ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৯ অক্টোবর) টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় দেশবাসীকে এই শুভেচ্ছা জানান তিনি। বাংলাদেশ-ভারতসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে থাকেন।
রোববার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রোববার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা। এই উপলক্ষ আমাদের সমাজে শান্তি, ঐক্য এবং সহানুভূতির চেতনাকে আরও বাড়িয়ে তুলুক। ঈদ মোবারক।’
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মবার্ষিকী স্মরণে প্রতি বছর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয় এবং রবি-উল-আউয়াল মাসে পালন করা হয়। ইসলামী চন্দ্র ক্যালেন্ডারের তৃতীয় এই মাসটি চাঁদ দেখার সাথে সাথে শুরু হয়। এ উপলক্ষে নবীজির মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নবীর জীবন, তার শিক্ষা, কষ্ট এবং তার চরিত্র উদযাপন করা, যেমন তিনি তার শত্রুদেরও ক্ষমা করেছিলেন। মুসলমানরা নতুন পোশাক পরিধান করে, নামাজ আদায় করে এবং উপহার বিনিময় করে এই দিবসটি উদযাপন করে।
এর আগে শনিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজ্যের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং এই উৎসব সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বাড়াতে নতুন অনুপ্রেরণা দেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৪০০ বছর আগে ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এদিকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হচ্ছে। যথাযথ মর্যাদায় এই দিনটি পালনে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালারও আয়োজন করা হয়েছে।