গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, অপরিণত বয়সে বিয়ের কারণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভোগেন নারীরা। বিশেষ করে অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণের কারণে নারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকেন। মায়ের কারণে অপুষ্ট ও বিকলাঙ্গতাসহ নানা সমস্যায় ভুগতে হয় জন্ম নেওয়া শিশুদের। নবজাতক শিশুদের সম্ভাবনাময়ী ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতায় থাকে। এমনকি, বাল্যবিয়ের কারণে বিচ্ছেদ ও মৃত্যুও হরহামেশাই ঘটে। পাশাপাশি সংসারেও দেখা দেয় নানান সমস্যা।
শুধু আইন প্রয়োগ করে বাল্যবিবাহ রোধ করা যাবে না, আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে বাল্যবিবাহ রোধে এক সাথে কাজ করতে হবে আর এই কাজের জন্য সমাজে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে ইমাম সাহেবদের। কারণ সাধারণ মানুষরা ধর্ম ভিরু। তারা মসজিদের ইমাম সাহেবদের কথা গুরুত্ব সহকারে মান্য করে। তাই প্রচলিত বাল্যবিবাহ রোধে ইমাম সাহেবদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র প্রেমিক ছাড়া প্রশাসনকে বাল্যবিবাহের খবর কেউ জানায় না,তারাই প্রকৃত সচেতন। গোয়াইনঘাট উপজেলায় এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ রোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার ১ মার্চ সকাল ১০ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গোয়াইনঘাটে এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে প্রোগ্রাম অফিসার শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও গোয়াইনঘাট জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি আব্দুল মাতিনের সভাপতিত্বে বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েস,গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন,গোয়াইনঘাট থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান সুমন, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক মিনহাজ উদ্দিন।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার সেবাষ্টিং আরেং। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র আল কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন,আজমত উল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম অফিসার ঝলমল মারিয়া খংস্তিয়া ও উপজেলার ৬০ জন উলামায়ে কেরাম। অনুষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল মাতিনের সমাপনী বক্তব্যে মাত বিনিময় সভার সমাপ্তি হয়।