ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

ঈদঘিরে রাজশাহীতে অপ্রতিরোধ্য ছিনতাইকারীরা, পালাতে গিয়ে মৃত্যু একজনের

ঈদঘিরে রাজশাহী নগরীতে ফের অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। একেিদন শহরের ৫টি স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালানোর নগরীর ডাবতোলা এলাকায় এক ছিনতাইকারী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের সময় জনগণের রোষানলে পড়ে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। এতোসব ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে। এসব ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়নি। উল্টো এক বৃদ্ধের অটোরিকশা ছিনতাই হওয়ার পরে তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর সঙ্গেই খারাপ আচরণ করা হয়।

ঈদ ঘিরে আবারো দামি মোটরসাইকেল নিয়ে রাজশাহীতে মাঠে নেমেছে একদল ছিনতাইকারী। রোজা শুরুর পর থেকেই গত প্রায় ১৫ দিন ঈদ মার্কেটে যাওয়া নারীদের টার্গেট করে মাঠে নামছে ছিনতাইকারী। রাজশাহী নগরীর করাবাগান, আমবাগান, ডাবতোলা, বহরমপুর, ডিঙ্গাডোবা, মতিহারসহ বিভিন্ন এলাকার ছিনাতাইকারীরা বিভিন্ন গ্রæপে ভাগ হয়ে নামছে মাঠে। দিনে-দুপরে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিদিনি। আর নগর পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া, বোয়ালিয়া, এবং শাহমখদুম এলাকায়। এর মধ্যে শীর্ষে রাজপাড়া থানা এলাকায়। এই থানার পুলিশের গাফলতির কারণে একের পর এক ছিনতাই ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিনাতাই করে পালানোর সময় অনিক (১৯) নামের নগরীর ডাবতোলা এলাকার এক ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় তার আরেক সহযোগী মারুফ হোসেন(১৮) মারাত্মক আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধী নিয়ে এখন বাড়িতে অবস্থান করছে। তার পা ভেঙে গেছে ওই ঘটনায়।

নগরীর শাহ মখদুম এলাকায় এক নারীর ভ্যানেটি ভ্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় দ্রæত গতিতে পালাতে গিয়ে প্রাচীরের সঙ্গে ধাকা লেগে ওই ছিনতাইকারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ইউডি মামলা পর্যন্তও করেনি।

এ ঘটনার পরের দিন গত শনিবার রাজপাড়া থানা এলাকায় একদিনেই তিনটি ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বিলশিমলা এলাকায় দুই পথচারী যুবকের নিকট থেকে দুটি মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় তিন ছিনতাইকারী। নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় এক নারী ঈদের মার্কেট করতে যাওয়ার সময় তাঁর ভ্যানেটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তিন ছিনতাইকারী। এর পর পুলিশ এসে ওই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আকবর আলী নামের এক বৃদ্ধের অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনার পরে ওই বৃদ্ধ সিসিটিভি ফুটেজসহ নগরীর রাজপাড়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে উল্টো তাঁর সঙ্গেই খারাপ আচরণ করা হয়। পরে বাধ্য হয়ে ওই বৃদ্ধ নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনের কাছে গেলে তাঁর হস্তক্ষেপে জিডি নিয়ে রাখে রাজপাড়া থানা পুলিশ।

নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রাজশাহীতে ব্যাপক হারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ভ’মিকা রাখছে না। আমরা বার বার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া ভ’ক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। এসব কারণে একের পর এক ঘটছে ছিনতাই। গত ১৫ দিনে শুধুমাত্র নগরীর রাজপাড়া এলাকাতেই অন্তত ১০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একজন ছিনতাইকারীকেও পুলিশ আটক করতে পারেনি। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

এর আগে গত ফেব্রæয়ারি থেকে মার্চ মাসে অন্তত ২৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পরে পুলিশ এক রাতে অভিযান চালিয়ে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার চারজনকে আটক করলেও অন্যারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এর মধ্যে গত শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) একজন ছিনতাইকারী মারা গেছে আরেকজন আহত হয়ে পড়েছে। বাকিরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ছিনতাইকারীরা দামি মোটরসাইকেল নিয়ে ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে। অনেকের ছবি সিসিটিভি ফুটেজে হালকা আসছে। কিন্তু দ্রæত গতি পালানোর কারণে পুরোটা বুঝা যাচ্ছে না। এ কারণে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তবে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘একের পর এক ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। কেন হঠাৎ এতো ছিনতাই হচ্ছে সেগুলো কিভাবে রোধ করা যায়, সেটি নিয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড় 

