র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় জলদস্যু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানাধীন বড়খোপ এলাকায় মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন ঝাউ গাছের নিচে কতিপয় জলদস্যু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র সহ একত্রিত হয়ে অপরাধ সংঘটন করার জন্য সলাপরামর্শ ও প্রস্তুতি গ্রহন করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ ১১: দিকে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ০১। মোশারফ হোসেন(২৮), পিতা- শাহাবুদ্দিন, সাং-আব্দুল হাদী শিকদার পাড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ০২। মোঃ আজিজ(২৩), পিতা-নুরুল আবছার, সাং-সন্দীপ পাড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা-কক্সবাজার এবং ০৩। মোঃ রবিউল হাসান(২০), পিতা- মোঃ জাবেদ আহম্মেদ, সাং-আব্দুল হাদী শিকদার পাড়া, থানা-কুতুবদিয়া, জেলা- কক্সবাজার’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকালীন সময়ে ১নং আসামী মোশারফ হোসেন এর কোমড়ে গোজানো অবস্থা হতে আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে দেশীয় তৈরী একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জানা যায়, তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে লবণ চাষীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চাঁদাবাজি করার লক্ষ্যে তাদের কাছে আরো অস্ত্র-সস্ত্র রয়েছে।
পরবর্তীতে আসামীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেফতাকৃত আসামীদের সাথে নিয়ে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া থানাধীন শিকদার পাড়া এলাকায় একটি ছাপড়া ঘরের ভেতর হতে আসামীদের দেখানো ও নিজ বের করে দেয়া মতে ০১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর হতে ৩টি এসবিবিএল, ০৪টি এলজি এবং ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে স্বীকার করে যে, জব্দকৃত অস্ত্র-সস্ত্র দ্বারা তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে লবণ চাষীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় ও ডাকাতি করে আসছে।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত ০১নং আসামী শীর্ষ জলদস্যু মোশারফ হোসেন এর নামে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানায় সরকারী সম্পত্তি আত্মসাধ, সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যাচেষ্টা এবং মাদক সংক্রান্তে ০৬টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।