ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচনে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ বিজয়ী

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নির্বাচনে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উৎসব মুখর পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুটি প্যানেল শহিদ-খুরশীদ পরিষদ ও প্রধান-নাহিদ পরিষদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এছাড়া কয়েকটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ২৩১৭ ভোটারের মধ্যে ১৩২০ জন ভোট দেন।

রাত সাড়ে ৮টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কায়কোবাদ মিলন ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের সভাপতি প্রার্থী দৈনিক সংগ্রামের মো: শহিদুল ইসলাম ৮৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের সংবাদ সারাবেলার জাহাঙ্গীর আলম প্রধান পেয়েছেন ৪৪৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের অর্থনীতি প্রতিদিনের খুরশীদ আলম ৭৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের আজকালের খবরের এরফানুল হক নাহিদ পেয়েছেন ৪৯৩ ভোট। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের তিন জনই বিজয়ী হয়েছেন। ইনকিলাবের রফিক মুহাম্মদ পেয়েছেন ৭৩৬ ভোট, খন্দকার হাসনাত করিম পেয়েছেন ৭২৭ ভোট এবং দিনকালের রাশেদুল হক পেয়েছেন ৬৮১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের আবু সালেহ ৩৮২, মোহাম্মদ মাসুদ ৩১৪ ও নির্মল চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৯৯ ভোট। স্বতন্ত্র দেওয়ান মাসুদা সুলতানা ২২০ ভোট ও এম আই ফারুক আহমেদ ৮১ ভোট পেয়েছেন।

যুগ্ম-সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের মো: দিদারুল আলম দিদার পেয়েছেন ৯৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের মর্তুজা সাঈদ টিসু পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান আল বান্না পেয়েছেন ৮০ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের খন্দকার আলমগীর হোসাইন ৭৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের বোরহান উদ্দিন ফয়সাল পেয়েছেন ৪৫৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের সাঈদ খান ৫৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর পেয়েছেন ৩৯১ ভোট। প্রধান-নাহিদ পরিষদের আক্তারুজ্জামান রকি পেয়েছেন ২৯৪ ভোট।

প্রচার সম্পাদক পদে নয়া দিগন্তের আবুল কালাম ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের জেসমিন জুই পেয়েছেন ৪৫১ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের রফিক লিটন ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আনোয়ার পেয়েছেন ৩২৩ ভোট। জনকল্যাণ সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের বাংলাদেশ প্রতিদিনের সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক ৮১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৪০০ ভোট।

দফতর সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ থেকে নয়া দিগন্তের ইকবাল মজুমদার তৌহিদ ৬৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের এইচ এম আল আমিন পেয়েছেন ৫৯২ ভোট।

সদস্য পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ থেকে নয়া দিগন্তের আমীর হামযা চৌধুরী ৭৪৫ ভোট, মো: নিজাম উদ্দিন (দরবেশ নিজাম) ৭৩৯, রাজু আহমেদ ৭১২, এম মোশাররফ হোসাইন ৬৯৪, তালুকদার এইচ এম নুরুল মোমেন (তালুকতার রুমী) ৬৮৮, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক (গাজী আনোয়ার) ৬৭১, মো: আব্দুল্লাহ মজুমদার ৫৭৯, ফখরুল ইসলাম ৫২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের আব্দুল হালিম ৩০৭ ভোট, মাহফুজুল আলম জাহিদ ১৭৩, মাহমুদুল হাসান বিপ্লব সিকদার ২১৪, ওমর ফারুক ২৭২, এম সামাদ মতিন ২৬৭, শাহীন গাজী ৪২৫, জিয়াউর রহমান ৩৮২, তাসলিম চৌধুরী ১৬৪ পেয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজীদা আকতার শবনম ৩৯৯, জাহিদুর রহমান ১৮২, নুরুল আবছার ৫৯ ও তাজউদ্দিন আহমেদ ৫১ ভোট পেয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচনে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ বিজয়ী

