ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

নওগাঁয় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৭০ টাকা

নওগাঁয় সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে কমেছে ৭০-৭৫ টাকা। মুরগির দাম কমায় বাজারে সরবরাহ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিক্রি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

নওগাঁ পৌর মুরগি বাজার সূত্রে জানা যায়, ১৫ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৭০-৭৫ টাকা কমে ১৭৫-১৮০ টাকা, বিবি-৩ জাতের মুরগি ১০ টাকা কমে ২৮০ টাকা, সোনালি ২০ টাকা কমে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩০ টাকা কমে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যারিস ও পাকিস্তান জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।

কিছুদিন আগেও সব ধরনের মুরগির দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। দাম বেশি থাকায় ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকায় অনেকে মুরগি কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে বাজার কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কাছে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে।

ক্রেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সপ্তাহে একটি মুরগি কিনে খেতে পারতাম। মাঝখানে মুরগির দাম বেশি হওয়ায় কেনা অসম্ভব ছিল। এখন দাম কমে আসায় অনেকটা সুবিধা হয়েছে। তিন কেজি মুরগি কিনেছে ১৭৫ টাকা কেজি হিসেবে। দাম কম থাকলে সবার জন্যই সুবিধা হয়।’

খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী আমিজার রহমান বলেন, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৭০-৭৫ টাকা কমে ১৭৫-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও ২৫০-২৬০ টাকা কেজি ছিল।

নওগাঁ পৌর মুরগি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইউনুস আলী বাবু বলেন, মুরগির দাম কমে আসায় কয়েকদিন ধরে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। বেচাকেনাও বাড়ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, জেলায় মাংসের চাহিদা এক লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয় প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন। জেলায় সোনালি, লেয়ার ও ব্রয়লার মিলিয়ে প্রায় চার হাজার ৪০০টি মুরগির খামার রয়েছে। স্থানীয় আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড় 

নওগাঁয় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৭০ টাকা

আপডেট সময় ১২:০৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

নওগাঁয় সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে কমেছে ৭০-৭৫ টাকা। মুরগির দাম কমায় বাজারে সরবরাহ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিক্রি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

নওগাঁ পৌর মুরগি বাজার সূত্রে জানা যায়, ১৫ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৭০-৭৫ টাকা কমে ১৭৫-১৮০ টাকা, বিবি-৩ জাতের মুরগি ১০ টাকা কমে ২৮০ টাকা, সোনালি ২০ টাকা কমে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩০ টাকা কমে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যারিস ও পাকিস্তান জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।

কিছুদিন আগেও সব ধরনের মুরগির দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। দাম বেশি থাকায় ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকায় অনেকে মুরগি কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে বাজার কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কাছে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে।

ক্রেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সপ্তাহে একটি মুরগি কিনে খেতে পারতাম। মাঝখানে মুরগির দাম বেশি হওয়ায় কেনা অসম্ভব ছিল। এখন দাম কমে আসায় অনেকটা সুবিধা হয়েছে। তিন কেজি মুরগি কিনেছে ১৭৫ টাকা কেজি হিসেবে। দাম কম থাকলে সবার জন্যই সুবিধা হয়।’

খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী আমিজার রহমান বলেন, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৭০-৭৫ টাকা কমে ১৭৫-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিন আগেও ২৫০-২৬০ টাকা কেজি ছিল।

নওগাঁ পৌর মুরগি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইউনুস আলী বাবু বলেন, মুরগির দাম কমে আসায় কয়েকদিন ধরে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। বেচাকেনাও বাড়ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, জেলায় মাংসের চাহিদা এক লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয় প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন। জেলায় সোনালি, লেয়ার ও ব্রয়লার মিলিয়ে প্রায় চার হাজার ৪০০টি মুরগির খামার রয়েছে। স্থানীয় আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।