ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে কালী মূর্তি ভাঙার নেপথ্যে কী?

২৩ অক্টোবর কালী পূজার আগের রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারে কয়েকটি কালী মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পরদনি সকালে তা জানতে পারেন এলাকাবাসী। 

ভাঙা কালী মূর্তিগুলোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটকের পর পুলিশ বলছে এই মূর্তি যারা তৈরি করেছিলেন তারা নিজেরাই সেটি ভেঙেছেন। প্রতিমা বিক্রি না হওয়ায় তা নিয়ে হতাশা ছিল তাদের মধ্যে। তাই সহানুভূতি পেতে এ কাজ করেছেন।

পুলিশ যে তিনজনকে আটক করেছে তাদের মধ্যে একজন প্রতিমাশিল্পী, আর অন্য দুজন তার সহযোগী। পুলিশ বলছে, ওই তিনজনকে জেরা করে এটাই জানা গেছে যে তারা প্রতিমা গড়ার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েছিল, কিন্তু মূর্তিগুলোতে কিছু না কিছু খুঁত ছিল বলে ক্রেতারা সেগুলো নিতে চাননি। অগ্রিমের টাকাও ফেরত দেওয়ার চাপ ছিল। আটক প্রতিমাশিল্পীর ভাইও পুলিশকে একই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন,  একটা নয়, একের পর এক ক্রেতা এসে খুঁত দেখতে পাচ্ছিল। তারা টাকাও ফেরত চাইছিল। সেদিন রাতে মদ খেয়ে দাদা বলে যে ঠাকুর ভেঙে ফেল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে কালী মূর্তি ভাঙার নেপথ্যে কী?

আপডেট সময় ১১:০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

২৩ অক্টোবর কালী পূজার আগের রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবারে কয়েকটি কালী মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পরদনি সকালে তা জানতে পারেন এলাকাবাসী। 

ভাঙা কালী মূর্তিগুলোর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটকের পর পুলিশ বলছে এই মূর্তি যারা তৈরি করেছিলেন তারা নিজেরাই সেটি ভেঙেছেন। প্রতিমা বিক্রি না হওয়ায় তা নিয়ে হতাশা ছিল তাদের মধ্যে। তাই সহানুভূতি পেতে এ কাজ করেছেন।

পুলিশ যে তিনজনকে আটক করেছে তাদের মধ্যে একজন প্রতিমাশিল্পী, আর অন্য দুজন তার সহযোগী। পুলিশ বলছে, ওই তিনজনকে জেরা করে এটাই জানা গেছে যে তারা প্রতিমা গড়ার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েছিল, কিন্তু মূর্তিগুলোতে কিছু না কিছু খুঁত ছিল বলে ক্রেতারা সেগুলো নিতে চাননি। অগ্রিমের টাকাও ফেরত দেওয়ার চাপ ছিল। আটক প্রতিমাশিল্পীর ভাইও পুলিশকে একই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন,  একটা নয়, একের পর এক ক্রেতা এসে খুঁত দেখতে পাচ্ছিল। তারা টাকাও ফেরত চাইছিল। সেদিন রাতে মদ খেয়ে দাদা বলে যে ঠাকুর ভেঙে ফেল।