাকা পাওয়ার দাবিতে মঠবাড়িয়া সিনিঃ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং সি আর ৬১৯/২০২৩।
হয়রানির স্বীকার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এই অনিয়ম দূর্নীতি থেকে বাচার জন্য মিজানুর রহমান আমার নামে ৬৭,৪৫,৬০০ টাকা চুরির অভিযোগ এনে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন যাহার নং জি আর ১৯/১৫৮। সে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে বাংলাদেশ সরকারের ২১/২২ অর্থ বছরের ভিজিডি প্রকল্পের ৬৪২ জন সদস্যের দুই বছরের মাসিক ২০০ টাকা সঞ্চয় জমা বাবদ ৩০,৮১,৬০০ গ্রাহকের একাউন্টে জমা না দিয়ে চুরির অভিযোগ আনা হয়। অথচ ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক টি অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় প্রতিমাসের সঞ্চয় টাকা একাউন্টে জমা করা হয়েছে। যাহা মিজানুর রহমান ইনচার্জ হিসেবে তাহার হাতের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করেছে। তাছাড়া উক্ত গ্রাহকের টাকা সকল গ্রাহক তাদের ফিঙ্গার দিয়ে গ্রহণ করে নেয়। যাহার সকল ডকুমেন্টস গ্রাহকের স্বাক্ষর সহ সংরক্ষণ করা আছে। তাছাড়া ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করার জন্য নগদ ১০,০০০০০/ টাকা ও ব্যাংকের কমিশন বাবদ ২৬,৬৪,০০০ টাকা চুরির অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ কেশিয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন মিজানুর রহমান এর স্ত্রী নাজমুন্নাহার ও তার হাতের ফিঙ্গার দিয়ে সকল লেনদেন করেন মিজানুর রহমান।
ইব্রাহিম হোসেন প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবি জানান।
মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদি ইসমাইল, শহিদুল ও কৃষ্ণ কর্মকার এদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের টাকা মিজানুর রহমান আত্মসাৎ করেছে। যাহার মামলা চলমান রয়েছে। আমাদের টাকা না দেওয়ার ছলনা করে তাহার কর্মচারী ইব্রাহিম হোসেন এর নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
মঠবাড়িয়া এজেন্ট মালিক মিজানুর রহমান এর কাছে সাব এজেন্ট এর কাছে টাকা আত্মসাৎ ও ইব্রাহিম এর টাকা চুরির অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ব্যাংকের টাকার হিসাব নিকাশে কিছু টা গরমিল আছে ও ইব্রাহিম কিছু টাকা আত্মসাৎ করায় তার নামে আমি মামলা করেছি।
পিরোজপুর জেলা এরিয়া ম্যানেজার দিপক বিশ্বাস জানান, মঠবাড়িয়া এজেন্ট ব্যাংক সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে তাছাড়া আপতত ঐ শাখা টি বন্ধ রাখা হয়েছে।