প্রিয় ইলিশাবাসী আসসালামু আলাইকুম। আমি মোঃ আনোয়ার হোসেন ছোটন, চেয়ারম্যান ২নং ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদ, ভোলা সদর, ভোলা। গতকাল গ্রাম্য শালিসে নিজাম উদ্দিন (৪৫) নামে একজন রিকশাচালক ভাইকে বেঁধে রাখা এবং সেই কারনে পরে তার আত্মহত্যা করার যে অভিযোগটি আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যা আমার রাজনৈতিক ইমেজকে সংকটে ফেলতে ও রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে আমার বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলছে। আমি এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি আমার সবসময় শ্রদ্ধা। অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়াসহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমার পথ চলা।
এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা ও সাহসিকতার সহিত কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, সম্প্রতি সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও আমার প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত ওই অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে।
একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা অভিযোগকারী। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক।
আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় এখন অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছি। মূলত এটিই হলো পিছনের গল্প। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না।
অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, নিজাম ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক ঝগড়া চলছিল। বিষয়টি তার স্ত্রী অভিযোগ করলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসের মাধ্যমে তাকে ডেকে নিয়ে শালিসির মাধ্যমে মিলমিশ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নিজাম কোন কারনে আত্মহত্যা করেছে তা আমার জানা নাই।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সহায় হোক, আমিন।