ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জুকারবার্গকে দিয়ে ফেসবুকের উন্নতি হবে না’

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ধ্বংসের জন্য এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গই দায়ী। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিল জর্জ এমন দাবি করেছেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হার্ভার্ডের ওই অধ্যাপক বলেন, ‘আমি মনে করি, যতদিন উনি আছেন ফেসবুকের বিশেষ কোন উন্নতি হবে না। যে সব কারণে অনেকেই ফেসবুক ছেড়ে দিচ্ছেন, তার মধ্যে অন্যতম কারণ উনি নিজে। উনি সত্যিই দিগভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেন।’

সম্প্রতি জর্জ তার ‘অথেন্টিক’ নামের বইয়ে দাবি করেছেন, যে ‘খারাপ’ বসদের জন্য প্রতিষ্ঠান ডুবে, তার অন্যতম উদাহরণ জুকারবার্গ।

মোট পাঁচটি ধরনের কথা তিনি বলেছেন। যার মধ্যে তিনটি ধরনই মিলে যায় জুকারবার্গের সঙ্গে। যার মধ্যে একটি ধরন হলো সবসময় ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দায়ী করা। দ্বিতীয়টি হল, কারও পরামর্শ শুনতে না চাওয়া। তৃতীয়ত, নিজের পিঠ নিজে চাপড়ানো। অর্থাৎ সব সময় নিজেকে বড় করে দেখানো।

এত সমালোচনার মধ্যেও ভালো দিকটি হল, জুকারবার্গকে খারাপ বসদের সবকটি ক্যাটাগরিতে ফেলেননি ওই অধ্যাপক। জর্জ জানিয়েছেন, মার্ক চাইলে নিজেকে পালটে ফেলতে পারেন। যদিও এই বিপুল সাফল্যের পর তা করা কঠিন।

জর্জের পরামর্শ, সাময়িক ভাবে সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে বিশ্রাম নিন জুকারবার্গ। সেই সঙ্গে নিজের মূল্যবোধ ও অন্য বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করুন। তারপর সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘জুকারবার্গকে দিয়ে ফেসবুকের উন্নতি হবে না’

আপডেট সময় ০৭:১৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ধ্বংসের জন্য এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গই দায়ী। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিল জর্জ এমন দাবি করেছেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হার্ভার্ডের ওই অধ্যাপক বলেন, ‘আমি মনে করি, যতদিন উনি আছেন ফেসবুকের বিশেষ কোন উন্নতি হবে না। যে সব কারণে অনেকেই ফেসবুক ছেড়ে দিচ্ছেন, তার মধ্যে অন্যতম কারণ উনি নিজে। উনি সত্যিই দিগভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেন।’

সম্প্রতি জর্জ তার ‘অথেন্টিক’ নামের বইয়ে দাবি করেছেন, যে ‘খারাপ’ বসদের জন্য প্রতিষ্ঠান ডুবে, তার অন্যতম উদাহরণ জুকারবার্গ।

মোট পাঁচটি ধরনের কথা তিনি বলেছেন। যার মধ্যে তিনটি ধরনই মিলে যায় জুকারবার্গের সঙ্গে। যার মধ্যে একটি ধরন হলো সবসময় ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দায়ী করা। দ্বিতীয়টি হল, কারও পরামর্শ শুনতে না চাওয়া। তৃতীয়ত, নিজের পিঠ নিজে চাপড়ানো। অর্থাৎ সব সময় নিজেকে বড় করে দেখানো।

এত সমালোচনার মধ্যেও ভালো দিকটি হল, জুকারবার্গকে খারাপ বসদের সবকটি ক্যাটাগরিতে ফেলেননি ওই অধ্যাপক। জর্জ জানিয়েছেন, মার্ক চাইলে নিজেকে পালটে ফেলতে পারেন। যদিও এই বিপুল সাফল্যের পর তা করা কঠিন।

জর্জের পরামর্শ, সাময়িক ভাবে সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে বিশ্রাম নিন জুকারবার্গ। সেই সঙ্গে নিজের মূল্যবোধ ও অন্য বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করুন। তারপর সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।