ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসিক নির্বাচন: লিটনেই আস্থাশীল নগরবাসী

সর্বশেষ ২০১৮ সালের রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জমান লিটনের স্লোগান ছিলো ‘চল বদলে দেই’। তিনি তার স্লোগান অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। সারাদেশের মানুষের কাছে নগর উন্নয়নে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গত ৫ বছরে। তাই এবার স্লোগানও পাল্টেছে। এবার লিটনের পক্ষে নতুন স্লোগান ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান-এবার হবে কর্মসংস্থান’। এ স্লোগান এখন ভাসছে রাজশাহীর ভোটের মাঠ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
রাজশাহীবাসী মনে করছেন এখানে উন্নয়নে পরীক্ষিত খায়রুজ্জামান লিটন। তাই তারা লিটনেই নির্ভার। লিটন জনসমর্থন পাচ্ছেন সমান তালে। তাই ফুরফুরে মেজাজেই ভোটের মাঠে সক্রিয় তিনি।
মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই ফুরফুরে মেজাজে পুরোদমে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের এ হেভিওয়েট প্রার্থী লিটন। তিনি সরব থাকলেও এ সিটির অন্যান্য প্রার্থীরা এখনও মাঠে নামেননি। জানা গেছে তারা দ্রুতই মনোনয়ন সংগ্রহ করে ভোটের প্রচারণায় নামবেন।
স্থানীয়রা বলছেন, তফসির ঘোষণার পর থেকেই মেয়র লিটন নিজের মতো করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। রাসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় তিনি অনেকটাই নির্ভার। তবে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হবে ধারণা করে আগে থেকেই জনমত নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তিনি। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বসছেন। মতবিনিময় করছেন; সমস্যা শুনছেন, সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। তুলে ধরছেন নিজের সময়কালের উন্নয়নের ফিরিস্তি। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আরও উন্নয়ন এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের।
এখন রাজশাহীর মাঠে লিটন ছাড়া আপাতত অন্য কোনো প্রার্থী নেই। যারা প্রার্থিতা করবেন তাদের ছোটখাটো কোনো উদ্যোগ, কর্মসূচি বা নূন্যতম কোনো গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়নি রাজশাহীতে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখনো কোনো প্রার্থী রাসিক নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ পর্যন্ত করেননি। শোনা যাচ্ছে- ভেতরে ভেতরে প্রার্থী ঠিক করে রাখলেও বর্তমানে সিটি নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সবাই। একটু বুঝে শুনেই তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চান। এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশাই করছেন অন্যরা।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ লক্ষ্যে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। এর মধ্যে সংসদে থাকা বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ নির্বাচনে প্রার্থী দেবে বলে শোনা গেছে।
নির্বাচন সামনে রেখে অন্যরা যেখানে করণীয় নির্ধারণ করছে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত প্রার্থীর সমর্থনে নানান কৌশলে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী কমিটি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ সব সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠন একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে।
রাসিক মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিদিনই ওয়ার্ড ভিত্তিক নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময় করছেন তিনি। তবে নির্বাচনে না যাওয়ার গো ধরে থাকা বিএনপির বর্তমান অবস্থান অনেকটা ভোট পর্যবেক্ষকদের মতোই। পরিস্থিতি এমন যে তারা আগেই থেকেই ভোটের ফলাফল জানেন। আর এজন্যই কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। তাই রাজশাহী সিটি নির্বাচন নিয়ে দলটির কোনো মাথা ব্যথা নেই। তবে ভোটে না যাওয়ার বিষয়টি পোড়াচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মন।
যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে নগরে এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন দলটির কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপরীতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে চান। এই ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়ের চেয়েও ব্যক্তি পরিচয়ে এলাকায় জনপ্রিয় প্রার্থীরা প্রাধান্য পাবেন বলেই তাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এজন্য রাজশাহীতে মেয়র পদটি আপাতত লিটনে নির্ভার থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই জমে উঠতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আর এতে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড ওয়ার্ডে সহিংস ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা ভোটের মাঠে থাকার পক্ষেই মত দিয়েছেন। তারা চান আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপিও ভোটের লড়াইয়ে আসুক। তাদের বিশ্বাস মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পরিবর্তন আনতে পারলে সংসদ নির্বাচনে গিয়েও তার প্রভাব পড়বে।
তবে সিটি নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, দল খুব স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, এ সরকারের আমলে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। কাজেই সিটি নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। নির্বাচন কী হবে তারা তা জানেন। নির্বাচন প্রশ্নে তাদের একটাই দাবি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ দাবিতেই তারা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ সৃষ্টি হলে নির্বাচনমুখী দল বিএনপি নির্বাচনে যাবে; না হলে নয়। আর দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এদিকে ১৪ দলের অন্যতম প্রধান শরিক দল জাতীয় পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন জানান, দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাকেই মেয়র হিসেবে প্রার্থী হতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ থাকবে কী না, ভোট সুষ্ঠুভাবে হবে কী না সেই বিষয়টি নিয়ে তিনি এখনও যথেষ্ট সন্দিহান। ভোটের পরিবেশ দেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও উল্লেখ করেন এই জাপা নেতা।
জোটের অপর শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সিটি নির্বাচন প্রশ্নে এখন পর্যন্ত তারা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাসিক নির্বাচন: লিটনেই আস্থাশীল নগরবাসী

আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
সর্বশেষ ২০১৮ সালের রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জমান লিটনের স্লোগান ছিলো ‘চল বদলে দেই’। তিনি তার স্লোগান অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। সারাদেশের মানুষের কাছে নগর উন্নয়নে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গত ৫ বছরে। তাই এবার স্লোগানও পাল্টেছে। এবার লিটনের পক্ষে নতুন স্লোগান ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান-এবার হবে কর্মসংস্থান’। এ স্লোগান এখন ভাসছে রাজশাহীর ভোটের মাঠ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
রাজশাহীবাসী মনে করছেন এখানে উন্নয়নে পরীক্ষিত খায়রুজ্জামান লিটন। তাই তারা লিটনেই নির্ভার। লিটন জনসমর্থন পাচ্ছেন সমান তালে। তাই ফুরফুরে মেজাজেই ভোটের মাঠে সক্রিয় তিনি।
মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই ফুরফুরে মেজাজে পুরোদমে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের এ হেভিওয়েট প্রার্থী লিটন। তিনি সরব থাকলেও এ সিটির অন্যান্য প্রার্থীরা এখনও মাঠে নামেননি। জানা গেছে তারা দ্রুতই মনোনয়ন সংগ্রহ করে ভোটের প্রচারণায় নামবেন।
স্থানীয়রা বলছেন, তফসির ঘোষণার পর থেকেই মেয়র লিটন নিজের মতো করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। রাসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় তিনি অনেকটাই নির্ভার। তবে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হবে ধারণা করে আগে থেকেই জনমত নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তিনি। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বসছেন। মতবিনিময় করছেন; সমস্যা শুনছেন, সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। তুলে ধরছেন নিজের সময়কালের উন্নয়নের ফিরিস্তি। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আরও উন্নয়ন এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের।
এখন রাজশাহীর মাঠে লিটন ছাড়া আপাতত অন্য কোনো প্রার্থী নেই। যারা প্রার্থিতা করবেন তাদের ছোটখাটো কোনো উদ্যোগ, কর্মসূচি বা নূন্যতম কোনো গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়নি রাজশাহীতে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখনো কোনো প্রার্থী রাসিক নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ পর্যন্ত করেননি। শোনা যাচ্ছে- ভেতরে ভেতরে প্রার্থী ঠিক করে রাখলেও বর্তমানে সিটি নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সবাই। একটু বুঝে শুনেই তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চান। এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশাই করছেন অন্যরা।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ লক্ষ্যে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। এর মধ্যে সংসদে থাকা বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ নির্বাচনে প্রার্থী দেবে বলে শোনা গেছে।
নির্বাচন সামনে রেখে অন্যরা যেখানে করণীয় নির্ধারণ করছে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত প্রার্থীর সমর্থনে নানান কৌশলে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী কমিটি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ সব সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠন একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে।
রাসিক মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিদিনই ওয়ার্ড ভিত্তিক নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময় করছেন তিনি। তবে নির্বাচনে না যাওয়ার গো ধরে থাকা বিএনপির বর্তমান অবস্থান অনেকটা ভোট পর্যবেক্ষকদের মতোই। পরিস্থিতি এমন যে তারা আগেই থেকেই ভোটের ফলাফল জানেন। আর এজন্যই কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। তাই রাজশাহী সিটি নির্বাচন নিয়ে দলটির কোনো মাথা ব্যথা নেই। তবে ভোটে না যাওয়ার বিষয়টি পোড়াচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মন।
যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে নগরে এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন দলটির কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপরীতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে চান। এই ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়ের চেয়েও ব্যক্তি পরিচয়ে এলাকায় জনপ্রিয় প্রার্থীরা প্রাধান্য পাবেন বলেই তাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এজন্য রাজশাহীতে মেয়র পদটি আপাতত লিটনে নির্ভার থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই জমে উঠতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আর এতে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড ওয়ার্ডে সহিংস ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা ভোটের মাঠে থাকার পক্ষেই মত দিয়েছেন। তারা চান আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপিও ভোটের লড়াইয়ে আসুক। তাদের বিশ্বাস মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পরিবর্তন আনতে পারলে সংসদ নির্বাচনে গিয়েও তার প্রভাব পড়বে।
তবে সিটি নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, দল খুব স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, এ সরকারের আমলে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। কাজেই সিটি নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। নির্বাচন কী হবে তারা তা জানেন। নির্বাচন প্রশ্নে তাদের একটাই দাবি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ দাবিতেই তারা আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ সৃষ্টি হলে নির্বাচনমুখী দল বিএনপি নির্বাচনে যাবে; না হলে নয়। আর দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এদিকে ১৪ দলের অন্যতম প্রধান শরিক দল জাতীয় পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন জানান, দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাকেই মেয়র হিসেবে প্রার্থী হতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ থাকবে কী না, ভোট সুষ্ঠুভাবে হবে কী না সেই বিষয়টি নিয়ে তিনি এখনও যথেষ্ট সন্দিহান। ভোটের পরিবেশ দেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও উল্লেখ করেন এই জাপা নেতা।
জোটের অপর শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সিটি নির্বাচন প্রশ্নে এখন পর্যন্ত তারা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি। তবে দলটির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।