“কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও ”এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাহারাম নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আমরা হাওরবাসী নামের সংগঠন।
রবিবার দুপুর ২টায় তাহিরপুর উপজেলার পূর্ববাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, তাহিরপুর উপজেলার ছোট-বড় ২৩ টি হাওরের আগামী বোরো ফসল বিনষ্ট করার লক্ষ্যে মাহারাম-শান্তিপুর নদীর মুখে জমাট বালি অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালি উত্তোলন করে আসছে একটি সিন্ডিকেট। মাসখানেক ধরে প্রতিদিন রাতে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছে। যা হাওর বাসীর আগামী বোরো ফসল রক্ষায় একমাত্র গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। এ সময় বক্তারা,উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে ইঙ্গিত করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে বক্তব্য প্রদান করেন ।
বিক্ষোভ সমাবেশে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী মুর্তজা অভিযোগ করে বলেন,মাহারাম নদী থেকে একটি চক্র দিনে রাতে অবাধে বালি উত্তোলন করছে। ফলে আমাদের বোরো ফসল হুমকির মুখে পরবে। তিনি বলেন,এখনি যদি মাহারাম নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ না করা হয় তাহলে আগামি বোরো মৌসুম আমাদের জন্য আগাম বন্যার ঝুকিতে পরবে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন, একলাছুর রহমান তারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম সেলিম আখন্জি, আজিজুল হক,মিজানুর রহমাম,উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান, শ্রমীকলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, সেচ্চাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক ইমরান হোসেন দ্বীপক, আওয়ামীলীগ নেতা মাসুক মিয়া,উপজেলা যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশ্রাউল জামান ইমন । সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সহ প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক জনতা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি ও বিক্ষোভের বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,দিনে রাতে যেভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারের একটি আশ্রায়ন প্রকল্পও হুমকির মুখে পরে যাচ্ছে। এটা বন্ধের দাবিতে আমরা স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে বসে আলাপ করবো। কিভাবে এটা বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে কথা বলবো।