রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ৯নং ময়েনপুর ইউনিয়নের মোঃএনামুল হক নামের একজন ভুয়া কাজীর ভুয়া বিবাহ রেজিস্ট্রার কার্যক্রম চলছে দীর্ঘদিন থেকে।হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।ফাঁদে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এব্যাপারে খোঁজ নিতে রংপুর জেলার নিকাহ রেজিস্ট্রার প্রদানকারী জনাব,আব্দুস ছালাম প্রামানিক(রেজিস্ট্রার রংপুর জেলা,রংপুর)এর কাছে জানতে চাইলে,তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান,আমি আমার অফিসের সমস্ত ফাইলপত্র খুঁজে দেখেছি,কোথাও পাইনি এই কাজীর নাম।আমার জানা এবং দেখা মতে ২০১৪ সাল থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত,মিঠাপুকুর উপজেলার ৯নং ময়েনপুর ইউনিয়নে কোন নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী)নেই।তিনি এই প্রতিবেদক কে
এসংক্রান্ত একটি লিখিতও দেন তাদের অফিসিয়াল প্যাডে। তিনি এই প্রতিবেদক কে আরো জানান,এই ভুয়া কাজীর ব্যাপারে আইন মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেওয়া আছে।নির্দেশনা পেলে, অত্র ইউনিয়নে আমি নিকাহ রেজিস্ট্রার(কাজী) নিয়োগ প্রদান করবো।
ভুয়া কাজীর অভিযোগে অভিযুক্ত মোঃ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদক কে জানান,আমি আইন মন্ত্রনালয় থেকে ৩০/১০/২০১৪ সালে নিয়োগ পাইছি।তিনি আমাকে এসংক্রান্ত একটি নিয়োগের ফটোকপি দিয়েছেন।ফটোকপির মধ্যে কোনরুপ স্মারক নং এবং কারো কোন সিল নেই।দেখা যায় উক্ত নিয়োগ পত্রে নিয়োগ দেখানো আছে ৩০/১০/২০১৪ ইং তারিখে আর কাগজ ইস্যুর তারিখ দেখানো আছে ০৯/০২/২০১৫ ইং তারিখ।উল্লেখিত বিষয়ে জানতে চাইলে,মোঃ এনামুল হক কোন ধরনের উত্তর দিতে পারেননি।তিনি বলেন,আমাকে কে বা কাহারা ফোন দিয়ে আমার কাছে লাখ টাকা চাইছে।আমি টাকা দেইনি বলে তারা এরকম করছে।ফোনে কল করা ব্যক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে,মোঃ এনামুল হক তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এই ভুয়া কাজীর ব্যাপারে জানতে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি জানান এই বিষয়টি শুধু আমি না,আমার ইউএনও,উপজেলার চেয়ারম্যান সহ সবাই অবগত আছেন।আমার প্রশ্ন হলো?সবাই জানার পরও এই ভুয়া কাজী কিসের ক্ষমতাবলে এখনো কাজীগিরি করছেন?আর বিয়ের রেজিষ্ট্রেশনের বইটি কিভাবে নিচ্ছেন?তবে প্রশাসন স্টেপ নিলে আমার কোন আপত্তি নেই।আমি সহযোগিতা করবো।
স্হানীয় ইউপি সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান,আমিও বিষয়টি অনেক বছর ধরে অবগত আছি।তবে প্রশাসন স্টেপ নিলে আমি সহযোগিতা করবো। স্হানীয় আরো অনেকে জানান,এই ভুয়া কাজীকে দ্রুত অপসারণ করে সঠিক লোককে নিয়োগ দিলে,সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে না এবং বাংলাদেশ সরকারও রাজস্ব হারাবেনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে,এই ভুয়া কাজী ভুয়া বিবাহ রেজিস্ট্রার করেন,মামলা মোকদ্দমা হলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বর কনের পক্ষে বিপক্ষে কোর্টে ভুয়া কাগজপত্রও প্রদান করেন। এ বিষয়টি দ্রুত প্রশাসনের নজরে নিয়ে এসে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী করেন।