কৃষ্ণা, মারিয়াদের নিয়ে একাধিক শিরোপা জিতেছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এবার তাদের অনুজ ফুটবলারদের নিয়েও শিরোপা জিততে চান এই সফল কোচ। আসন্ন সাফ অ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়াই বাংলাদেশের লক্ষ্য।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে। এর সপ্তাহ তিনেক পর বিশ্বকাপ ফুটবল মাঠে গড়াবে। এসময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে সাফ অ-১৫ নারী ফুটবল লিগ। ১ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে এই আসর চলবে। আসন্ন সাফ অ-১৫ আসর নিয়ে কোচ ছোটন বলেন, ‘অ-১৫ দলে সবাই নতুন। এরাও মেধাবী ফুটবলার। ম্যাচে আশা করি প্রমাণ মিলবে।’ এই ফুটবলারদের সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘জেএফএ অনূর্ধ্ব ১৪, ইউনিসেফের নারী টুর্নামেন্টে এরা অংশগ্রহণ করেছে। সেখান থেকেই তাদের বাছাই করা হয়েছে। এরপর থেকে তারা অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে’।
এই টুর্নামেন্টের বিগত তিন আসরেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদশে। ২০১৭ সালে প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হলেও পরের দুই আসরে ভারতের কাছে হেরে রানারআপ হয় লাল-সবুজের দল। এবারের টুর্নামেন্টে শুধু নেপাল ও ভুটান অংশ নিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশই অলিখিতভাবে ফেভারিট। তারপরও এই দুই দলকে ছোট করে দেখছেন না কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘এখন দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করছে। নেপাল সিনিয়র পর্যায়ে অনেক ভালো দল। জুনিয়রেও তাদের ভালো অবস্থা। জুনিয়র পর্যায়ে শক্তিও সব দলের কাছাকাছি’।
প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও নিজের দলকে সেরা হিসেবেই দেখতে চান ছোটন, ‘এই কমলাপুরেই আমরা একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার আবার শিরোপা জিততে চাই। এজন্য টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচ জিতে সুন্দর শুরু করতে চাই’। মাত্র তিন দেশ অংশগ্রহণ করায় টুর্নামেন্টের ফরম্যাটও একটু ভিন্ন। প্রতি দল একে অন্যের সঙ্গে দুইবার করে ম্যাচ খেলবে। তিন দলের মধ্যে শীর্ষ পয়েন্টধারী দল চ্যাম্পিয়ন হবে।
বাংলাদেশের ম্যাচগুলো—
১ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম ভুটান
৫ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম নেপাল
৭ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম ভুটান
১১ নভেম্বর বাংলাদেশ বনাম নেপাল
সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠেয় হবে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।