ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট: জয়

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের  হ্যাঁ/না ভোটগণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দেয়া ক্যাপশনে এসব লেখেন জয়।

তিনি লিখেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হ ত্যা র পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তা পাকাপোক্ত করতে ন্যাক্কারজনকভাবে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেন জেনারেল জিয়া। লোকদেখানো সেই হ্যাঁ/না ভোটের আগে কোনো মিটিং মিছিল পর্যন্ত হয়নি। ছিল না পরিচিতি ও প্রচারের ব্যবস্থা। রাস্তাঘাটে রিকশা-বাসে এবং মানুষের ব্যক্তিগত যানবাহনে জোর করে সামরিক পোশাক পরিহিত জেনারেল জিয়ার পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণার নামে একধরণের আ ত ঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।

তিনি আরও লেখেন, ভোটের দিন ভোটারবিহীন ভোটকেন্দ্রে মানুষ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনেক শিশুকেও জোর করে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। দিন শেষে ঘোষণা আসে, ৯৯.৪ ভাগ ভোট পেয়ে একচেটিয়াভাবে জয় লাভ করেছেন জেনারেল জিয়া! তার বিপক্ষে কেউ ভোট দেয়নি!! এই হাস্যকর নির্বাচন এবং এর আগের-পরের ঘটনাপ্রবাহ বাঙালির ইতিহাসের অমোচনীয় কলঙ্কময় অধ্যায়।

সজীব ওয়াজেদ জয়  লেখেন,অতঃপর রাষ্ট্রীয় প্রবিধানকে পাশ কাটিয়ে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই নিয়মবর্হিভূতভাবে গঠন করেন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’। সেই দলের হয়ে ১৯৭৮ সালের তথাকথিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন এবং নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে জিয়া কোনো কোনো এলাকায় ১২০ ভাগ ভোট পেয়েছেন বলেও বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট: জয়

আপডেট সময় ০৬:৩০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের  হ্যাঁ/না ভোটগণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায়।

মঙ্গলবার (৩০ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে দেয়া ক্যাপশনে এসব লেখেন জয়।

তিনি লিখেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হ ত্যা র পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তা পাকাপোক্ত করতে ন্যাক্কারজনকভাবে হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেন জেনারেল জিয়া। লোকদেখানো সেই হ্যাঁ/না ভোটের আগে কোনো মিটিং মিছিল পর্যন্ত হয়নি। ছিল না পরিচিতি ও প্রচারের ব্যবস্থা। রাস্তাঘাটে রিকশা-বাসে এবং মানুষের ব্যক্তিগত যানবাহনে জোর করে সামরিক পোশাক পরিহিত জেনারেল জিয়ার পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণার নামে একধরণের আ ত ঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।

তিনি আরও লেখেন, ভোটের দিন ভোটারবিহীন ভোটকেন্দ্রে মানুষ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত অনেক শিশুকেও জোর করে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া হয়। দিন শেষে ঘোষণা আসে, ৯৯.৪ ভাগ ভোট পেয়ে একচেটিয়াভাবে জয় লাভ করেছেন জেনারেল জিয়া! তার বিপক্ষে কেউ ভোট দেয়নি!! এই হাস্যকর নির্বাচন এবং এর আগের-পরের ঘটনাপ্রবাহ বাঙালির ইতিহাসের অমোচনীয় কলঙ্কময় অধ্যায়।

সজীব ওয়াজেদ জয়  লেখেন,অতঃপর রাষ্ট্রীয় প্রবিধানকে পাশ কাটিয়ে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থাতেই নিয়মবর্হিভূতভাবে গঠন করেন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’। সেই দলের হয়ে ১৯৭৮ সালের তথাকথিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন এবং নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে জিয়া কোনো কোনো এলাকায় ১২০ ভাগ ভোট পেয়েছেন বলেও বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে।