ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীর পাড় কেটে বিক্রি করার প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সাংবাদিকের উপর হামলা

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রা বন্ধ ইউনিয়নের অন্তর্গত সালমারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নদীর বালু/মাটি উত্তোলন করার প্রতিবেদন দৈনিক মানব কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশ করার জের ধরে উক্ত পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিক রাকিবুল হাসানকে শালমারায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শরিফুল গং মারপিট করেন বলে প্রত্যাক্ষ দর্শিরা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

মিঠাপুকুরে পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালমারা নদীর নব্য খননকৃত অংশের পাঁড় কেটে মাটি বিক্রি অভিযোগ উঠেছে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) শালমারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের প্রাচীর সংলগ্ন শালমারা খালের উচু পাড় কেটে অবাধে বিক্রি করছে মাটি।

মাটি বিক্রির ইজারা নেয়া মমিনুল ইসলাম জানান, এই মাটি ৩৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি স্কুল কমিটির কাছে। এ বিষয়ে আমাদের সরকারি অনুমতি আছে।

বালু মাটির ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন স্কুল কমিটির সদস্য পরিচয় দেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। তিনি জানান, আমরা স্কুলের উন্নয়নে এসব ব্যয় করতেছি। শালমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন স্কুল কমিটি হওয়ার পর থেকেই আমরা ব্যক্তিগত টাকা খরছ করে উন্নয়ন করতেছি। আপনারা পুরো স্কুলের উন্নয়নের ভিডিও নিয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নদী পুনঃখনন করে দুই পাড় উঁচু করেছে মাটি দিয়ে। কিন্তু স্কুলের ভবন মাটির নিচে তলিয়ে যাওয়ার অজুহাতে এই পাঁড় কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করতেছে একটি চক্র। এভাবে চলতে থাকলে সামান্য বন্যায় আবারো প্লাবিত হবে শালমারার কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, বাড়িঘর।

এ বিষয়ে অজ্ঞাত কারণে নীরব রয়েছে নদী রক্ষা কমিটি ও প্রশাসন।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানায়, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনী তবে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রংপুর সার্কেল এর প্রকল্প পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) হাবিবুর রহমান খান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানায়, শালমারা স্কুল সংলগ্ন আমরা কোনো মাটি বিক্রির অনুমতি দেয়নি। আমরা কোনো মাটি বিক্রির ব্যবসা করি না। এ বিষয়ে এখনি লোক পাঠিয়ে তদন্ত পূর্বক আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নদীর পাড় কেটে বিক্রি করার প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সাংবাদিকের উপর হামলা

আপডেট সময় ০৪:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রা বন্ধ ইউনিয়নের অন্তর্গত সালমারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নদীর বালু/মাটি উত্তোলন করার প্রতিবেদন দৈনিক মানব কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশ করার জের ধরে উক্ত পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিক রাকিবুল হাসানকে শালমারায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শরিফুল গং মারপিট করেন বলে প্রত্যাক্ষ দর্শিরা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

মিঠাপুকুরে পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালমারা নদীর নব্য খননকৃত অংশের পাঁড় কেটে মাটি বিক্রি অভিযোগ উঠেছে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) শালমারা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের প্রাচীর সংলগ্ন শালমারা খালের উচু পাড় কেটে অবাধে বিক্রি করছে মাটি।

মাটি বিক্রির ইজারা নেয়া মমিনুল ইসলাম জানান, এই মাটি ৩৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি স্কুল কমিটির কাছে। এ বিষয়ে আমাদের সরকারি অনুমতি আছে।

বালু মাটির ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন স্কুল কমিটির সদস্য পরিচয় দেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। তিনি জানান, আমরা স্কুলের উন্নয়নে এসব ব্যয় করতেছি। শালমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন স্কুল কমিটি হওয়ার পর থেকেই আমরা ব্যক্তিগত টাকা খরছ করে উন্নয়ন করতেছি। আপনারা পুরো স্কুলের উন্নয়নের ভিডিও নিয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নদী পুনঃখনন করে দুই পাড় উঁচু করেছে মাটি দিয়ে। কিন্তু স্কুলের ভবন মাটির নিচে তলিয়ে যাওয়ার অজুহাতে এই পাঁড় কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করতেছে একটি চক্র। এভাবে চলতে থাকলে সামান্য বন্যায় আবারো প্লাবিত হবে শালমারার কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, বাড়িঘর।

এ বিষয়ে অজ্ঞাত কারণে নীরব রয়েছে নদী রক্ষা কমিটি ও প্রশাসন।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানায়, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনী তবে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রংপুর সার্কেল এর প্রকল্প পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) হাবিবুর রহমান খান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানায়, শালমারা স্কুল সংলগ্ন আমরা কোনো মাটি বিক্রির অনুমতি দেয়নি। আমরা কোনো মাটি বিক্রির ব্যবসা করি না। এ বিষয়ে এখনি লোক পাঠিয়ে তদন্ত পূর্বক আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।