সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মামুনের গ্রামের বাড়ীতে হামলা লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ সাংবাদিকবৃন্দের আয়োজনে মঙ্গলবার ১১জুলাই সকাল ১১:৩০ টার সময় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তৃনমুল সাংবাদিক কল্যান সোসাইটি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক সংস্থা সাধারণ সম্পাদক আজাহারুল আলম, বিএমইউজে সাধারণ সম্পাদক ঢাকা প্রতিদিনের ব্যুরো চীফ মাইন উদ্দিন উজ্জ্বল,
দৈনিক আমার বার্তা ইয়াহিয়া আরিফ, দৈনিক আজকের খবর শরৎ সেলিম, জাতীয় অর্থনীতি নজরুল ইসলাম খান, নব জাগরণ টিভি সম্পাদক ও প্রকাশক সোহানুর রহমান সোহান, সময়ের কন্ঠের কামরুল হাসান ও মিজানুর রহমান, দূর্জয় বাংলার মোহন মিয়া, প্রতিদিনের কাগজের এড শফিকুল ইসলাম, বাংলার প্রতিদিনের জোবায়ের হোসেন মাহাবুব, উর্মি বাংলার আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার গন্ডাবেড় গ্রামের সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মামুন এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর পোস্ট দেয়ায়, সাংবাদিকের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য গত ৪ জুলাই আনুমানিক দুপুর ১ টায় ওমর ফারুক জুন্নুন এর নেতৃত্বে আইসিটি মামলার আসামী সহ একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও বাড়ীর নারী-পুরুস সহ লোকজনদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মহিলাদের গায়ের স্বর্ণাঅলংকার ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করে। পুলিশ এ ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করার পর জামিনে মুক্তি পেলেও অপরাপর আসামিরা বাড়ীর লোকজনদেরকে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা সৃষ্টি করে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে ।
ঈদ পূর্ববর্তী সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মামুন বাড়ীতে গেলে, সন্ত্রাসীরা তা জানতে পারে। পরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া, গত ৪ জুলাই বেলা ১টার সময় সাংবাদিকের অবস্থানগত বাড়ীতে হামলা করে। এসয় তারা বাড়ীতে অবস্থানরত নারী-পুরষদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে লোকজনদরকে আহত করে। সন্ত্রাসীরা মহিলাদের পরিধিয় অলংকার পাতি ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের আঘাতে মমতা বেগম, মোনায়েম, আশিক, আনিসসহ আরও অনেকে আহত হয়। তারা স্হানীয় দূর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সন্ত্রাসীদের অনেকের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। উল্লেখ্য, হামলাকারীদের সাথে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্য মোঃ জাকারিয়াকে অংশ গ্রহণ করেছিল বলে ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা গেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সামনে মানববন্ধন শেষে বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে একান্ত সচিব স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। পরে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হলে রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নেত্রকোণা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করেন।