ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমের মধ্যেই মারা গেলো শিশুটি

মাদারীপুরের শিবচরে ১৫ মাস বয়সী আলিফ নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে শিশুটির মা বাইরে গিয়ে ঘরগৃহস্থলির কাজ শেষে কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে দেখেন শিশুটি অচেতন হয়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে প্রচন্ড গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের মগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি ওই গ্রামের ওবায়দুল শরীফের একমাত্র সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে শিশু আলিফকে ঘুম পাড়িয়ে মা ডলি আক্তার বাড়ির পাশের বাজারে যায় এবং বাড়ি ফিরে অন্যান্য কাজ শেষ করে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘরে ফিরে দেখেন শিশুটি অচেতন হয়ে আছে। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। তবে এর আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের মধ্যে প্রচন্ড গরমে শিশুটি ঘুমের মধ্যে মারা যায় বলে ধারনা করছে পরিবারের সদস্যরা। এসময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না।

পরিবারের বরাত দিয়ে প্রতিবেশী টিটু শরীফ বলেন,’ঘরে যখন বাচ্চাটিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরের ভেতরও অনেক গরম ছিল। বাচ্চাকে রেখে ওর মা বাইরে কাজ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর ঘরে গিয়ে শিশুটির কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে চিৎকার দেয়। আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় দেখে মাথায় পানি ঢালে। কিন্তু আর চেতনা ফিরে নি। শ্বাস-প্রশ্বাসও চলছিল না। পরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অনেক আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। প্রচন্ড গরমের কারনেই শিশুটির মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ শিশুটি সকালেও খেলাধুলা করেছে। খুবই চঞ্চল ছিল।’

শিশুটির বাবা ওবায়দুল শরীফ জানান,’আলীফকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে হাতপাখার বাতাস করে ওর মা। পরে বাইরে আসে টুকটাক কাজ কর্ম করতে। কিছুক্ষণ পর ঘরে গিয়ে দেখে আলীফ নড়াচড়া করছে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘুমের মধ্যেই মারা গেলো শিশুটি

আপডেট সময় ০১:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

মাদারীপুরের শিবচরে ১৫ মাস বয়সী আলিফ নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে শিশুটির মা বাইরে গিয়ে ঘরগৃহস্থলির কাজ শেষে কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে দেখেন শিশুটি অচেতন হয়ে আছে। ধারনা করা হচ্ছে প্রচন্ড গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের মগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি ওই গ্রামের ওবায়দুল শরীফের একমাত্র সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে শিশু আলিফকে ঘুম পাড়িয়ে মা ডলি আক্তার বাড়ির পাশের বাজারে যায় এবং বাড়ি ফিরে অন্যান্য কাজ শেষ করে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘরে ফিরে দেখেন শিশুটি অচেতন হয়ে আছে। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে দ্রুত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। তবে এর আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের মধ্যে প্রচন্ড গরমে শিশুটি ঘুমের মধ্যে মারা যায় বলে ধারনা করছে পরিবারের সদস্যরা। এসময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না।

পরিবারের বরাত দিয়ে প্রতিবেশী টিটু শরীফ বলেন,’ঘরে যখন বাচ্চাটিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরের ভেতরও অনেক গরম ছিল। বাচ্চাকে রেখে ওর মা বাইরে কাজ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর ঘরে গিয়ে শিশুটির কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে চিৎকার দেয়। আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় দেখে মাথায় পানি ঢালে। কিন্তু আর চেতনা ফিরে নি। শ্বাস-প্রশ্বাসও চলছিল না। পরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অনেক আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। প্রচন্ড গরমের কারনেই শিশুটির মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ শিশুটি সকালেও খেলাধুলা করেছে। খুবই চঞ্চল ছিল।’

শিশুটির বাবা ওবায়দুল শরীফ জানান,’আলীফকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে হাতপাখার বাতাস করে ওর মা। পরে বাইরে আসে টুকটাক কাজ কর্ম করতে। কিছুক্ষণ পর ঘরে গিয়ে দেখে আলীফ নড়াচড়া করছে না।