ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি

পটুয়াখালীতে জমিজমা বিরোধে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এক নিরীহ পরিবারকে। সুবিচার পাওয়ার জন্য ওই নিরীহ পরিবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে।পটুয়াখালীর কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হেতালিয়ার মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলে মোঃ ইলিয়াস তালুকদার, ও তার ৩ ভাইসহ পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করে, এ অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। এ মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় আসামি করা হয়।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হেতালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলে। মোঃ ইলিয়াস তাং(৩১),মোঃ জসিম তাং(৫০), মোঃকবির তাং(৪৫), মোঃ নাসির তাং (৪০) ও মোঃ আমজেদ সিপাহীর ছেলে মোঃ ইমাম সিপাহী (৩২) এদেরকে মিথ্যা চাাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় , এই মামলার বাদী রাহাত হোসেন ও তার ভগ্নিপতি আরিফুর রহমান (সুজা)এরা জমির মূল মালিক মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলেদের মিথ্যা মামলা দিয়ে একাধিকবার হয়রানি করেছে।

এছাড়া জমির মালিক জসিম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এক ওয়ারিশ থেকে আরিফুর রহমান সুজা (১২ শতাংশ) জমি ক্রয় করেন। এরপরে আমাদের চলার পথ বন্ধ করে দেয়,ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এবং বিভিন্ন সময় বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ০১৭১১১০১৭১০ ও ০১৯১১১১৮০০৯ এই মোবাইল নাম্বার থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে এবং এই নাম্বার থেকে, ০১৮১৫৭৭১৪৮৭ এন এস আই পরিচয়ে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে ভয় দেখিয়ে জমি ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং আরিফু রহমান সুজা ও তার শালক রাহাত ও ভাই সবুজসহ একাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা স্থানীয় শালিশদের দেয়া সীমানা পিলার উপরে ফেলে দেয়।

জসিম বলেন, আমরা নিরীহ এবং চাকরি করার সুবাদে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়। তাই আমরা বাড়িতে না থাকায় আমাদের উপর এরকম জুলুম অত্যাচার চালায় আমার ভাই মোঃ ইলিয়াস তালুকদার একটি সরকারি চাকরি করেন। তার পোস্টিং খুলনায়, যে তারিখে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলাটি দেখানো হয়েছে। সেদিন আমার ভাই ইলিয়াস খুলনায় ছিল। অথচ তাকে এক নম্বর আসামি করে আমাদের পাঁচজনকে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেয়। এখন এই চাঁদাবাজি মামলার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি এবং ন্যায়বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।

স্থানীয়রা বলেন এই জমিজমার বিরোধে বিভিন্ন সময় গ্রামে সালিশ বৈঠক বসা হয়েছে। কিন্তু মোঃ রাহাত ও তার ভগ্নিপতি মোঃ আরিফুর রহমান সুজা ও তার ভাই সবুজ তারা স্থানীয় সালিশ মীমাংসা মানে না।

জসিম তালুকদারের বড় ভগ্নিপতি মোঃ ইসমাইল হাওলাদার বলেন, এই মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বাদী মোঃ রাহাত যে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলাটি দিয়েছে তার সাথে আমার শালাদের সাথে ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব নেই এবং তিনি এই জমির ক্রয় সূত্রে ওয়ারিস না তবুও তিনি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

তিনি আরো বলেন, আরিফুর রহমান সুজা বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে কার্গো ডিপার্টমেন্টের হিসাব শাখায় দ্বিতীয় তলায় কর্মরত আছে। অথচ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে।

এ ব্যাপারে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বাদী রাহাতের মুঠো ফোনে ফোন দিলে সাংবাদি পরিচয় পেয়ে ফোনের লাইন কেটে দিয়ে নাম্বার ব্ল্যাক লিস্টে ফালায় এবং আরিফুর রহমান সুজার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তা রিসিভ হয়নি।

রাহাত ও আরিফুর রহমান সুজা এরা বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে এরা একটি প্রতারক চক্র তাই প্রশাসন ও সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে এই ধরনের প্রতারকদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হয় যাতে আর কোন নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি

