যশোর জেলার ঝিকরগাছা বাজারে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটকে রেখে চাঁদাবাজির মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুব্রত কুমার কুন্ডু।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, ঝিকরগাছা কাটাখাল পূর্বপাড়ার মৃত মাসুম ইসলামের ছেলে ইমামুল ইসলাম, কৃষ্ণনগর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে হাসানুর রহমান, মন্ত্রীপাড়ার বজলু দফাদারের ছেলে জীবন হোসেন জসিম, উত্তরপাড়ার বাবলুর রহমানের ছেলে সুরুজ আলী ও মোহিনীকাঠি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার যাদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ইয়াছিন রহমান ২০২২ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর ঝিকরগাছা বাজারে দোকানের মালামাল ক্রয় করতে আসেেন। ঐ দিন তিনি তার প্রেমিকাকে বাজারে দেখা করতে বলেন। আনুমানিক দুপুুর সোয়া ১ টার দিকে তার প্রেমিকা বাজারে এসে তার সাাথে দেখা করেন।
পরবর্তীতে বাজারে ফলপট্টির সামনে দাড়িয়ে কথা বলার সময় আসামি জসিম দফাদার রাস্তার অপর পাশ থেকে ইয়াসিনকে তার কাছে ডেকে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে অন্য আসামিরা ঘটনাস্থলে এসে ইয়াছিন ও তার প্রেমিকাকে উল্টা-পাল্টা প্রশ্ন করতে থাকে। এরপর আসামিরা ইয়াছিন ও তার প্রেমিককে কামারপাড়া রোডের বিরানী হাউজের পিছনে নিয়ে ঝামেলায় ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা ইয়াছিনের পকেটে থাকা ব্যবসার মালামাল ক্রয়ের ৩০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়।
এ সময় তার প্রেমিককে আটকে রেখে আরও ৩ হাজার টাকা দাবি করে। ইয়াছিন তার এক পরিচিত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৫ টাকা ধার নিয়ে তাদের দেন। এরপর তার প্রেমিকার ভাইকে সংবাদ দিয়ে ডেকে এনে তার কাছে দিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ইয়াছিন ঝিকরগাছা থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকায় ওই পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকতা। চার্জশিটে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক ও পরে দুইজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।