ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে তৈরি প্রথম রকেট উড়তে যাচ্ছে মার্চে

বাংলাদেশে রকেট তৈরির আইডিয়া দিয়ে রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২২ এর সেরা উদ্ভাবক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দুই জন। তারা হলেন- আজাদুল হককে (ব্রিজ টু বাংলাদেশ) এবং নাহিয়ান আল রহমান অলি (ধুমকেতু এক্স)। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই উড্ডয়নের জন্য বাংলাদেশে তৈরি করা হবে সেই রকেট। 

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিএএফ শাহীন হলে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২-এর বিজয়ী উদ্ভাবকদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলাম।

শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী উদ্ভাবক আজাদুল হককে (ব্রিজ টু বাংলাদেশ) ১ কোটি টাকা এবং উদ্ভাবক নাহিয়ান আল রহমান অলিকে (ধুমকেতু এক্স) ৫০ লাখ টাকার সিডমানি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।

এটুআই ও বিএসএমআরএএইউ-এর যৌথ উদ্যোগে রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে আসা ১২৪টি উদ্ভাবনী আইডিয়া থেকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, বুটক্যাম্প, গ্রুমিং এবং টেকনিক্যাল ইভালুয়েশন প্যানেলসহ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে বিচারকমন্ডলী দুটি আইডিয়াকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন।

উদ্ভাবক আজাদুল হক বাংলাদেশে মডেল রকেট উৎক্ষেপণের জন্য ইকোসিস্টেম বা সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া তৈরির পাশাপাশি রকেট্রি গবেষণা এবং উন্নয়নে একটি সংবেদনশীল ও নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্র তৈরি করবেন।

উদ্ভাবক নাহিয়ান আল রহমান অলির ধুমকেতু ০.১ এর নকশা পরীক্ষা করার জন্য একটি প্রোটোটাইপ রকেট, রকেট উৎক্ষেপণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ১০ হাজার ফুট থেকে ৩০ হাজার ফুট দূরের বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম এবং এতে দেশের মহাকাশ প্রযুক্তির যাত্রার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে তৈরি প্রথম রকেট উড়তে যাচ্ছে মার্চে

আপডেট সময় ০৪:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশে রকেট তৈরির আইডিয়া দিয়ে রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২২ এর সেরা উদ্ভাবক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দুই জন। তারা হলেন- আজাদুল হককে (ব্রিজ টু বাংলাদেশ) এবং নাহিয়ান আল রহমান অলি (ধুমকেতু এক্স)। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই উড্ডয়নের জন্য বাংলাদেশে তৈরি করা হবে সেই রকেট। 

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিএএফ শাহীন হলে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২-এর বিজয়ী উদ্ভাবকদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ এস এম ফখরুল ইসলাম।

শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী উদ্ভাবক আজাদুল হককে (ব্রিজ টু বাংলাদেশ) ১ কোটি টাকা এবং উদ্ভাবক নাহিয়ান আল রহমান অলিকে (ধুমকেতু এক্স) ৫০ লাখ টাকার সিডমানি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।

এটুআই ও বিএসএমআরএএইউ-এর যৌথ উদ্যোগে রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে আসা ১২৪টি উদ্ভাবনী আইডিয়া থেকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, বুটক্যাম্প, গ্রুমিং এবং টেকনিক্যাল ইভালুয়েশন প্যানেলসহ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে বিচারকমন্ডলী দুটি আইডিয়াকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন।

উদ্ভাবক আজাদুল হক বাংলাদেশে মডেল রকেট উৎক্ষেপণের জন্য ইকোসিস্টেম বা সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া তৈরির পাশাপাশি রকেট্রি গবেষণা এবং উন্নয়নে একটি সংবেদনশীল ও নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্র তৈরি করবেন।

উদ্ভাবক নাহিয়ান আল রহমান অলির ধুমকেতু ০.১ এর নকশা পরীক্ষা করার জন্য একটি প্রোটোটাইপ রকেট, রকেট উৎক্ষেপণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ১০ হাজার ফুট থেকে ৩০ হাজার ফুট দূরের বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম এবং এতে দেশের মহাকাশ প্রযুক্তির যাত্রার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।