ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

পটুয়াখালীতে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই মাটি ভাঙ্গা গ্রামের ফুলতলা খেয়া ঘাট থেকে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী বোড ম্যান জুলহাস ও বাগানের সভাপতির বিরুদ্ধে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলায় : ছোট বিঘাই মাটি ভাঙ্গা ফুলতলা গ্রামের স্থানীয় বন বিভাগের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিধিসম্মত ভাবে কিছু মরে যাওয়া ও শুকনো গাছ যা ৪০% নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছগুলো অপশনে বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বোড ম্যান জুলহাস।

তবে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বোড ম্যান জুলহাস ও বাগানের সভাপতি মোবারক আলী খান ও তার ছেলে মোঃ ইনছান সহ তারা
শুক্রবার (২৪ মার্চ ) বন বিভাগের বোড ম্যান জুলহাসের নেতৃত্বে নদি ভাঙ্গনের অজুহাতে পটুয়াখালী সদর উপজেলা ছোট বিঘাই ইউনিয়নের মাটি ভাঙ্গা ফুলতা খেয়া ঘাট থেকে এসব গাছ কাটা হয় এবং পরে সেই গাছ (২৭ শে মার্চ) নিয়ে আসা হয় সেখান থেকে।

এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে বন বিভাগ এর প্রতিনিধি মো.জুলহাস ও বাগানের সভাপতি মোঃ মোবারক আলী খান বিভিন্ন সময় গাছ কেটে বিক্রি করে। তাই স্থানীয় এলাকাবাসিরা এর সঠিক বিচারের দাবি জানান।

আরো সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ৮ থেকে ১০ বছর বয়সের চৌদ্দটি গাছ বন ভিবাগের বোড ম্যান জুলহাস এর নির্দেশে শুক্রবার কেটে ফেলা হয়। গাছ গুলোর মধ্যে বারোটি হচ্ছে আকাশমনি, দুইটি শিশু,গাছ রয়েছে ।

টেন্ডার ছাড়াই এসব গাছ কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। কয়েকজন শ্রমিকও বাগানের সভাপতি ও বন ভিবাগের প্রতিনিধির নির্দেশে ওই গাছগুলো কাটার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয়রা।

এদিকে বিধিসম্মত ভাবে গাছগুলো কাটা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি জানান এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক এর সত্যতা পাওয়া গেছে এবং ৯ টি গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান এবং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বন ভিবাগের ডিএপো, মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে সঠিক প্রমান এলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড় 

পটুয়াখালীতে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:৪১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই মাটি ভাঙ্গা গ্রামের ফুলতলা খেয়া ঘাট থেকে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী বোড ম্যান জুলহাস ও বাগানের সভাপতির বিরুদ্ধে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলায় : ছোট বিঘাই মাটি ভাঙ্গা ফুলতলা গ্রামের স্থানীয় বন বিভাগের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিধিসম্মত ভাবে কিছু মরে যাওয়া ও শুকনো গাছ যা ৪০% নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছগুলো অপশনে বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বোড ম্যান জুলহাস।

তবে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বোড ম্যান জুলহাস ও বাগানের সভাপতি মোবারক আলী খান ও তার ছেলে মোঃ ইনছান সহ তারা
শুক্রবার (২৪ মার্চ ) বন বিভাগের বোড ম্যান জুলহাসের নেতৃত্বে নদি ভাঙ্গনের অজুহাতে পটুয়াখালী সদর উপজেলা ছোট বিঘাই ইউনিয়নের মাটি ভাঙ্গা ফুলতা খেয়া ঘাট থেকে এসব গাছ কাটা হয় এবং পরে সেই গাছ (২৭ শে মার্চ) নিয়ে আসা হয় সেখান থেকে।

এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে বন বিভাগ এর প্রতিনিধি মো.জুলহাস ও বাগানের সভাপতি মোঃ মোবারক আলী খান বিভিন্ন সময় গাছ কেটে বিক্রি করে। তাই স্থানীয় এলাকাবাসিরা এর সঠিক বিচারের দাবি জানান।

আরো সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ৮ থেকে ১০ বছর বয়সের চৌদ্দটি গাছ বন ভিবাগের বোড ম্যান জুলহাস এর নির্দেশে শুক্রবার কেটে ফেলা হয়। গাছ গুলোর মধ্যে বারোটি হচ্ছে আকাশমনি, দুইটি শিশু,গাছ রয়েছে ।

টেন্ডার ছাড়াই এসব গাছ কাটা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। কয়েকজন শ্রমিকও বাগানের সভাপতি ও বন ভিবাগের প্রতিনিধির নির্দেশে ওই গাছগুলো কাটার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয়রা।

এদিকে বিধিসম্মত ভাবে গাছগুলো কাটা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি জানান এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক এর সত্যতা পাওয়া গেছে এবং ৯ টি গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান এবং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বন ভিবাগের ডিএপো, মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে সঠিক প্রমান এলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।