ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেস্টে সেঞ্চুরি করে ব্যালান্সের বিরল রেকর্ড

টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন ৬ বছর পর। তাও ভিন্ন এক দেশের জার্সিতে। নেমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বিরল রেকর্ড গড়েছেন গ্যারি ব্যালান্স। এর আগে এই জিম্বাবুইয়ান ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩ টেস্টে ৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন।

দুই দেশের হয়ে সেঞ্চুরির রেকর্ড এর আগে ছিল মাত্র একজনের। তাও প্রায় তিন দশক আগে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেই সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল কেপলার ওয়েসেলসের। তার পরেই ৩৩ বছর বয়সী ব্যালান্সের অবস্থান। অথচ দুই দেশের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন ক্রিকেটার খেলেছেন।

টেস্টে ব্যালান্সের বিরল এই রেকর্ড গড়ার চিত্রটাও বেশ রোমাঞ্চকর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুডাকেশ মোটির ফুল লেংথ বল স্লগ সুইপে ৬ হাঁকিয়েই তিনি শতক পূর্ণ করেন। সাদা পোশাকে তার প্রত্যাবর্তনের উদযাপনটাও ছিল মনে রাখার মতো। জিম্বাবুয়ের হয়ে যেকোনো অভিষেক ব্যাটারের করা এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ইনিংস ঘোষণার আগে ২৩১ বলে ১৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ব্যালান্স। ২ ছক্কা ও ১২ চারে তিনি টেস্টে প্রত্যাবর্তনের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে দুই সেঞ্চুরিতে ৪৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে উইন্ডিজরা। দলটির সাবেক টেস্ট ব্যাটার শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে তেজনারায়ণ চন্দরপল করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। দলের আরেক ওপেনার ক্রেইগ ব্রাফেটও গিয়েছিলেন তার কাছাকাছি। তবে ১৮২ রানেই থামতে হয়েছে তাকে। দুই ওপেনারের রানে ভর করেই উইন্ডিজরা ৬ উইকেটে বড় স্কোর গড়েছে। এছাড়া, আর কোন ব্যাটার উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্র্যান্ডন মাভুটা নিয়েছেন ৫ উইকেট, এক উইকেট নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। আগের দিন ফিফটি করা ইনোসেন্ট কাইয়া ফেরেন ৬৭ রানে। আলজারি জোসেফের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি । এরপর আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ক্রেইগ আরভিনের দল। দীর্ঘ সময় ধরে সেট হতে থাকা ওয়েলিংটন মাসাকাদজা লাঞ্চের আগে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। সেখান থেকেই দিশেহারা দলকে টেনে তুলেন ব্যালান্স ও মাভুটা।

দুর্দান্ত বোলিং করা মাভুটা ব্যাটিংয়েও ধৈর্যের পরিচয় দেন। ১০৭ বলে ফিফটির পর ৫৬ রানে থামেন তিনি। পরে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৭৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে। উইন্ডিজদের হয়ে জোসেফ ৩টি, গুডাকেশ ও জেসন হোল্ডার ২টি এবং ব্রাফেট ও কেমার রোচ নেন একটি করে উইকেট।

৬৮ রানে লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নামেন চন্দরপলরা। চতুর্থ দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই ব্যবধানটাকে ৮৯ রানে নিয়ে গেছে। কোন উইকেট না হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২১ রান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টেস্টে সেঞ্চুরি করে ব্যালান্সের বিরল রেকর্ড

আপডেট সময় ০১:০৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন ৬ বছর পর। তাও ভিন্ন এক দেশের জার্সিতে। নেমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বিরল রেকর্ড গড়েছেন গ্যারি ব্যালান্স। এর আগে এই জিম্বাবুইয়ান ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩ টেস্টে ৪টি সেঞ্চুরি করেছিলেন।

দুই দেশের হয়ে সেঞ্চুরির রেকর্ড এর আগে ছিল মাত্র একজনের। তাও প্রায় তিন দশক আগে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেই সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল কেপলার ওয়েসেলসের। তার পরেই ৩৩ বছর বয়সী ব্যালান্সের অবস্থান। অথচ দুই দেশের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন ক্রিকেটার খেলেছেন।

টেস্টে ব্যালান্সের বিরল এই রেকর্ড গড়ার চিত্রটাও বেশ রোমাঞ্চকর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুডাকেশ মোটির ফুল লেংথ বল স্লগ সুইপে ৬ হাঁকিয়েই তিনি শতক পূর্ণ করেন। সাদা পোশাকে তার প্রত্যাবর্তনের উদযাপনটাও ছিল মনে রাখার মতো। জিম্বাবুয়ের হয়ে যেকোনো অভিষেক ব্যাটারের করা এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ইনিংস ঘোষণার আগে ২৩১ বলে ১৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ব্যালান্স। ২ ছক্কা ও ১২ চারে তিনি টেস্টে প্রত্যাবর্তনের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে দুই সেঞ্চুরিতে ৪৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে উইন্ডিজরা। দলটির সাবেক টেস্ট ব্যাটার শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে তেজনারায়ণ চন্দরপল করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। দলের আরেক ওপেনার ক্রেইগ ব্রাফেটও গিয়েছিলেন তার কাছাকাছি। তবে ১৮২ রানেই থামতে হয়েছে তাকে। দুই ওপেনারের রানে ভর করেই উইন্ডিজরা ৬ উইকেটে বড় স্কোর গড়েছে। এছাড়া, আর কোন ব্যাটার উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্র্যান্ডন মাভুটা নিয়েছেন ৫ উইকেট, এক উইকেট নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। আগের দিন ফিফটি করা ইনোসেন্ট কাইয়া ফেরেন ৬৭ রানে। আলজারি জোসেফের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি । এরপর আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ক্রেইগ আরভিনের দল। দীর্ঘ সময় ধরে সেট হতে থাকা ওয়েলিংটন মাসাকাদজা লাঞ্চের আগে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। সেখান থেকেই দিশেহারা দলকে টেনে তুলেন ব্যালান্স ও মাভুটা।

দুর্দান্ত বোলিং করা মাভুটা ব্যাটিংয়েও ধৈর্যের পরিচয় দেন। ১০৭ বলে ফিফটির পর ৫৬ রানে থামেন তিনি। পরে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৭৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে। উইন্ডিজদের হয়ে জোসেফ ৩টি, গুডাকেশ ও জেসন হোল্ডার ২টি এবং ব্রাফেট ও কেমার রোচ নেন একটি করে উইকেট।

৬৮ রানে লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নামেন চন্দরপলরা। চতুর্থ দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই ব্যবধানটাকে ৮৯ রানে নিয়ে গেছে। কোন উইকেট না হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২১ রান।