ঈদঘিরে রাজশাহীতে অপ্রতিরোধ্য ছিনতাইকারীরা, পালাতে গিয়ে মৃত্যু একজনের

আপডেট সময় ১২:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

ঈদঘিরে রাজশাহী নগরীতে ফের অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। একেিদন শহরের ৫টি স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালানোর নগরীর ডাবতোলা এলাকায় এক ছিনতাইকারী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের সময় জনগণের রোষানলে পড়ে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। এতোসব ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে। এসব ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়নি। উল্টো এক বৃদ্ধের অটোরিকশা ছিনতাই হওয়ার পরে তিনি নগরীর রাজপাড়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁর সঙ্গেই খারাপ আচরণ করা হয়।

ঈদ ঘিরে আবারো দামি মোটরসাইকেল নিয়ে রাজশাহীতে মাঠে নেমেছে একদল ছিনতাইকারী। রোজা শুরুর পর থেকেই গত প্রায় ১৫ দিন ঈদ মার্কেটে যাওয়া নারীদের টার্গেট করে মাঠে নামছে ছিনতাইকারী। রাজশাহী নগরীর করাবাগান, আমবাগান, ডাবতোলা, বহরমপুর, ডিঙ্গাডোবা, মতিহারসহ বিভিন্ন এলাকার ছিনাতাইকারীরা বিভিন্ন গ্রæপে ভাগ হয়ে নামছে মাঠে। দিনে-দুপরে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিদিনি। আর নগর পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সবচেয়ে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া, বোয়ালিয়া, এবং শাহমখদুম এলাকায়। এর মধ্যে শীর্ষে রাজপাড়া থানা এলাকায়। এই থানার পুলিশের গাফলতির কারণে একের পর এক ছিনতাই ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিনাতাই করে পালানোর সময় অনিক (১৯) নামের নগরীর ডাবতোলা এলাকার এক ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় তার আরেক সহযোগী মারুফ হোসেন(১৮) মারাত্মক আহত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধী নিয়ে এখন বাড়িতে অবস্থান করছে। তার পা ভেঙে গেছে ওই ঘটনায়।

নগরীর শাহ মখদুম এলাকায় এক নারীর ভ্যানেটি ভ্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় দ্রæত গতিতে পালাতে গিয়ে প্রাচীরের সঙ্গে ধাকা লেগে ওই ছিনতাইকারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ইউডি মামলা পর্যন্তও করেনি।

এ ঘটনার পরের দিন গত শনিবার রাজপাড়া থানা এলাকায় একদিনেই তিনটি ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বিলশিমলা এলাকায় দুই পথচারী যুবকের নিকট থেকে দুটি মোবাইল কেড়ে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় তিন ছিনতাইকারী। নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় এক নারী ঈদের মার্কেট করতে যাওয়ার সময় তাঁর ভ্যানেটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তিন ছিনতাইকারী। এর পর পুলিশ এসে ওই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আকবর আলী নামের এক বৃদ্ধের অটোরিকশা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনার পরে ওই বৃদ্ধ সিসিটিভি ফুটেজসহ নগরীর রাজপাড়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে উল্টো তাঁর সঙ্গেই খারাপ আচরণ করা হয়। পরে বাধ্য হয়ে ওই বৃদ্ধ নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনের কাছে গেলে তাঁর হস্তক্ষেপে জিডি নিয়ে রাখে রাজপাড়া থানা পুলিশ।

নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রাজশাহীতে ব্যাপক হারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ভ’মিকা রাখছে না। আমরা বার বার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া ভ’ক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। এসব কারণে একের পর এক ঘটছে ছিনতাই। গত ১৫ দিনে শুধুমাত্র নগরীর রাজপাড়া এলাকাতেই অন্তত ১০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একজন ছিনতাইকারীকেও পুলিশ আটক করতে পারেনি। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

এর আগে গত ফেব্রæয়ারি থেকে মার্চ মাসে অন্তত ২৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পরে পুলিশ এক রাতে অভিযান চালিয়ে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার চারজনকে আটক করলেও অন্যারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এর মধ্যে গত শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) একজন ছিনতাইকারী মারা গেছে আরেকজন আহত হয়ে পড়েছে। বাকিরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ছিনতাইকারীরা দামি মোটরসাইকেল নিয়ে ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে। অনেকের ছবি সিসিটিভি ফুটেজে হালকা আসছে। কিন্তু দ্রæত গতি পালানোর কারণে পুরোটা বুঝা যাচ্ছে না। এ কারণে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তবে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

জানতে চাইলে নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘একের পর এক ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। কেন হঠাৎ এতো ছিনতাই হচ্ছে সেগুলো কিভাবে রোধ করা যায়, সেটি নিয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।’