বাংলাদেশের বসবাসকারী চিহ্নিত সকল যুদ্ধ অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও রাজাকারের সঠিক তালিকা প্রকাশ করার দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

রবিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২২ ইং সকাল দশটায় জাতীয় শ্রমিক লীগ বরগুনা জেলার সংগ্রামী আহবায় ও বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ,আব্দুল হালিম মোল্লার সভাপতিত্বে, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের বরগুনা জেলা শাখার আয়োজনে,জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেনা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ বরগুনা জেলার নেতৃবৃন্দ, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পরে মমতাময়ী মা প্রিয় নেত্রী আপনাকে মুক্ত করা দাবিতে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও যুগ যুগান্তর প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বাঁচিয়ে রাখতে শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও প্রগতি মূলনীতিকে বুকে ধারণ করে ২০০৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ নামক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জন্মলগ্নেই প্রিয় নেত্রীর মুক্তি  আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সক্রিয় থেকেছি, আমাদের আশ্রয়স্থল প্রিয় নেত্রী কারারুদ্ধ অভিভাবকহীন হয়েও আমরা থেমে থাকেনি।

পরবর্তী সময়ে ২০০৮ ২০১৪ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবি যুদ্ধ অপরাধীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আমরা সোচ্চার থেকে প্রতিনিয়ত আজও হেফাজতের উপর ভর করে জামাত বিএনপির তাণ্ডব আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মোকাবিলা করেছি, বিএনপি জামাতের অপরাজনীতি হরতাল ,অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও মোকাবিলা করেছি রাজপথে , বিএনপি জামাতের মার্চস পর ডেমোক্রেসি নামক ষড়যন্ত্র জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিহত করেছি, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে চলছি আপনার নির্দেশে।

প্রিয় নেত্রী ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আপনার নেতৃত্বে নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি নিরলসভাবে। আপনার মতো সুযোগ্য অভিভাবক থাকায় নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। তাই আমাদের জোর দাবি যুদ্ধঅপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও রাজাকারের সঠিক তালিকা প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান অলি সহ আরো অনেকে।