ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী মহানগর বিএনপির ১১ নেতা ও ৫ নেত্রীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়

রাজশাহী মহানগর ১১ নেতা ও ৫ নেত্রীকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তাদের দ্রুত বহিস্কার করতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রবিবার ইমেইলে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। এর ফলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি’র ১৬ নেতা নেত্রী বহিষ্কার এখন সময়ের ব্যাপার।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা ঢাকা চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

তিনি জানান, গত রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা ও সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

বহিষ্কারের জন্য যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, নগর বিএনপির রাজপাড়া থানা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদি (৬ নম্বর ওয়ার্ড), ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু বকর কিনু (১১ নম্বর ওয়ার্ড), শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সোঃ টুটুল (১৪ নম্বর ওয়ার্ড), সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান লিটন (১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু (১৯ নম্বর ওয়ার্ড), ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিপন (২২ নম্বর ওয়ার্ড), বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন (২৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আজব (২৭ নম্বর ওয়ার্ড), মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল হাসান বাচ্চু (২৮ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেগম বেলী (সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলতাফুন নেসা পুতুল (সংরক্ষিত ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার (সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম শিখা (সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ৪ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক আয়েশা খাতুন মুক্তি (সংরক্ষিত ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড)।

এদের মধ্যে ১১ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বাকি ৫ জন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া গত মেয়াদেও সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৫ জন। নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা জানান, বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে আর কোনো প্রকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ তারা দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে বিএনপির সমর্থিত কাউন্সিলার শামসুন্নাহার জানান, এলাকাবাসীর চাপে এবং ওয়ার্ডের জনগণের কল্যানের কথা চিন্তা করেই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি নির্বাচন করে জয়ি হবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি কাউন্সিলর না হলে সাধারণ মানুষের আত্ম সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন না। বিধায় সকলের কথা চিন্তা করেই এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। দল থেকে তাকে বহিষ্কার করলেও তিনি বিএনপির একজন কর্মী ও সমর্থক হিসেবেই আগামীতে কাজ করে যাবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী মহানগর বিএনপির ১১ নেতা ও ৫ নেত্রীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়

আপডেট সময় ০৪:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

রাজশাহী মহানগর ১১ নেতা ও ৫ নেত্রীকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তাদের দ্রুত বহিস্কার করতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রবিবার ইমেইলে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। এর ফলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি’র ১৬ নেতা নেত্রী বহিষ্কার এখন সময়ের ব্যাপার।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা ঢাকা চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

তিনি জানান, গত রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা ও সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

বহিষ্কারের জন্য যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, নগর বিএনপির রাজপাড়া থানা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদি (৬ নম্বর ওয়ার্ড), ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু বকর কিনু (১১ নম্বর ওয়ার্ড), শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সোঃ টুটুল (১৪ নম্বর ওয়ার্ড), সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান লিটন (১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু (১৯ নম্বর ওয়ার্ড), ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিপন (২২ নম্বর ওয়ার্ড), বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন (২৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আজব (২৭ নম্বর ওয়ার্ড), মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল হাসান বাচ্চু (২৮ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেগম বেলী (সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলতাফুন নেসা পুতুল (সংরক্ষিত ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার (সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম শিখা (সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ৪ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক আয়েশা খাতুন মুক্তি (সংরক্ষিত ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড)।

এদের মধ্যে ১১ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বাকি ৫ জন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া গত মেয়াদেও সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৫ জন। নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা জানান, বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে আর কোনো প্রকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ তারা দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে বিএনপির সমর্থিত কাউন্সিলার শামসুন্নাহার জানান, এলাকাবাসীর চাপে এবং ওয়ার্ডের জনগণের কল্যানের কথা চিন্তা করেই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি নির্বাচন করে জয়ি হবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি কাউন্সিলর না হলে সাধারণ মানুষের আত্ম সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন না। বিধায় সকলের কথা চিন্তা করেই এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। দল থেকে তাকে বহিষ্কার করলেও তিনি বিএনপির একজন কর্মী ও সমর্থক হিসেবেই আগামীতে কাজ করে যাবেন।