ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

করোনা : চীনে আগামী বছর ১০ লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর করোনা ভাইরাসের কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করে এশিয়ার দেশ চীন। তবে হঠাৎ করে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় চীনের ওপর এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স এবং এভ্যুলেশন (আইএইচএমই) নামের এ সংস্থাটি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, চীনে আসন্ন ২০২৩ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

সংস্থাটির পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে জানিয়েছেন, তার ধারণা এপ্রিলে সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া ওই সময়ের মধ্যে ৩ লাখ ২২ হাজার মানুষ মারা যাওয়া এবং চীনের চারভাগের তিন ভাগ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হতে পারেন।

এদিকে ৭ ডিসেম্বর কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের একজন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল দেশটি। বর্তমানে চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যাটি হলো ৫ হাজার ২৩৫ জন।

তবে বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনার পর সংক্রমণের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। সামনের বছরের জানুয়ারিতে চীনের নববর্ষ পালন করা হবে। সে সময় সংক্রমণ আরও বাড়বে।

আইএইচএমই-এর পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে বলেছেন, ‘চীন যে এত দীর্ঘ সময় জিরো কোভিড নীতি বজায় রাখবে এটি কেউ ভাবেনি। কঠোর নীতির কারণে হয়ত প্রথমদিকে করোনার যেসব ধরণ ছিল সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিল তারা। কিন্তু উচ্চ সংক্রমণযোগ্য নতুন ধরণ ওমিক্রন এ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি কঠিন করে দিয়েছে।’

চীনের দুর্বল ভ্যাকসিনের কারণে অবস্থা খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে সংস্থাটি। আর যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে অসুস্থ এবং বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

করোনা : চীনে আগামী বছর ১০ লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

আপডেট সময় ০২:১২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর করোনা ভাইরাসের কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করে এশিয়ার দেশ চীন। তবে হঠাৎ করে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় চীনের ওপর এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স এবং এভ্যুলেশন (আইএইচএমই) নামের এ সংস্থাটি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, চীনে আসন্ন ২০২৩ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

সংস্থাটির পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে জানিয়েছেন, তার ধারণা এপ্রিলে সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া ওই সময়ের মধ্যে ৩ লাখ ২২ হাজার মানুষ মারা যাওয়া এবং চীনের চারভাগের তিন ভাগ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হতে পারেন।

এদিকে ৭ ডিসেম্বর কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের একজন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল দেশটি। বর্তমানে চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যাটি হলো ৫ হাজার ২৩৫ জন।

তবে বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনার পর সংক্রমণের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। সামনের বছরের জানুয়ারিতে চীনের নববর্ষ পালন করা হবে। সে সময় সংক্রমণ আরও বাড়বে।

আইএইচএমই-এর পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে বলেছেন, ‘চীন যে এত দীর্ঘ সময় জিরো কোভিড নীতি বজায় রাখবে এটি কেউ ভাবেনি। কঠোর নীতির কারণে হয়ত প্রথমদিকে করোনার যেসব ধরণ ছিল সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিল তারা। কিন্তু উচ্চ সংক্রমণযোগ্য নতুন ধরণ ওমিক্রন এ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি কঠিন করে দিয়েছে।’

চীনের দুর্বল ভ্যাকসিনের কারণে অবস্থা খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে সংস্থাটি। আর যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে অসুস্থ এবং বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।