লিওনেল মেসি জোড়া গোল করলেন, করালেনও; সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপেও করলেন তা-ই, নেইমারও নাম লেখালেন গোলের খাতায়। এই ত্রয়ীর সম্মিলিত চেষ্টায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইসরায়েলের ক্লাব মাকাবি হাইফাকে নিয়ে যেন রীতিমতো ছেলেখেলাই করল পিএসজি! ৭-২ গোলের এই বিরাট জয়ে ইতোমধ্যে শেষ ষোলও নিশ্চিত করে ফেলেছে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা।
গত রাতে নিজেদের মাঠে পিএসজির গোলের খাতাটা খোলেন মেসি। ১৯ মিনিটে এমবাপের বাড়ানো বলে হকচকিয়ে যায় মাকাবির রক্ষণভাগ, আর্জেন্টাইন তারকা সেই সুযোগটাই নেন। বাম পাশে অনেকটা ডেডবল পরিস্থিতি থেকে শট নেন দূরের পোস্টে, তা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। ১৩ মিনিট পর প্রায় একই রকম পরিস্থিতি থেকে এমবাপে করেন দ্বিতীয় গোলটা। ৩৫ মিনিটে নেইমার গোল পান মেসির পাস থেকে, তার গোলটাও এসেছে সেই বাম পাশ থেকে করা শটেই! ফ্রি কিক থেকে অবশ্য ম্যাকাবি হাইফা একটা গোল শোধ করে। আবদুলায়ে সেকের সেই গোলের পর অবশ্য সফরকারীরা সে দুই গোলের ব্যবধানে থাকতে পারে মাত্র ৬ মিনিট। বিরতির একটু আগে বক্সের বাইরে থেকে করা মেসির শট মাকাবি রক্ষণ ভেঙে জড়ায় জালে। ৪-১ ব্যবধান নিয়ে পিএসজি যায় বিরতিতে।
প্রথমার্ধে সফরকারীদের হয়ে গোল করা আবদুলায়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে বসেন আবার। ব্যবধানটা ৪-২ করে ম্যাচে ফেরার একটা ক্ষীণ আশা জন্মেছিল দলটিতে। তবে সে আশাটা মিলিয়ে গেছে এরপরই। ৬৪ মিনিটে এমবাপের গোলে আবারও তিন গোলের লিড ফিরে পায় পিএসজি। এরপর নেইমারের পাস নিজেদের জালে জড়ান সফরকারী ডিফেন্ডার শন গোল্ডবার্গ। ৮৪ মিনিটে মাকাবির কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন কার্লোস সোলের, মেসির পাসে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে বসেন তিনি, করে ফেলেন গোলটা। যার ফলে ম্যাচটা ৭-২ ব্যবধান নিয়ে শেষ করে পিএসজি।
তবে দিনের অন্য ম্যাচে কপাল পুড়েছে জুভেন্তাসের। রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে বেনফিকার কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে দলটি। এই ম্যাচের ফলাফলে বেনফিকা চলে এসেছে গ্রুপসেরার লড়াইয়ে। শেষ ম্যাচে মাকাবি হাইফাকে ৫ কিংবা তার চেয়ে বেশি গোলে হারালে পিএসজিকে টপকে এইচ গ্রুপের সেরা দল হয়ে শেষ ষোলয় ওঠার দারুণ সুযোগ তৈরি হবে দলটির সামনে।