ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারানো দিনের রাজনীতি পর্ব ১

মনির আহমেদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ্ব বিজ্ঞ জনপ্রিয় মেধাবী রাজনীতিবিদ সাবেক জিএস নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি মহাবিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাহী সদস্য তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা, ১৯৭০/৭১ ভারতের গিরিলা ট্রেনের প্রাপ্ত ১৯৮৯ সালে দাপটে ক্ষমতাধর প্রতাপশালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

স্বপ্ন ছিল রামগঞ্জুকে ঘিরে, করেছেন রামগঞ্জ পৌরসভা, রামগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা কে টাইটেল মাদ্রাসার রূপান্তরিত করেছেন, রামগঞ্জ সরকারি কলেজে তখন বিএসসি ছিলনা তার একান্ত প্রচেষ্টায় হয়েছে।

ইচ্ছে ছিল অনেক কিছু করার কিন্তু ক্ষমতার পালা বদলে তার কিছু করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উনার ভাষ্যমতে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে জিতেও কম পাওয়া তৎকালীন জাসদ রবকে বিরোধী দল বানানোর অজুহাতে ছেড়ে দিতে হয়।

এছাড়া ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে আরেকবার নির্বাচন করেছিলেন এবং লক্ষ্মীপুর জেলার জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভোট পান। বর্তমানে তিনি বিএনপি নেতা লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি।

স্বাধীনতার পর রামগঞ্জের ক্ষমতাধর তিনজন প্রতাপশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি একজন বাকি দুইজনের নাম না বললে তো নয় আর একজন সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের রামগঞ্জ উপজেলা সভাপতি জননেতা শফিকুল ইসলাম। আরেকজন বিএনপি নেতা সাবেক প্রতাপশালী মন্ত্রী রামগঞ্জের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা মরহুম জিয়াউল হক জিয়া।

যাক যাকে নিয়ে কথা সেই মনির আহমেদ এর বাসায় গিয়েছিলাম সালাম দিয়ে বললাম ভাই কেমন আছেন তবে উনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। সুন্দর চেহারার মানুষ কেন যেন মলিন হয়ে গেছে, স্ত্রী সন্তানদের জন্য নিজের গ্রামের বাড়ি বাট্টায় আলশান বাড়ি করেছেন। অথচ প্রাণপ্রিয় জীবন সংগ্রামের জীবন সঙ্গিনী আজ দুই বছর হল মারা গেছেন। শরীরটা তেমন ভালো নয় ভাবি অত্যন্ত ভালো ছিলেন। ভাবীর কথা বলতে ফেল ফেল করে কেঁদে ফেললেন। আমাকে রামগঞ্জের মানুষ কেমন আছে জিজ্ঞাসা করলেন? আমি হাসিমুখে বললাম সবাই ভালো আছে বলল রামগঞ্জ কে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু কিছু করা সম্ভব হয়নি। জীবনে একবার জাতীয় সংসদে যাওয়ার ও ইচ্ছা ছিল হবে কিনা আল্লাহ ভাল জানেন। আমি বললাম খেলা হবে তখন হেসে দিলেন দুই ছেলে এক মেয়ে উচ্চশিক্ষিত করেছেন সবাইকে নিয়ে ভালোই আছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হারানো দিনের রাজনীতি পর্ব ১

আপডেট সময় ০৬:২২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

মনির আহমেদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ্ব বিজ্ঞ জনপ্রিয় মেধাবী রাজনীতিবিদ সাবেক জিএস নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি মহাবিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাহী সদস্য তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা, ১৯৭০/৭১ ভারতের গিরিলা ট্রেনের প্রাপ্ত ১৯৮৯ সালে দাপটে ক্ষমতাধর প্রতাপশালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

স্বপ্ন ছিল রামগঞ্জুকে ঘিরে, করেছেন রামগঞ্জ পৌরসভা, রামগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা কে টাইটেল মাদ্রাসার রূপান্তরিত করেছেন, রামগঞ্জ সরকারি কলেজে তখন বিএসসি ছিলনা তার একান্ত প্রচেষ্টায় হয়েছে।

ইচ্ছে ছিল অনেক কিছু করার কিন্তু ক্ষমতার পালা বদলে তার কিছু করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উনার ভাষ্যমতে বেসরকারিভাবে বিপুল ভোটে জিতেও কম পাওয়া তৎকালীন জাসদ রবকে বিরোধী দল বানানোর অজুহাতে ছেড়ে দিতে হয়।

এছাড়া ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে আরেকবার নির্বাচন করেছিলেন এবং লক্ষ্মীপুর জেলার জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভোট পান। বর্তমানে তিনি বিএনপি নেতা লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি।

স্বাধীনতার পর রামগঞ্জের ক্ষমতাধর তিনজন প্রতাপশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি একজন বাকি দুইজনের নাম না বললে তো নয় আর একজন সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের রামগঞ্জ উপজেলা সভাপতি জননেতা শফিকুল ইসলাম। আরেকজন বিএনপি নেতা সাবেক প্রতাপশালী মন্ত্রী রামগঞ্জের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা মরহুম জিয়াউল হক জিয়া।

যাক যাকে নিয়ে কথা সেই মনির আহমেদ এর বাসায় গিয়েছিলাম সালাম দিয়ে বললাম ভাই কেমন আছেন তবে উনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। সুন্দর চেহারার মানুষ কেন যেন মলিন হয়ে গেছে, স্ত্রী সন্তানদের জন্য নিজের গ্রামের বাড়ি বাট্টায় আলশান বাড়ি করেছেন। অথচ প্রাণপ্রিয় জীবন সংগ্রামের জীবন সঙ্গিনী আজ দুই বছর হল মারা গেছেন। শরীরটা তেমন ভালো নয় ভাবি অত্যন্ত ভালো ছিলেন। ভাবীর কথা বলতে ফেল ফেল করে কেঁদে ফেললেন। আমাকে রামগঞ্জের মানুষ কেমন আছে জিজ্ঞাসা করলেন? আমি হাসিমুখে বললাম সবাই ভালো আছে বলল রামগঞ্জ কে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু কিছু করা সম্ভব হয়নি। জীবনে একবার জাতীয় সংসদে যাওয়ার ও ইচ্ছা ছিল হবে কিনা আল্লাহ ভাল জানেন। আমি বললাম খেলা হবে তখন হেসে দিলেন দুই ছেলে এক মেয়ে উচ্চশিক্ষিত করেছেন সবাইকে নিয়ে ভালোই আছেন।