ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে ঘুষ ছাড়া সেচের ফাইল নড়েনা

জামালপরের ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, ঘুষছাড়া সেচের ফাইল নড়েনা ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। তদন্ত নামে দফা দফায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এজিএম ও ওয়ারিং পদির্শকসহ অফিসের লোকজন।

এক/দুই বছর ধরে অফিসে ঘোড়া ঘুড়ি করেও অনেকেই সেচের সংযোগ পাচ্ছে না। সিরিয়ালের নামে ফাইল আটক রেখে ঘুষ বাণিজ্য করছে কর্মকর্তারা। ফলে গ্রাহক হয়রানী চরমে পৌঁছেছে ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে।

অভিযোগে জানা গেছে, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি‘র আওতায় ইসলামপুর জোনাল অফিসে অধীনে মেলান্দহ উাপজেলার ২টি ইউনিয়ন ও ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার বিশ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে।

তন্মধ্যে বিদ্যুত চালিত সেচ পাম্প রয়েছে প্রায় ২৫শতাধিক। বর্তমানে ভোক্তভোগী কৃষকরা বিএডিসি কর্তৃক ২৭০টি সেচ লাইনের জন্য ছাড় পত্র নিয়েছে। কিন্ত বিদ্যুত অফিসে নতুন সেচ সংযোগের জন্য আবেদন করতে গেলে ভূমির নক্শাসহ সরকারি সার্ভেয়ার সঙ্গে নিয়ে আসতে বলছে।

আর যেগুলি অফিস আবেদন গ্রহন করেছে। সেই গুলি বার বার তদন্ত করেও জামানত জমা নিয়ে বলে ১শত টাকার তিন পাতা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর বা টিপসহি করে ট্রান্সফর্মার ক্রয় সাপেক্ষে সংযোগ দেওয়া হবে বলে কৃষকদের জানান। এসব সংযোগের ৫-৬বার তদন্তের নামে কৃষকদের নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে অফিসের এজিএম(কম) মো: সালেহ নাঈমসহ অফিসের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।

এ ব্যাপারে ইসলামপুর ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: আলী বর্দী খান সুজন জানান, অভিযোগ গুলি সঠিক নয়, সঠিক ভাবে তদন্ত করে আবেদনের সিরিয়াল অনুযায়ী সেচ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোক্ত এজিএম(কম) মো: সালেহ নাঈম জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলি সঠিক নয়। অনিয়ম ও সেচ সংযোগের ব্যাপারে তথ্য জানতে ওয়ারিং পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যাপারে ভোক্তভোগী সচেতন কৃষকরা কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষে লিখিত আবেদন জানিয়ে নতুন সেচ সংযোগ প্রদানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে ঘুষ ছাড়া সেচের ফাইল নড়েনা

আপডেট সময় ০৫:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

জামালপরের ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, ঘুষছাড়া সেচের ফাইল নড়েনা ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। তদন্ত নামে দফা দফায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এজিএম ও ওয়ারিং পদির্শকসহ অফিসের লোকজন।

এক/দুই বছর ধরে অফিসে ঘোড়া ঘুড়ি করেও অনেকেই সেচের সংযোগ পাচ্ছে না। সিরিয়ালের নামে ফাইল আটক রেখে ঘুষ বাণিজ্য করছে কর্মকর্তারা। ফলে গ্রাহক হয়রানী চরমে পৌঁছেছে ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে।

অভিযোগে জানা গেছে, জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি‘র আওতায় ইসলামপুর জোনাল অফিসে অধীনে মেলান্দহ উাপজেলার ২টি ইউনিয়ন ও ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার বিশ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে।

তন্মধ্যে বিদ্যুত চালিত সেচ পাম্প রয়েছে প্রায় ২৫শতাধিক। বর্তমানে ভোক্তভোগী কৃষকরা বিএডিসি কর্তৃক ২৭০টি সেচ লাইনের জন্য ছাড় পত্র নিয়েছে। কিন্ত বিদ্যুত অফিসে নতুন সেচ সংযোগের জন্য আবেদন করতে গেলে ভূমির নক্শাসহ সরকারি সার্ভেয়ার সঙ্গে নিয়ে আসতে বলছে।

আর যেগুলি অফিস আবেদন গ্রহন করেছে। সেই গুলি বার বার তদন্ত করেও জামানত জমা নিয়ে বলে ১শত টাকার তিন পাতা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর বা টিপসহি করে ট্রান্সফর্মার ক্রয় সাপেক্ষে সংযোগ দেওয়া হবে বলে কৃষকদের জানান। এসব সংযোগের ৫-৬বার তদন্তের নামে কৃষকদের নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে অফিসের এজিএম(কম) মো: সালেহ নাঈমসহ অফিসের পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।

এ ব্যাপারে ইসলামপুর ইসলামপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: আলী বর্দী খান সুজন জানান, অভিযোগ গুলি সঠিক নয়, সঠিক ভাবে তদন্ত করে আবেদনের সিরিয়াল অনুযায়ী সেচ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোক্ত এজিএম(কম) মো: সালেহ নাঈম জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলি সঠিক নয়। অনিয়ম ও সেচ সংযোগের ব্যাপারে তথ্য জানতে ওয়ারিং পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যাপারে ভোক্তভোগী সচেতন কৃষকরা কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষে লিখিত আবেদন জানিয়ে নতুন সেচ সংযোগ প্রদানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।