ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাহুবলী বন্ধ পাবলিক লাইব্রেরি খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন

বাহুবলে পাবলিক লাইব্রেরী যেখানে জ্ঞান আহরণের এক অন্যতম মাধ্যম। নিরবে বসে সাহিত্যিক কোন বইয়ের সাথে মিশে যাওয়া বা কখনও কোন উপন্যাসের গল্পের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া।তবে সময়ের বিবর্তনে সেই পাবলিক লাইব্রেরীটির অবস্থা এখন একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপক্রম হয়ে গেছে। যা বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে।

বাহুবলে পাবলিক লাইব্রেরীটি স্বপ্নের গল্পের মতই এখন শুধুই অতীত। এই পাবলিক লাইব্রেরীতে এক সময় ছিলো পাঠকের পূর্ণ ও সরব। ওখন নিস্প্রাণ নেই পাঠকের আনাগোনা।

১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া লাইব্রেরীটির সুনাম ছিল। স্থানীয় পাঠকের মুখর হতো। এই লাইব্রেরী কক্ষে লাইব্রেরী ঘিরে ছোট বড়া কম বয়সি সব ধরনের পাঠকের মেলা বসতো। অথচ বাহুবল উপজেলা প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত লাইব্রেরীটির কার্যক্রম এখন একেবারেই স্থবির। দেখভাল করার দায়িত্বশীল লোকের অভাবে এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই পাবলিক লাইব্রেরীটি। কবে এই লাইব্রেরীতে বসে বই পড়েছে এই প্রজন্মের অনেকেরেই তা অজানা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাবলিক লাইব্রেরীটি তালা বদ্ধ এবং ভোতুরে ঘরের মত। কোন এক সময় উক্ত লাইব্রেরীতে বই প্রেমিদের আনাগোনা ছিল। লাইব্রেরীতে বই পড়তেন এমন একজন জানান, যখন আমরা স্কুল কলেজে লেখা পড়া করি তখন এই লাইব্রেরীতে এসে বই পড়তাম। কিন্তু এক সময় দেখা গেছে কোন এক কারণে লাইব্রেরীটি ৪/৫ বছর পর বন্ধ হয়ে যায়।

জেলা প্রসাশক বরাবর জনস্বার্থে পাবলিক লাইব্রেরী খোলে দেয়ার জন্য যিনি আবেদন করেছেন তিনি হলেন জসিম উদ্দিন নামক একজন সাংবাদিক।

সাংবাদিক জসিম উদ্দিন জানান, তিনি যখন ২০১৮ সালে দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ছিলেন, তখন ওই সুবাদে তিনি এই লাইব্রেরীটির বিষয় নিয়ে দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা এবং করাঙ্গি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কমে তথ্য বহুল সংবাদ পরিবেশন করেন।এবং হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বাহুবল উপজেলা ইউ এন ও মহোদয় জসিম উদ্দিন স্যারের নজরে নিয়ে আসেন। তখনকার, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে বাহুবলে ইউ এন ও জসিম উদ্দিন স্যার জ্ঞানী গুণী এবং সচেতন মানুষদের নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীটি সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য একটি ফান্ড তৈরি করেন। ফান্ড তৈরি করার পরে পাবলিক লাইব্রেরীটি সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন করেন ও ২০১৮ সালের ১৭ ই ফেব্রুয়ারী লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মহোদয় মনিষ চাকমা।

এর পর থেকে বাহুবলের মানুষ লাইব্রেরীতে এসে সুষ্টভাবে বই পড়া শুরু করেন। কিন্তু জসিম উদ্দিন স্যার চলে যাওয়ার পরে পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম আবার বন্ধ হয়ে যায়। এর পর পর কয়েজন ইউ এন ও মহোদয় বাহবলে আসেন কিন্তু পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম চালু করতে কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই তিনি জনস্বার্থে পাবলিক লাইব্রেরীরতে একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম চালু করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাহুবলী বন্ধ পাবলিক লাইব্রেরি খুলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন

আপডেট সময় ০৬:০৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

বাহুবলে পাবলিক লাইব্রেরী যেখানে জ্ঞান আহরণের এক অন্যতম মাধ্যম। নিরবে বসে সাহিত্যিক কোন বইয়ের সাথে মিশে যাওয়া বা কখনও কোন উপন্যাসের গল্পের মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া।তবে সময়ের বিবর্তনে সেই পাবলিক লাইব্রেরীটির অবস্থা এখন একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপক্রম হয়ে গেছে। যা বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে।

বাহুবলে পাবলিক লাইব্রেরীটি স্বপ্নের গল্পের মতই এখন শুধুই অতীত। এই পাবলিক লাইব্রেরীতে এক সময় ছিলো পাঠকের পূর্ণ ও সরব। ওখন নিস্প্রাণ নেই পাঠকের আনাগোনা।

১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া লাইব্রেরীটির সুনাম ছিল। স্থানীয় পাঠকের মুখর হতো। এই লাইব্রেরী কক্ষে লাইব্রেরী ঘিরে ছোট বড়া কম বয়সি সব ধরনের পাঠকের মেলা বসতো। অথচ বাহুবল উপজেলা প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত লাইব্রেরীটির কার্যক্রম এখন একেবারেই স্থবির। দেখভাল করার দায়িত্বশীল লোকের অভাবে এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই পাবলিক লাইব্রেরীটি। কবে এই লাইব্রেরীতে বসে বই পড়েছে এই প্রজন্মের অনেকেরেই তা অজানা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাবলিক লাইব্রেরীটি তালা বদ্ধ এবং ভোতুরে ঘরের মত। কোন এক সময় উক্ত লাইব্রেরীতে বই প্রেমিদের আনাগোনা ছিল। লাইব্রেরীতে বই পড়তেন এমন একজন জানান, যখন আমরা স্কুল কলেজে লেখা পড়া করি তখন এই লাইব্রেরীতে এসে বই পড়তাম। কিন্তু এক সময় দেখা গেছে কোন এক কারণে লাইব্রেরীটি ৪/৫ বছর পর বন্ধ হয়ে যায়।

জেলা প্রসাশক বরাবর জনস্বার্থে পাবলিক লাইব্রেরী খোলে দেয়ার জন্য যিনি আবেদন করেছেন তিনি হলেন জসিম উদ্দিন নামক একজন সাংবাদিক।

সাংবাদিক জসিম উদ্দিন জানান, তিনি যখন ২০১৮ সালে দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ছিলেন, তখন ওই সুবাদে তিনি এই লাইব্রেরীটির বিষয় নিয়ে দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা এবং করাঙ্গি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কমে তথ্য বহুল সংবাদ পরিবেশন করেন।এবং হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বাহুবল উপজেলা ইউ এন ও মহোদয় জসিম উদ্দিন স্যারের নজরে নিয়ে আসেন। তখনকার, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে বাহুবলে ইউ এন ও জসিম উদ্দিন স্যার জ্ঞানী গুণী এবং সচেতন মানুষদের নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীটি সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য একটি ফান্ড তৈরি করেন। ফান্ড তৈরি করার পরে পাবলিক লাইব্রেরীটি সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন করেন ও ২০১৮ সালের ১৭ ই ফেব্রুয়ারী লাইব্রেরিটি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মহোদয় মনিষ চাকমা।

এর পর থেকে বাহুবলের মানুষ লাইব্রেরীতে এসে সুষ্টভাবে বই পড়া শুরু করেন। কিন্তু জসিম উদ্দিন স্যার চলে যাওয়ার পরে পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম আবার বন্ধ হয়ে যায়। এর পর পর কয়েজন ইউ এন ও মহোদয় বাহবলে আসেন কিন্তু পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম চালু করতে কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই তিনি জনস্বার্থে পাবলিক লাইব্রেরীরতে একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিয়ে পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম চালু করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন।