ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

সাংবাদিকতা ডিজিটাল আইনের চেয়েও হুমকি

ডিজিটাল আইনের চেয়েও এখন সাংবাদিকতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে অপসাংবাদিকতা। এখন সাংবাদিকদের নানা নামে ডাকা হয়। কেউ ডাকেন সামবাদিক সাহেব, কেউ বা হলুদ আবার কেউ ডাকে ভূয়া অথবা সাংঘাতিক বলে।

সাংবাদিকের মতো এতো পবিত্রতম একটি শব্দ ও পেশাকে কেন সামবাদিক, হলুদ বা ভূয়া সামবাদিক বলে ডাকা হয় তা কি কখনো গণমাধ্যম বিশিষ্টজনরা ভেবে দেখেছেন? সাংবাদিক শব্দটা যাদের জন্য “সামবাদিক” হয়েছে তাদের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। সাংবাদিকতাকে রীতিমতো উলঙ্গ করে ফেলছে।

ফেসবুকে পোস্ট করেই এরা বলে টিভি নিউজ। সারা জীবন দেখে আসলাম আগামি কালের পত্রিকা ছাপা হয় রাত ১২ টার পরে। অথচ এখন দেখি যখনকার ঘটনা তার কিছুক্ষণ পরই পত্রিকাতে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। এ আবার কি ধরণের সামবাদিকতা ! পরের দিনের সংবাদ আগের দিনেই প্রকাশ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়-ওটা পত্রিকা না। পত্রিকার মতো পোস্টার করে ওরা। তারপর ছেড়ে দেয় ফেসবুকে।

আর যাদের নিউজ থাকে তাদের ট্যাগ করে দেওয়া হয়। এতে নাকি ঐ সাংবাদিকের গুরুত্ব বাড়ে। অথচ,ওরা ভাল করে লিখতে না পারলেও প্রযুক্তির সাহায্যই ওদের পুঁজি। সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এরা দিনের পর দিন এভাবেই সেবামূলক মহান পেশাটাকে উলঙ্গ করছে হবিগঞ্জের বাহুবল সহ সব জায়াগাতে।

৯০০ টাকা দিয়ে অনলাইন খুলেই সম্পাদক, স্টাফ রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার, জেলা প্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছে। যোগ্যতার কথা নাই বা তুললাম। কোন রকম ফেসবুকে শেয়ার করার মতো যোগ্যতা থাকলেই হলো। প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা এখানে চতুর্থ বিষয়।

যখন দেখি দেশের প্রথম সারির পত্রিকা তাদের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত দেন শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে স্নাতক। তখন স্বপ্ন দেখি সাংবাদিকতার সুদিনের। কিন্তু যখন দেখি স্নাতক তো দূরের কথা কোনদিন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পা দেয়নি এমন লোককে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ দেন তখন চরম হতাশায় নিজেকে গুটিয়ে নিতে হয়। যাদের আয়ের কোন উৎস নেই অথচ তারা দিব্যি বাড়িতে বিল্ডিং, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেলসহ দামি ব্রান্ডের মোবাইল ব্যবহার করছেন। কোথায় পাচ্ছে এগুলো? এই মহান পেশার বন্ধুরা কি এতোটাই মানষিক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এভাবে হাতে হাত ধরে দাবি আদায়ে রাস্তায় দাঁড়ালে সব সময়ই অধিকার আদায় হয় কিনা জানিনা। ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সবাইকে জানান দেয় তারা এখন অনেক মস্ত বড় সাংবাদিক হয়ে গিয়েছে।

এ সকল সাংবাদিকদের মানবিক, জনদুর্ভোগ কিংবা উন্নয়নমূলক কোন প্রতিবেদন তৈরি করতে দেখা যায় না। কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা হত্যাকান্ড ঘটলে ঘটনাস্থলেও তাদের চোখে পড়েনা। কারণ এ সকল সংবাদ সংগ্রহে কোন অর্থ পাওয়া যায় না। বরং আরো নিজের পকেট থেকে যায়। এদের বেশি দেখা যায় গ্রামের আনাচে-কানাচে দিয়ে। গ্রামের সরল-সহজ মানুষগুলোকে রীতিমতো সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে এরা হাতিয়ে নেয় টাকা। এখনই সবার উচিত এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। দেশের গণমাধ্যমকে স্বচ্ছতার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার।