আপডেট সময় ১১:২৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নির্বাচনে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উৎসব মুখর পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুটি প্যানেল শহিদ-খুরশীদ পরিষদ ও প্রধান-নাহিদ পরিষদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এছাড়া কয়েকটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ২৩১৭ ভোটারের মধ্যে ১৩২০ জন ভোট দেন।

রাত সাড়ে ৮টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কায়কোবাদ মিলন ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের সভাপতি প্রার্থী দৈনিক সংগ্রামের মো: শহিদুল ইসলাম ৮৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের সংবাদ সারাবেলার জাহাঙ্গীর আলম প্রধান পেয়েছেন ৪৪৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের অর্থনীতি প্রতিদিনের খুরশীদ আলম ৭৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের আজকালের খবরের এরফানুল হক নাহিদ পেয়েছেন ৪৯৩ ভোট। এছাড়া সহ-সভাপতি পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের তিন জনই বিজয়ী হয়েছেন। ইনকিলাবের রফিক মুহাম্মদ পেয়েছেন ৭৩৬ ভোট, খন্দকার হাসনাত করিম পেয়েছেন ৭২৭ ভোট এবং দিনকালের রাশেদুল হক পেয়েছেন ৬৮১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের আবু সালেহ ৩৮২, মোহাম্মদ মাসুদ ৩১৪ ও নির্মল চক্রবর্তী পেয়েছেন ১৯৯ ভোট। স্বতন্ত্র দেওয়ান মাসুদা সুলতানা ২২০ ভোট ও এম আই ফারুক আহমেদ ৮১ ভোট পেয়েছেন।

যুগ্ম-সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের মো: দিদারুল আলম দিদার পেয়েছেন ৯৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের মর্তুজা সাঈদ টিসু পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান আল বান্না পেয়েছেন ৮০ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের খন্দকার আলমগীর হোসাইন ৭৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের বোরহান উদ্দিন ফয়সাল পেয়েছেন ৪৫৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের সাঈদ খান ৫৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর পেয়েছেন ৩৯১ ভোট। প্রধান-নাহিদ পরিষদের আক্তারুজ্জামান রকি পেয়েছেন ২৯৪ ভোট।

প্রচার সম্পাদক পদে নয়া দিগন্তের আবুল কালাম ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের জেসমিন জুই পেয়েছেন ৪৫১ ভোট। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের রফিক লিটন ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আনোয়ার পেয়েছেন ৩২৩ ভোট। জনকল্যাণ সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদের বাংলাদেশ প্রতিদিনের সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক ৮১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের জাকির হোসেন পেয়েছেন ৪০০ ভোট।

দফতর সম্পাদক পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ থেকে নয়া দিগন্তের ইকবাল মজুমদার তৌহিদ ৬৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের এইচ এম আল আমিন পেয়েছেন ৫৯২ ভোট।

সদস্য পদে শহিদ-খুরশীদ পরিষদ থেকে নয়া দিগন্তের আমীর হামযা চৌধুরী ৭৪৫ ভোট, মো: নিজাম উদ্দিন (দরবেশ নিজাম) ৭৩৯, রাজু আহমেদ ৭১২, এম মোশাররফ হোসাইন ৬৯৪, তালুকদার এইচ এম নুরুল মোমেন (তালুকতার রুমী) ৬৮৮, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক (গাজী আনোয়ার) ৬৭১, মো: আব্দুল্লাহ মজুমদার ৫৭৯, ফখরুল ইসলাম ৫২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান-নাহিদ পরিষদের আব্দুল হালিম ৩০৭ ভোট, মাহফুজুল আলম জাহিদ ১৭৩, মাহমুদুল হাসান বিপ্লব সিকদার ২১৪, ওমর ফারুক ২৭২, এম সামাদ মতিন ২৬৭, শাহীন গাজী ৪২৫, জিয়াউর রহমান ৩৮২, তাসলিম চৌধুরী ১৬৪ পেয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজীদা আকতার শবনম ৩৯৯, জাহিদুর রহমান ১৮২, নুরুল আবছার ৫৯ ও তাজউদ্দিন আহমেদ ৫১ ভোট পেয়েছেন।