আপডেট সময় ১০:০০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

পটুয়াখালীতে জমিজমা বিরোধে ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এক নিরীহ পরিবারকে। সুবিচার পাওয়ার জন্য ওই নিরীহ পরিবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে।পটুয়াখালীর কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হেতালিয়ার মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলে মোঃ ইলিয়াস তালুকদার, ও তার ৩ ভাইসহ পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করে, এ অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। এ মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় আসামি করা হয়।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হেতালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলে। মোঃ ইলিয়াস তাং(৩১),মোঃ জসিম তাং(৫০), মোঃকবির তাং(৪৫), মোঃ নাসির তাং (৪০) ও মোঃ আমজেদ সিপাহীর ছেলে মোঃ ইমাম সিপাহী (৩২) এদেরকে মিথ্যা চাাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় , এই মামলার বাদী রাহাত হোসেন ও তার ভগ্নিপতি আরিফুর রহমান (সুজা)এরা জমির মূল মালিক মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলেদের মিথ্যা মামলা দিয়ে একাধিকবার হয়রানি করেছে।

এছাড়া জমির মালিক জসিম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এক ওয়ারিশ থেকে আরিফুর রহমান সুজা (১২ শতাংশ) জমি ক্রয় করেন। এরপরে আমাদের চলার পথ বন্ধ করে দেয়,ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এবং বিভিন্ন সময় বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ০১৭১১১০১৭১০ ও ০১৯১১১১৮০০৯ এই মোবাইল নাম্বার থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে এবং এই নাম্বার থেকে, ০১৮১৫৭৭১৪৮৭ এন এস আই পরিচয়ে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে ভয় দেখিয়ে জমি ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং আরিফু রহমান সুজা ও তার শালক রাহাত ও ভাই সবুজসহ একাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা স্থানীয় শালিশদের দেয়া সীমানা পিলার উপরে ফেলে দেয়।

জসিম বলেন, আমরা নিরীহ এবং চাকরি করার সুবাদে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়। তাই আমরা বাড়িতে না থাকায় আমাদের উপর এরকম জুলুম অত্যাচার চালায় আমার ভাই মোঃ ইলিয়াস তালুকদার একটি সরকারি চাকরি করেন। তার পোস্টিং খুলনায়, যে তারিখে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলাটি দেখানো হয়েছে। সেদিন আমার ভাই ইলিয়াস খুলনায় ছিল। অথচ তাকে এক নম্বর আসামি করে আমাদের পাঁচজনকে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দেয়। এখন এই চাঁদাবাজি মামলার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি এবং ন্যায়বিচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।

স্থানীয়রা বলেন এই জমিজমার বিরোধে বিভিন্ন সময় গ্রামে সালিশ বৈঠক বসা হয়েছে। কিন্তু মোঃ রাহাত ও তার ভগ্নিপতি মোঃ আরিফুর রহমান সুজা ও তার ভাই সবুজ তারা স্থানীয় সালিশ মীমাংসা মানে না।

জসিম তালুকদারের বড় ভগ্নিপতি মোঃ ইসমাইল হাওলাদার বলেন, এই মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বাদী মোঃ রাহাত যে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলাটি দিয়েছে তার সাথে আমার শালাদের সাথে ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব নেই এবং তিনি এই জমির ক্রয় সূত্রে ওয়ারিস না তবুও তিনি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

তিনি আরো বলেন, আরিফুর রহমান সুজা বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে কার্গো ডিপার্টমেন্টের হিসাব শাখায় দ্বিতীয় তলায় কর্মরত আছে। অথচ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে।

এ ব্যাপারে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার বাদী রাহাতের মুঠো ফোনে ফোন দিলে সাংবাদি পরিচয় পেয়ে ফোনের লাইন কেটে দিয়ে নাম্বার ব্ল্যাক লিস্টে ফালায় এবং আরিফুর রহমান সুজার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তা রিসিভ হয়নি।

রাহাত ও আরিফুর রহমান সুজা এরা বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে এরা একটি প্রতারক চক্র তাই প্রশাসন ও সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে এই ধরনের প্রতারকদের বিচারের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হয় যাতে আর কোন নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।