ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

সরকার হটাতে এবারের আন্দোলন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে”মির্জা আব্বাস

সরকার হটাতে এবারের আন্দোলন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এই যে মামলা-মোকাদ্দমা, এই যে গোলাগুলি, এতো সহজেই আমরা ছেড়ে দেব না। আমরা ভিন্ন প্রক্রিয়া নেবো, আন্দোলনের ভিন্ন রুপ হবে, আন্দোলনের ভিন্ন কায়দা হবে। আন্দোলন কখনো একরকম চলে না, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শাহবাগ-রমনা থানা শাখার উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম এবং নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা আর কোনোদিন কমবে না। এদেরকে সরাতে হবে, এদের ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন শেষ হবে না।

সরকার বিএনপিকে বড় জায়গায় সমাবেশ করতে দেয় না, এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা একদিন ঢাকা শহরের প্রতিটি অলি-গলিতে মিছিল করব। সেদিন আপনাদের কি অবস্থা হয় দেখবো। রাজপথ আমরা কিন্তু আপনাদের হাতে ছেড়ে দেব না। রাজপথ ইনশাল্লাহ আমরা দখল করব। সময় এসে গেছে। বিএনপি নেতারা, ছাত্রদল নেতারা, যুবদল নেতারা গুলি খাওয়া শিখে গেছে। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। বুকে পেতে দেব, গুলি খাব, কিন্তু রাজপথ ছেড়ে যাব না-এটা আমাদের শপথ।

মির্জা আব্বাস বলেন, সামিট গ্রুপের আজিজ খান, আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক খানের ভাই, সেটা আপনারা সবাই জানেন। সেদিন দেখলাম সিঙ্গাপুরে বড় ধনীদের মধ্যে একজন আজিজ খান। কয়েকদিন আগে তো আপনারা তাদেরকে ছাড় দিলেন যে, বিদেশ থেকে টাকা আনলে তাদের কর ছাড় দেওয়া হবে। টাকা এসেছে কি বলতে পারবেন? আসেনি। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কোনো আলোচনা না হওয়ায় কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য এম হান্নানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের গোলাম মওলা শাহিন, শ্রমিক দলের সুমন ভুঁইয়া, মহিলা দলের রুমা আখতার প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

সরকার হটাতে এবারের আন্দোলন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে”মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় ০৬:২৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সরকার হটাতে এবারের আন্দোলন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এই যে মামলা-মোকাদ্দমা, এই যে গোলাগুলি, এতো সহজেই আমরা ছেড়ে দেব না। আমরা ভিন্ন প্রক্রিয়া নেবো, আন্দোলনের ভিন্ন রুপ হবে, আন্দোলনের ভিন্ন কায়দা হবে। আন্দোলন কখনো একরকম চলে না, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শাহবাগ-রমনা থানা শাখার উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম এবং নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা আর কোনোদিন কমবে না। এদেরকে সরাতে হবে, এদের ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন শেষ হবে না।

সরকার বিএনপিকে বড় জায়গায় সমাবেশ করতে দেয় না, এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা একদিন ঢাকা শহরের প্রতিটি অলি-গলিতে মিছিল করব। সেদিন আপনাদের কি অবস্থা হয় দেখবো। রাজপথ আমরা কিন্তু আপনাদের হাতে ছেড়ে দেব না। রাজপথ ইনশাল্লাহ আমরা দখল করব। সময় এসে গেছে। বিএনপি নেতারা, ছাত্রদল নেতারা, যুবদল নেতারা গুলি খাওয়া শিখে গেছে। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। বুকে পেতে দেব, গুলি খাব, কিন্তু রাজপথ ছেড়ে যাব না-এটা আমাদের শপথ।

মির্জা আব্বাস বলেন, সামিট গ্রুপের আজিজ খান, আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক খানের ভাই, সেটা আপনারা সবাই জানেন। সেদিন দেখলাম সিঙ্গাপুরে বড় ধনীদের মধ্যে একজন আজিজ খান। কয়েকদিন আগে তো আপনারা তাদেরকে ছাড় দিলেন যে, বিদেশ থেকে টাকা আনলে তাদের কর ছাড় দেওয়া হবে। টাকা এসেছে কি বলতে পারবেন? আসেনি। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কোনো আলোচনা না হওয়ায় কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য এম হান্নানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের গোলাম মওলা শাহিন, শ্রমিক দলের সুমন ভুঁইয়া, মহিলা দলের রুমা আখতার প্রমুখ।