বিনা তদন্তে সাংবাদিককে এফআইআরের আসামী করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড়। বিনা তদন্তে বিচ্ছিন্ন একটি মারামারির ঘটনায় সাংবাদিক মুজাহিদ মসিকে মাধবপুর থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের ঘটনায় সপ্তাহ দিন ধরে গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড়। মুজাহিদ মসি দৈনিক কালবেলার মাধবপুর প্রতিনিধি ও ঢাকা রিপোর্ট টুয়েন্টিফোরে নিজস্ব প্রতিনিধি।তাকে গত ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখের স্থানীয় কমলপুর গ্রামের একটি মারামারির ঘটনায় গ্রেপ্তার করে মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই রতন লাল।
মুজাহিদ মসি বলেন,মারামারির সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না যা সিসিটিভির ফুটেজে প্রমান রয়েছে।আমি সে সময় পরের দিন মাস্টার্স পরীক্ষার ভাইভা দেয়ার জন্যে ঢাকা যাওয়ার জন্যে মনতলা স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের অপেক্ষা ছিলাম। মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর উত্তম কুমারও আমার আমার সাথে ছিল।হঠাৎ কমলপুরের মাদ্রাসায় মারামারির সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিক ৯৯৯ ফোন দিয়ে জানাই।সীমান্ত এলাকার সুবাদে ফোন দেই হরিনখোলা ও মনতলা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডারদেরও এবং বাহিনীর লোকের সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই।ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করি আর সহযোগিতা করি উপস্থিত পুলিশকেও।কিন্তু কোন গায়েবি কারনে ওই ঘটনায় পরের দিন মাধবপুর থানার ওসি আমাকে বিনা তদন্তে এফআইআরের আসামি করে গ্রেপ্তার করলো আমি জানি না।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,বাদী নাম দিয়েছে আমাদের কিছু করার নেই।কে সাংবাদিক আর কে সাংবাদিক না সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।আমি দ্রুত আসামীকে একে আদালতে চালান করে জামিন পেতে সহযোগিতা করেছি।
মাধবপুর যুবলীগের আইন সম্পাদক ও আইনজীবী সোহরাব হোসেন সোহেল বলেন,বিনা তদন্তে প্রমান ছাড়া থানার ওসি কোন নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা এজাহারভুক্ত করা সম্পুর্ন বেআইনি।আর মুজাহিদ মসি একজন অনুসন্ধানী মানবিক সাংবাদিক তাকে আসামী করা ও প্রেপ্তার করা কোন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
ওই মামলার তদন্তকর্মকর্তা এস আই রতন লাল জানান,মুজাহিদ মসির ঘটনার সাথে সংস্লিষ্টতা নেই।ওসি স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।এখানে ৩য় কোন পক্ষের কারসাজি থাকতে পারে।
এদিকে মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক মুজাহিদ মসিকে গ্রেপ্তার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কিছু কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।