রাস্তার দুই পাশজুড়ে কাঁঠালের স্তূপ। বাতাসে কাঁঠালের ম ম ঘ্রাণ। গ্রীষ্ম মৌসুমের অন্যতম রসালো ও জাতীয় ফল হচ্ছে কাঁঠাল। শিবচরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। প্রত্যেকটি বাড়িতে, রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল।
কিছু দিনের মধ্যে মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে হাট বাজার। তবে কিছু হাটে বর্তমানে অল্প সংখ্যক কাঁঠাল ফল উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমের তুলনায় এখন দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি, কাদিরপুর, কুতুবপুর, দ্বিতীয়খন্ড, উমেদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গা, পুকুর পাড়, রাস্তায় ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে অসংখ্য কাঁঠাল গাছ। প্রতিটি গাছের গোঁড়া থেকে আগা পযর্ন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল। এক একটি গাছে ২০-৩০ টির মতো কাঁঠাল ধরেছে।
কাদিরপুর এলাকার মো: হাবিব মাদবর বলেন, ‘আমার ৮টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে গাছগুলোতে। আমরা কিছু কাঁঠাল বিক্রি করি, কিছু খাই ও কিছু মানুষকে বিলিয়ে দেই’।
বাহাদুরপুর থেকে নিজের গাছের তিনটি কাঁঠাল সাইকেলে ঝুলিয়ে নিয়ে এসেছেন জসিম মিয়া। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। জসিম বলেন, ‘প্রত্যেক বাজারবারে কাঁঠাল নিয়ে আসি। আজ তিনটা কাঁঠাল এনেছি। দাম চাইছি আটশ টাকা। ছয়-সাত শ টাকা পেলে বিক্রি করে দেব।’
কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন হক বলেন, আমাদের বাড়ির চারপাশে পাঁচটি কাঁঠাল গাছ আছে। প্রতি বছর আমরা পরিবারের সবাই খেয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকি। প্রতিবছর কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কিনে নিয়ে যান।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এঁটেল মাটিতে কাঁঠাল হলে রসাল হয় বেশি। ঠাল কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতেই সমান জনপ্রিয়। এই কাঁঠালের পুষ্টিগুণ অনেক। ক্যালরি, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি–এর চাহিদা পূরণ করে।
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল