সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলাধীন বাহাড়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা রানী দাস। তার স্বামীর নাম সুকেশ চন্দ্র দাস । জীবনের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য হাতে তুলে নেন নৌকার বৈঠা।
নৌকার মাঝি হয়ে খেয়া পাড়াপাড়ের মাধ্যমে যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার চালাতে হতো তার। অসুস্থতাজনিত কারণে হঠাৎ তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। এমন একজন জীবন সংগ্রামী নারী হলেন সুমিত্রা।
পূর্বে তার এক খন্ড জমিও ছিল না। সন্তানদের নিয়ে ’দাড়াইন’ নদীর তীরেই এক জরাজীর্ণ ছোট কুটিরে অতি কষ্টে বসবাস ছিল তার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত মুজিব শতবর্ষে কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। সেই প্রেক্ষিতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যার জমি নেই ও ঘর নেই সেই প্রকল্পের কার্য্যক্রমে জীবন সংগ্রামী সুমিত্রাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ মুজিব বর্ষের ঘর দেওয়া হয়।
বর্তমানে হতদরিদ্র জীবন সংগ্রামী সুমিত্রা রানী দাস পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে শান্তিতে বসবাস করছেন।