বরগুনাঃ একদিকে ভাঙা ব্রিজ, অন্যদিকে ভাঙা ব্রিজের উপর বাশের সাঁকো। যানবাহন তো দুরে থাক সাধারন মানুষ পারাপারেই পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। কৃষকের উৎপাদিত পন্য পরিবহন হচ্ছে বাঁধাগ্রস্ত। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হচ্ছে মারাত্মক ভোগান্তিতে। অসুস্থ রোগী নিয়ে পারাপারও কষ্টসাধ্য। তাই ব্রিজ নির্মান ও সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। কর্তৃপক্ষ বলছে শীঘ্রই পর্যায়ক্রমে ব্রিজ নির্মান ও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপকূলীও জেলা বরগুনার ভূকন্ডটির চারপাশে ঘিরে আছে অসংখ্য নদ-নদী আর খাল। জেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কমপক্ষে ৩১০ টি প্রাকৃতিক খাল ও নদী। আর এই খাল ও নদী পারাপারে মাধ্যম হচ্ছে ব্রিজ। কিন্তু আমতলীর তুজির খাল ও বাশবুনিয়া নদীতে ব্রিজ না থাকায় উপজেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের পোটকাখালী নদীতে ভাঙা ব্রিজের উপর বাশের সাঁকো দিয়ে ঝুকিপূর্ণ ভাবে পারাপার করে ৩ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। পোটকাখালী নদীতে ব্রিজ থাকলেও বছর পাচেক আগে ব্রিজটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুইপারের মানুষের পারাপারে এখন ভাঙা ব্রিজের উপর বাশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি বাশের সাকো নির্মাণ করা হলেও প্রতিনিয়ত খাল পাড়াপাড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনকি প্রাণহানির মতোও ঘটনা ঘটেছে এখানে। তবুও আজ পর্যন্ত ব্রিজ পায়নি তারা। কৃষকের যন্ত্রপাতি, সার, বীজ ও উৎপাদিত পন্য পরিবহন হচ্ছে বাঁধাগ্রস্ত।
জেলায় প্রায় বিভিন্ন দপ্তরের ৭০০টির মত ব্রিজ থাকলেও তার সিংহ ভাগই দির্ঘদিন মেরামত না করায় ভাঙ্গা ব্রিজের কারনে বসবাসরত মানুষগুলোকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে পারাপার হচ্ছে কষ্টসাধ্য। অনেক সময় বিনাচিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান-
জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ প্রতিনিয়ত ভাঙা ব্রিজ ও সাকো দিয়ে পারাপারে শিক্ষার্থীদেরও পোহাতে হচ্ছে মারাত্মক ভোগান্তি। ব্যহত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম।
এই সকল ভাঙ্গা ব্রিজ সংস্কার না হওয়ায় গ্রামিন মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। তাই জনগনের ভোগান্তি লাঘবের জন্য অবকাঠামোতগ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্রিজের দাবি জানালেন সচেতন মহল।
পর্যায়ক্রমে এসব ব্রিজ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলীমোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,
বিভন্নি দপ্তরের নির্মিত জেলার ভাঙ্গা ব্রিজ গুলো সংস্কার ও নির্মাান করা আশ্বাস দেন বরগুনা জেলা প্রশাসন।