ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

বগুড়ার নন্দীগ্রামে দরবার শরীফে ছাত্র বালাৎকার হুজুরকে গণপিটুনি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কুন্দারহাট আইলপুনিয়া দরবার শরীফে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে (১৪) বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা হুজুর হাফেজ আবু রায়হানকে (২২) আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের নুন্দহ গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ও মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের শিক্ষক। ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রকে বলাৎকার করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে আটককৃত হুজুরের বিরুদ্ধে গত বুধবার রাতে থানায় শিশু ধর্ষণ (বলাৎকার) মামলাটি দায়ের করেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি দফারফা করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। ইতিপূর্বে আইলপুনিয়া দরবার শরীফে চিকিৎসা দেওয়ার নামে ঝাড়ফুক অপচিকিৎসা ও ভণ্ডামির অভিযোগ রয়েছে জনশ্রুতিতে।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, কুন্দারহাট আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুস সুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও দরবার শরীফে হেফজো (আরবী) লেখাপড়া করে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ওই ছাত্র। মাদ্রাসার ছাত্ররা হেফজো বিভাগের একই কক্ষে লেখাপড়ার পাশাপাশি মেঝেতে ঘুমায়। মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আবু রায়হান ওই কক্ষে চৌকির ওপর ঘুমায়।

প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার ভোরে সকল ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য অজু করে ওই কক্ষে পড়তে বসে। হুজুর আবু রায়হান অজু করে রুমে আসে। মাদ্রাসার মসজিদে আজানের পর হেফজো কক্ষের ছাত্ররা লেখাপড়া বন্ধ করে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যায়। বলাৎকারের শিকার ছাত্র নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। হুজুর রায়হান ওই ছাত্রকে কৌশলে দাঁড়াতে বলে কক্ষের সব দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে ছাত্রকে ঝাপটে ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে বিছানার গদির ওপর নিয়ে বলাৎকার করা হয়।

পরের দিন বুধবার ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ওই হুজুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ভুল হয়েছে বলে ঘটনার কথা স্বীকার করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা লম্পটকে গণপিটুনি দেয়। বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা ও দফারফা করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে প্রভাবশালীরা।

এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে দরবার শরীফে ছাত্র বালাৎকার হুজুরকে গণপিটুনি

আপডেট সময় ০৫:২৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কুন্দারহাট আইলপুনিয়া দরবার শরীফে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে (১৪) বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা হুজুর হাফেজ আবু রায়হানকে (২২) আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের নুন্দহ গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ও মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের শিক্ষক। ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রকে বলাৎকার করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে আটককৃত হুজুরের বিরুদ্ধে গত বুধবার রাতে থানায় শিশু ধর্ষণ (বলাৎকার) মামলাটি দায়ের করেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি দফারফা করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। ইতিপূর্বে আইলপুনিয়া দরবার শরীফে চিকিৎসা দেওয়ার নামে ঝাড়ফুক অপচিকিৎসা ও ভণ্ডামির অভিযোগ রয়েছে জনশ্রুতিতে।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, কুন্দারহাট আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুস সুন্নাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও দরবার শরীফে হেফজো (আরবী) লেখাপড়া করে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ওই ছাত্র। মাদ্রাসার ছাত্ররা হেফজো বিভাগের একই কক্ষে লেখাপড়ার পাশাপাশি মেঝেতে ঘুমায়। মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আবু রায়হান ওই কক্ষে চৌকির ওপর ঘুমায়।

প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার ভোরে সকল ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য অজু করে ওই কক্ষে পড়তে বসে। হুজুর আবু রায়হান অজু করে রুমে আসে। মাদ্রাসার মসজিদে আজানের পর হেফজো কক্ষের ছাত্ররা লেখাপড়া বন্ধ করে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে যায়। বলাৎকারের শিকার ছাত্র নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। হুজুর রায়হান ওই ছাত্রকে কৌশলে দাঁড়াতে বলে কক্ষের সব দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে ছাত্রকে ঝাপটে ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে বিছানার গদির ওপর নিয়ে বলাৎকার করা হয়।

পরের দিন বুধবার ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ওই হুজুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ভুল হয়েছে বলে ঘটনার কথা স্বীকার করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা লম্পটকে গণপিটুনি দেয়। বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা ও দফারফা করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে প্রভাবশালীরা।

এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।