সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ওয়েজখালীতে অবস্থিত শহরের হাছননগর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মরহুম হাজী চাঁন মিয়া সওদাগরের রেখে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলাকা ফিলিং স্টেশনটি দূর্বিত্বরা জোরপূর্বক জায়গা দখল করেন। বর্তমান সত্ত্বাধিকারী মরহুমের দ্বিতীয় পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও সমাজসেবক মশিউর রেজা টিংকু’র কাছে দশ লক্ষ টাকা দাবি করেছে ট্রাক পরিবহন শ্রমিক পরিচয়ধারী কতিপয় কিছু স্থানীয় ভূমিখেকোঁরা। রাতের অন্ধকারে উক্ত ফিলিং স্টেশনের প্রবেশমুখে জোর পূর্বক ও অবৈধভাবে রাতারাতি একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে।

এ সময় ফিলিং স্টেশনে নিয়োজিত শ্রমিকরা তাদের মালিকের জায়গায় অবৈধভাবে ঘরটি নির্মাণ করতে নিষেধ দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে ফিলিং স্টেশনের শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। চঘটনার প্রেক্ষিতে উক্ত ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী মশিউর রেজা টিংকু তার সাথে ঘটে যাওয়া বেআইনি কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে দেশের সরকারের কাছে ন্যায় বিচার পেতে এবং দেশে বিদেশে অবস্থানরত সকলের জণমনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গত ৩ এপ্রিল তারিখ রাতে শহরের পুরাতন বাস স্টেশন সংলগ্ন পানসী রেস্টুরেন্টের দ্বিতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে সাংবিধানিক সম্মেলন করেন।

যা চলিত এপ্রিল মাসের গত ৪, ৫ ও ৬ তারিখে জেলার সকল লোকাল পত্রিকা ও একাধিক জাতীয় পত্রিকায় খবর আকারে প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে আইনগত সহায়তা পেতে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আলাদাভাবে দুটি অভিযোগ দায়ের করেন ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী মশিউর রেজা টিংকু।

অভিযুক্ত ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে প্রথমে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে আসতে আপত্তি করে এবং একাধিকবার যোগাযোগের পর এক পর্যায়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা ক’জন বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় আমাদের ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের একটি অফিস করেছি।

উল্লেখিত ভূমির সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক একাধিক গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে স্বাক্ষাৎ কালে উল্লেখ্য অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি বলাকা ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী মশিউর রেজা টিংকু কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের অফিসের নিজস্ব সার্বেয়ার দিয়ে ভূমি পরিমাপ করে যদি দেখা যায় উল্লেখিত ঘরটি সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় নির্মিত হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে অন্যথায় অফিস কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ এহছান শাহ্ বলেন, উক্ত বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।