সাংবাদিকতা ডিজিটাল আইনের চেয়েও হুমকি

আপডেট সময় ০৬:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

ডিজিটাল আইনের চেয়েও এখন সাংবাদিকতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে অপসাংবাদিকতা। এখন সাংবাদিকদের নানা নামে ডাকা হয়। কেউ ডাকেন সামবাদিক সাহেব, কেউ বা হলুদ আবার কেউ ডাকে ভূয়া অথবা সাংঘাতিক বলে।

সাংবাদিকের মতো এতো পবিত্রতম একটি শব্দ ও পেশাকে কেন সামবাদিক, হলুদ বা ভূয়া সামবাদিক বলে ডাকা হয় তা কি কখনো গণমাধ্যম বিশিষ্টজনরা ভেবে দেখেছেন? সাংবাদিক শব্দটা যাদের জন্য “সামবাদিক” হয়েছে তাদের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। সাংবাদিকতাকে রীতিমতো উলঙ্গ করে ফেলছে।

ফেসবুকে পোস্ট করেই এরা বলে টিভি নিউজ। সারা জীবন দেখে আসলাম আগামি কালের পত্রিকা ছাপা হয় রাত ১২ টার পরে। অথচ এখন দেখি যখনকার ঘটনা তার কিছুক্ষণ পরই পত্রিকাতে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। এ আবার কি ধরণের সামবাদিকতা ! পরের দিনের সংবাদ আগের দিনেই প্রকাশ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়-ওটা পত্রিকা না। পত্রিকার মতো পোস্টার করে ওরা। তারপর ছেড়ে দেয় ফেসবুকে।

আর যাদের নিউজ থাকে তাদের ট্যাগ করে দেওয়া হয়। এতে নাকি ঐ সাংবাদিকের গুরুত্ব বাড়ে। অথচ,ওরা ভাল করে লিখতে না পারলেও প্রযুক্তির সাহায্যই ওদের পুঁজি। সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এরা দিনের পর দিন এভাবেই সেবামূলক মহান পেশাটাকে উলঙ্গ করছে হবিগঞ্জের বাহুবল সহ সব জায়াগাতে।

৯০০ টাকা দিয়ে অনলাইন খুলেই সম্পাদক, স্টাফ রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার, জেলা প্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছে। যোগ্যতার কথা নাই বা তুললাম। কোন রকম ফেসবুকে শেয়ার করার মতো যোগ্যতা থাকলেই হলো। প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা এখানে চতুর্থ বিষয়।

যখন দেখি দেশের প্রথম সারির পত্রিকা তাদের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত দেন শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে স্নাতক। তখন স্বপ্ন দেখি সাংবাদিকতার সুদিনের। কিন্তু যখন দেখি স্নাতক তো দূরের কথা কোনদিন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পা দেয়নি এমন লোককে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ দেন তখন চরম হতাশায় নিজেকে গুটিয়ে নিতে হয়। যাদের আয়ের কোন উৎস নেই অথচ তারা দিব্যি বাড়িতে বিল্ডিং, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেলসহ দামি ব্রান্ডের মোবাইল ব্যবহার করছেন। কোথায় পাচ্ছে এগুলো? এই মহান পেশার বন্ধুরা কি এতোটাই মানষিক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এভাবে হাতে হাত ধরে দাবি আদায়ে রাস্তায় দাঁড়ালে সব সময়ই অধিকার আদায় হয় কিনা জানিনা। ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সবাইকে জানান দেয় তারা এখন অনেক মস্ত বড় সাংবাদিক হয়ে গিয়েছে।

এ সকল সাংবাদিকদের মানবিক, জনদুর্ভোগ কিংবা উন্নয়নমূলক কোন প্রতিবেদন তৈরি করতে দেখা যায় না। কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা হত্যাকান্ড ঘটলে ঘটনাস্থলেও তাদের চোখে পড়েনা। কারণ এ সকল সংবাদ সংগ্রহে কোন অর্থ পাওয়া যায় না। বরং আরো নিজের পকেট থেকে যায়। এদের বেশি দেখা যায় গ্রামের আনাচে-কানাচে দিয়ে। গ্রামের সরল-সহজ মানুষগুলোকে রীতিমতো সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে এরা হাতিয়ে নেয় টাকা। এখনই সবার উচিত এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। দেশের গণমাধ্যমকে স্বচ্ছতার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।