ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর ১ নির্বাচনী আসন (২৭৪) আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর ১ (নির্বাচনী আসন ২৭৪) রামগঞ্জ উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ।

সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৫৬ সালে ০৫ ই আগস্ট পূর্ব বিঘা মজুমদার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসএস অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সুলতান মাহমুদ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান দেশ ও কৃষ্টি নামক একটি বই নবম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এইটা ছিল বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। সারা দেশের ছাত্রদের সাথে আমরাও নোয়াখালী জেলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্ররা তুমুল আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। পরবর্তীতে ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনের সম্পৃক্ত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি এবং নোয়াখালী কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে নিয়মিত সম্পৃক্ত ছিলাম।

সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জীবনে হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে আবাসিক ছাত্রাবাসে থেকে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতাম।

আমি ১৯৮৪ ব্যাচের বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৬ সালে সহকারী কর কমিশনার পদে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে চাকুরীতে যোগদান করি। পরবর্তীতে যথা সময়ে পদোন্নতি পেয়ে উপ কর কমিশনার হিসেবে ঢাকায় বিভিন্ন সার্কেলে দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া কর কমিশনার হিসেবে সিলেট ও চট্টগ্রামেও দায়িত্ব পালন করে থাকি অবশেষে কর কমিশনার হিসেবে ঢাকা কর অঞ্চল ১০ হতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রণীত বিধি মোতাবেক চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করি।

সুলতান মাহমুদ আরো বলেন, আমি ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করি। চাকুরী চলাকালীন সময়ে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদান করি এবং স্বশরীরে অংশগ্রহণ করে ছিলাম।

জনতার মঞ্চের আন্দোলনের সময় তিনি অংশগ্রহণ করি এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করছি। আমি বিসিএস ওর অ্যাসোসিয়েশনের দুই বারের নির্বাচিত সহ-সভাপতি। বঙ্গবন্ধু পরিষদ সেগুনবাগিচা ঢাকা নির্বাচিত সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছি। ২০১৪ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সম্পাদক মন্ডলী সদস্য নির্বাচিত হই ।

সুলতান মাহমুদ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে করোনা মহামারী কালে নিজ এলাকায় হতদরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষকে আর্থিক অনুদান এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহ বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডে আর্থিক সহযোগিতা প্রধান এবং নিজ উপজেলার প্রতিবন্ধী সন্তান এবং তাদের মা বাবার সাথে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে আয়োজন করেন ও তাদেরকে আর্থিক উপহার প্রদান করেন। দেশীয় ফল আপ্যায়ন উৎসব শিশু-কিশোরদের ফলের সাথে পরিচিত করা এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে প্রচেতনতা উৎসবের আয়োজন করি এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান নিজ এলাকায় সরকারি ও আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করি।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে দুর্নীতি মুক্ত ও উন্নয়নমুখী স্মার্ট রামগঞ্জ উপজেলায় রূপান্তরিত করবো। আমি রামগঞ্জ বাসির দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর ১ নির্বাচনী আসন (২৭৪) আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ

আপডেট সময় ০৪:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর ১ (নির্বাচনী আসন ২৭৪) রামগঞ্জ উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ।

সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৫৬ সালে ০৫ ই আগস্ট পূর্ব বিঘা মজুমদার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসএস অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সুলতান মাহমুদ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান দেশ ও কৃষ্টি নামক একটি বই নবম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এইটা ছিল বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। সারা দেশের ছাত্রদের সাথে আমরাও নোয়াখালী জেলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্ররা তুমুল আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। পরবর্তীতে ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলনের সম্পৃক্ত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি এবং নোয়াখালী কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে নিয়মিত সম্পৃক্ত ছিলাম।

সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র জীবনে হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে আবাসিক ছাত্রাবাসে থেকে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতাম।

আমি ১৯৮৪ ব্যাচের বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৬ সালে সহকারী কর কমিশনার পদে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে চাকুরীতে যোগদান করি। পরবর্তীতে যথা সময়ে পদোন্নতি পেয়ে উপ কর কমিশনার হিসেবে ঢাকায় বিভিন্ন সার্কেলে দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া কর কমিশনার হিসেবে সিলেট ও চট্টগ্রামেও দায়িত্ব পালন করে থাকি অবশেষে কর কমিশনার হিসেবে ঢাকা কর অঞ্চল ১০ হতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রণীত বিধি মোতাবেক চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করি।

সুলতান মাহমুদ আরো বলেন, আমি ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করি। চাকুরী চলাকালীন সময়ে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদান করি এবং স্বশরীরে অংশগ্রহণ করে ছিলাম।

জনতার মঞ্চের আন্দোলনের সময় তিনি অংশগ্রহণ করি এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করছি। আমি বিসিএস ওর অ্যাসোসিয়েশনের দুই বারের নির্বাচিত সহ-সভাপতি। বঙ্গবন্ধু পরিষদ সেগুনবাগিচা ঢাকা নির্বাচিত সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছি। ২০১৪ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সম্পাদক মন্ডলী সদস্য নির্বাচিত হই ।

সুলতান মাহমুদ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে করোনা মহামারী কালে নিজ এলাকায় হতদরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষকে আর্থিক অনুদান এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহ বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডে আর্থিক সহযোগিতা প্রধান এবং নিজ উপজেলার প্রতিবন্ধী সন্তান এবং তাদের মা বাবার সাথে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে আয়োজন করেন ও তাদেরকে আর্থিক উপহার প্রদান করেন। দেশীয় ফল আপ্যায়ন উৎসব শিশু-কিশোরদের ফলের সাথে পরিচিত করা এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে প্রচেতনতা উৎসবের আয়োজন করি এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান নিজ এলাকায় সরকারি ও আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করি।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে দুর্নীতি মুক্ত ও উন্নয়নমুখী স্মার্ট রামগঞ্জ উপজেলায় রূপান্তরিত করবো। আমি রামগঞ্জ বাসির দোয়া ও সহযোগিতা চাই।