সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং নদীর পাথরে লেগে আছে টাকার গন্ধ, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বৈধ লিজের নাম করে পিয়াইন নদীর পাথর ও বালু থেকে আদায় করা হচ্ছে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়।
এ নদীর পরিবেশগত নিষেধাজ্ঞা থাকায় সীমারেখার বাহির থেকে সনাতন পদ্ধতিতে বারকি নৌকায় পাথর উত্তোলন করে জীবন-জীবিকা চালাচ্ছেন শত-শত পাথর শ্রমিক। এসকল পাথর ক্রয় করে নদী থেকে তুলে আনতে গেলে গাড়ি মেপে পাথর ফুট ১৫ টাকা করে দিতে হয় সিন্ডিকেটদের চাঁদা।তিনি দৈনিক ১২/১৫ সদস্যের একটি চক্র দিয়ে এইসব গাড়ি মাপিয়ে চাঁদা আদায় করান।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, শুধু রয়্যালিটির এই কুচক্রী মহলটি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের দাপটে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। পাথর খেকু চক্রটি শক্তিশালী, , তিনি অন্যান্য নেতাদের ইন্ধনে ও দলীয় ক্ষমতার দাপটে টাকা কালেকশন করে সুমন। সাপ্তাহ শেষে লক্ষ লক্ষ টাকা দলীয় নেতাদের পকেট ও বিকাশে ভাগ বিভাজন হয় বলে জানা যায়।
পাথর কিংবা গাড়ি থেকে রয়্যালিটি আদায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট কোন মন্ত্রণালয় কিংবা স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বৈধতা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে এই বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান,পাথরের উপর সরকারী কোন রয়্যালিটি বা ট্যাক্স নেই, কেউ যদি উত্তোলন করে সেটা চাঁদাবাজি, পুলিশকে প্রমাণ সহ্ জানালে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কমিশনার(ভূমি) মো.তানভীর হোসেন জানান,উপজেলা প্রশাসন কিংবা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কোন লীজ নেই।উপরোক্ত তথ্য বা ব্যক্তির সাথে সরকার কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানাপুলিশের পুর্ব জাফলং ইউনিয়নের বিট অফিসার ইমরুল কবিরের ব্যবহিত মোটফোনে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল