ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি নাশকতায় কোনো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো এক জঙ্গি সোনারগাঁয়ে গ্রেফতার বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চক্রান্ত করছে সরকার: মির্জা ফখরুল সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক চালুর বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি চান প্রতিমন্ত্রী পলক চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলা আহত ২ ছাত্রকে দেখতে মেডিক্যালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তিন দিন পর খুললো ব্যাংক, টাকা তুলতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়! এত রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কার চাইনি: সমন্বয়ক

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য, অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগ বন্ধ হবে কবে?

কয়েকদিন আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঠিক এমন সময়ে এক বন্ধুর ভাই মুঠোফোনে জানালেন, তিনি অসুস্থ।

তাঁরা রংপুরের পীরগাছা উপজেলা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা করেছেন। আমি সব কাজ ফেলে তাঁদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলাম।

হাসপাতালে ভর্তিতে নিয়েছে ৫০ টাকা। যদিও কাউন্টারের ওপরে লেখা ভর্তি ৩৫ টাকা। একটি ট্রলিতে রোগী ওয়ার্ডে নিয়ে গেল। ট্রলিওয়ালাও ২০০ টাকা নেন। তখন বিকেল চারটা বাজে। বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। ইন্টার্ন চিকিৎসক দীর্ঘ ওষুধের তালিকা দিলেন। আমি নিজে দৌড়ে বাইরে গিয়ে ওষুধ নিয়ে এলাম। অনেক টাকার ওষুধ কিনে এনেছিলাম। রোগী আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। ওষুধগুলো মিনিট দুয়েকের জন্য ওখানে একজন সেবাদানকারী নিয়েছিলেন।

ওটুকু সময়েই কীভাবে যেন স্যালাইন বাদে সব ওষুধ তছরুপ হয়ে গেল! চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই একজন লোককে নিয়ে এসে উপস্থিত একজন বলছেন, উনি ইসিজি করেছেন। কখন ইসিজি করলেন দেখতেই পেলাম না। ইসিজি বাবদ ৫০০ টাকা নিলেন। তাঁকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।

অসুস্থ একজন মানুষ, এ অবস্থায় রোগীর সঙ্গে থাকা যে কেউই স্বাভাবিক থাকতে পারবেন না। আমরাও ছিলাম না। তখন কে হাসপাতালের কর্মচারী, কে দালাল কিছুই জিজ্ঞাসা করার অবকাশ ছিল না। ওখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা যে প্রত্যেকে প্রতারক চক্র, এটা বুঝতে বাকি ছিল না। সেবাদানে সবচেয়ে কম সক্রিয় ছিলেন চিকৎসক ও নার্সরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্মে্য অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনেরা। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকও যদি রোগী হন কিংবা রোগীর স্বজন হন, তাঁরাও অসহায় দুর্বৃত্ত চক্রের কাছে। অবস্থা এমন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

অনেকেরই অভিযোগ, সরকারদলীয়দের যোগসাজশে বহাল তবিয়তে আছে হাসপাতালের সিন্ডিকেট। সব সময় সরকার দলীয়দের ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতি এখানে দীর্ঘতর হয়েছে। আজকের এ অবস্থায় আসার নেপথ্যে যে পরিচালকদের তোষণনীতি ছিল না, তা নয়। কোনো পরিচালককে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অসাধুদের মাথায় তুলে রাখায় অবস্থা এমন হয়েছে যে তারা এখন দায়িত্বশীলদের কান ধরে টানছে। এই কান ধরে টানাটানি আর গোপনে নেই, প্রকাশ্যেই টানছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে এই দাঁড়ানো ঢের বিলম্ব হয়েছে। শিকড় এদের অনেক গভীরে। অসাধুদের দুর্বৃত্তায়ন ভেঙে ফেলতে হলে এখন অনেক বড় কাজ করতে হবে। লোকদেখানো দু–চারজন ব্যক্তির বদলি আর সাময়িক বরখাস্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সুস্থ করে তুলতে পারবে না।

হাসপাতালে কেউ-ই শখ করে যান না। খুব না ঠেকলে কেউ অন্তত সরকারি হাসপাতালের দিকে মুখ করেন না। যখন রোগী ভর্তি করাতে যান, তখন রোগীর সঙ্গে থাকা মানুষের মানসিক অবস্থা ভালো থাকে না। এমন অবস্থায় তাদেরে বিপদে ফেলে পদে পদে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো জঘন্য কাজ চলে এ হাসপাতালে।

সম্প্রতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসকের মায়ের চিকিৎসার সময়ও এসব দালাল ছাড় দেয়নি। তিনি লিখিত অভিযোগ করলে হাসপাতালের পরিচালক দুজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন। তারপর হাসপাতালটিতে সম্মিলিত চিকিৎসক সমাজ একটি মানববন্ধন করে। ব্যানারে লেখা ছিল ‘অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য, অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ মানববন্ধন ইতিহাস হয়ে থাকবে। যাঁরা হাসপাতালের নিয়ম প্রতিষ্ঠা করবেন, দৌরাত্ম্য বন্ধ করবেন, জনদুর্ভোগ বন্ধ করবেন, তাঁরাই মানববন্ধন করেছেন। তার মানে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কতটা ভয়াবহ হলে চিকিৎসকেরাও এমন নিরুপায় হন। শুধু যে অসাধু কর্মচারীর দৌরাত্ম্য নয়, এর নেপথ্যে কর্তাব্যক্তিরাও আছেন, তা দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।

আমরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুস্থতা চাই। যেকোনো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও যেন গিয়ে সঠিক সেবা পায়, সেটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা জানি, সরকারি হাসপাতাল ভালো চললে প্রাইভেট স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের জন্য তা সুখের হবে না। সরকারি হাসপাতালকে অকার্যকর করার ক্ষেত্রে এসব ব্যবসায়ী চিকিৎসকের হাত আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।

দেশে কি এমন একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে না, যিনি উদ্যোগ নিয়ে এ হাসপাতালকে সুস্থ করে তুলবেন? স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব, রংপুরের যেকোনো মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, মেয়রসহ এমন কি কাউকে পাওয়া যাবে না, যিনি এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারেন?

বদলি, সাময়িক বরখাস্ত করে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা অপেক্ষায় আছি, কেউ না কেউ রংপুর বিভাগের দুই কোটি মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য, অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগ বন্ধ হবে কবে?

আপডেট সময় ১২:১৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

কয়েকদিন আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঠিক এমন সময়ে এক বন্ধুর ভাই মুঠোফোনে জানালেন, তিনি অসুস্থ।

তাঁরা রংপুরের পীরগাছা উপজেলা থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা করেছেন। আমি সব কাজ ফেলে তাঁদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলাম।

হাসপাতালে ভর্তিতে নিয়েছে ৫০ টাকা। যদিও কাউন্টারের ওপরে লেখা ভর্তি ৩৫ টাকা। একটি ট্রলিতে রোগী ওয়ার্ডে নিয়ে গেল। ট্রলিওয়ালাও ২০০ টাকা নেন। তখন বিকেল চারটা বাজে। বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। ইন্টার্ন চিকিৎসক দীর্ঘ ওষুধের তালিকা দিলেন। আমি নিজে দৌড়ে বাইরে গিয়ে ওষুধ নিয়ে এলাম। অনেক টাকার ওষুধ কিনে এনেছিলাম। রোগী আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। ওষুধগুলো মিনিট দুয়েকের জন্য ওখানে একজন সেবাদানকারী নিয়েছিলেন।

ওটুকু সময়েই কীভাবে যেন স্যালাইন বাদে সব ওষুধ তছরুপ হয়ে গেল! চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই একজন লোককে নিয়ে এসে উপস্থিত একজন বলছেন, উনি ইসিজি করেছেন। কখন ইসিজি করলেন দেখতেই পেলাম না। ইসিজি বাবদ ৫০০ টাকা নিলেন। তাঁকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।

অসুস্থ একজন মানুষ, এ অবস্থায় রোগীর সঙ্গে থাকা যে কেউই স্বাভাবিক থাকতে পারবেন না। আমরাও ছিলাম না। তখন কে হাসপাতালের কর্মচারী, কে দালাল কিছুই জিজ্ঞাসা করার অবকাশ ছিল না। ওখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা যে প্রত্যেকে প্রতারক চক্র, এটা বুঝতে বাকি ছিল না। সেবাদানে সবচেয়ে কম সক্রিয় ছিলেন চিকৎসক ও নার্সরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্মে্য অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনেরা। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকও যদি রোগী হন কিংবা রোগীর স্বজন হন, তাঁরাও অসহায় দুর্বৃত্ত চক্রের কাছে। অবস্থা এমন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

অনেকেরই অভিযোগ, সরকারদলীয়দের যোগসাজশে বহাল তবিয়তে আছে হাসপাতালের সিন্ডিকেট। সব সময় সরকার দলীয়দের ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতি এখানে দীর্ঘতর হয়েছে। আজকের এ অবস্থায় আসার নেপথ্যে যে পরিচালকদের তোষণনীতি ছিল না, তা নয়। কোনো পরিচালককে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অসাধুদের মাথায় তুলে রাখায় অবস্থা এমন হয়েছে যে তারা এখন দায়িত্বশীলদের কান ধরে টানছে। এই কান ধরে টানাটানি আর গোপনে নেই, প্রকাশ্যেই টানছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে এই দাঁড়ানো ঢের বিলম্ব হয়েছে। শিকড় এদের অনেক গভীরে। অসাধুদের দুর্বৃত্তায়ন ভেঙে ফেলতে হলে এখন অনেক বড় কাজ করতে হবে। লোকদেখানো দু–চারজন ব্যক্তির বদলি আর সাময়িক বরখাস্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সুস্থ করে তুলতে পারবে না।

হাসপাতালে কেউ-ই শখ করে যান না। খুব না ঠেকলে কেউ অন্তত সরকারি হাসপাতালের দিকে মুখ করেন না। যখন রোগী ভর্তি করাতে যান, তখন রোগীর সঙ্গে থাকা মানুষের মানসিক অবস্থা ভালো থাকে না। এমন অবস্থায় তাদেরে বিপদে ফেলে পদে পদে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো জঘন্য কাজ চলে এ হাসপাতালে।

সম্প্রতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসকের মায়ের চিকিৎসার সময়ও এসব দালাল ছাড় দেয়নি। তিনি লিখিত অভিযোগ করলে হাসপাতালের পরিচালক দুজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন। তারপর হাসপাতালটিতে সম্মিলিত চিকিৎসক সমাজ একটি মানববন্ধন করে। ব্যানারে লেখা ছিল ‘অসাধু চক্রের দৌরাত্ম্য, অব্যবস্থাপনা ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ মানববন্ধন ইতিহাস হয়ে থাকবে। যাঁরা হাসপাতালের নিয়ম প্রতিষ্ঠা করবেন, দৌরাত্ম্য বন্ধ করবেন, জনদুর্ভোগ বন্ধ করবেন, তাঁরাই মানববন্ধন করেছেন। তার মানে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কতটা ভয়াবহ হলে চিকিৎসকেরাও এমন নিরুপায় হন। শুধু যে অসাধু কর্মচারীর দৌরাত্ম্য নয়, এর নেপথ্যে কর্তাব্যক্তিরাও আছেন, তা দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।

আমরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুস্থতা চাই। যেকোনো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষও যেন গিয়ে সঠিক সেবা পায়, সেটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা জানি, সরকারি হাসপাতাল ভালো চললে প্রাইভেট স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের জন্য তা সুখের হবে না। সরকারি হাসপাতালকে অকার্যকর করার ক্ষেত্রে এসব ব্যবসায়ী চিকিৎসকের হাত আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।

দেশে কি এমন একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে না, যিনি উদ্যোগ নিয়ে এ হাসপাতালকে সুস্থ করে তুলবেন? স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব, রংপুরের যেকোনো মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, মেয়রসহ এমন কি কাউকে পাওয়া যাবে না, যিনি এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারেন?

বদলি, সাময়িক বরখাস্ত করে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা অপেক্ষায় আছি, কেউ না কেউ রংপুর বিভাগের দুই কোটি মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।