রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকায় র্যাব-১৩ এর প্রধান কার্যালয়। এই কার্যালয়ের উঠান যেন কৃষকের একখণ্ড সবুজ জমি। যে কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান র্যাবের সবজি বাগান দেখে অনুপ্রাণিত । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় দেশের জনগণকে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কৃষি কাজ করতে আহবান জানান। এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের এক খন্ড জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। ফসল উৎপাদনে বেশি নজর দিতে হবে। যারা ঘরে বসে আছেন ছাদে বাগান করুন, জমি থাকলে গাছ লাগানোর কাজ আপনারা নির্বিঘ্নে করতে পারেন।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৩ চত্বরে পরিত্যক্ত জায়গা পরিষ্কার করে চাষ করা হয়েছে নানা ধরনের সবজি। যেন সবুজের সমারোহ। এখানকার আবাদকৃত শাক-সবজি ক্ষেত থেকে তুলে র্যাব-১৩ অফিসার ও ফোর্সসহ সবাই পরিবারের অনেকটা চাহিদা পূরণ করছেন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ও বিতরণ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, র্যাব-১৩ চত্বরে পরিত্যক্ত জায়গায় সুসজ্জিত একটি সবজির ক্ষেত। সবুজশাক, লালশাক, মূলাশা
র্যাব-১৩এর উপর অধিনায়ক মইদুল ইসলাম বলেন,অবসরে ক্যাম্পের সবাই মেতে উঠি বাগান ও মিনি চিড়িয়াখানা। এখানে রয়েছে ছাগল,ভেড়া আর ও অনেক কিছু ই।আমরা মানি সময় পাই দেখা শুনা করি।
র্যাব-১৩ রংপুরের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)ফ্লাইড লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পালন করা হয়।আর সব কিছু তেই রয়েছে প্রধান মন্ত্রীর অনুপ্রেরণা।
র্যাব-১৩ অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম জানান, প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনা মূলত প্রতি ই জমিতে আবাদ করার বিষয়ে ধারনটি পেয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের সবুজ বিল্পবের ডাক থেকে। আমরাও এই ক্ষুদ্রতম জায়গা থেকে চেষ্টা করছি।
খুবই ভালো লাগে আমার বাগান দেখে। আনন্দে মুখরিত হই।এখানে উৎপাদিত সবজি আমাদের চাহিদা পূরণ করছে।’পাশে একটি পদ্ম পুকুর করেছি।
পতিত জায়গায় সবজির বাগান করতে খুবই ভালো লাগে আমার। চারিদিকে বিভিন্ন রকম শাক-সবজি চাষ করেছি। এক সবজি উঠার পরেই আবার নতুন করে সবজি চাষ করা হবে। আরও পরিত্যক্ত জায়গায় ফুলের বাগান ও পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল